ক্যাম্পাস ডেস্ক
করোনাভাইরাস নির্ণয়ে ডাক্তার ও মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের সহায়তা করতে নিজেদের জীবনবাজি রেখেই দেশের জন্য কাজ করছেন দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (হাবিপ্রবি) মাস্টার্সের চার শিক্ষার্থী।
তাঁরা হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োকেমিস্ট্রি এন্ড মলিকুলার বায়োলজি বিভাগের মো. আল আমিন হোসাইন (শীতল), মো. ফারুকুজ্জামান ফারুক, প্লান্ট ব্রিডিং এন্ড জেনেটিক্স বিভাগের রিচিতা ইসলাম ও মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের সঞ্জয় অধিকারী।
এদের মধ্যে শীতল, রিচিতা ও সঞ্জয় করোনাভাইরাস শনাক্তের জন্য মলিকুলার বায়োলজিস্ট, বায়োটেকনোলজিস্ট এবং মাইক্রোবায়োলজিস্ট হিসাবে দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজে ডাক্তার ও মেডিকেল টেকনোলজিস্টদের করোনাভাইরাস শনাক্ত করার জন্য আরটি পিসিআর টেষ্ট করার নিয়মাবলী ও আরটি পিসিআর মেশিন অপারেটিং করা, ডাটা এনালাইসিসসহ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদানের মাধ্যমে সহয়তা করেছেন। মলিকুলার বায়োলজিস্ট হিসাবে ফারুক একই কাজ করছেন কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শীতল জানান, আমরা যেহেতু সংশ্লিষ্ঠ বিষয়ে পড়াশোনা করেছি তাই আমাদের ব্যাক্টেরিয়া ও ভাইরাসে সম্পর্কে ধারণা থাকায় এবং আরটি পিসিআর সম্পর্কে পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকায় এই কাজ গুলো করতে সুবিধা হয়েছে।
তিনি বলেন, দেশের এই ক্রান্তিলগ্নে মলিকুলার বায়োলজিস্ট হিসেবে করোনাভাইরাস মোকাবেলার মহানায়ক ডাক্তার ও মেডিকেল টেকনোলস্টিদের আরটি পিসিআর ব্যবহারে সহয়তা করার সুযোগ পেয়ে আমরা আনন্দিত। এজন্য ওএমসি গ্রুপকে ধন্যবাদ জানাই।
আরও পড়ুন : করোনা মুক্ত জবির সেই শিক্ষার্থী
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. খালেদ হোসেন জানান, আমাদের যে চারজন শিক্ষার্থী জীবন বাজি রেখে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে করোনাভাইরাস শনাক্তের জন্য আরটি পিসিআর মেশিন ব্যবহার পদ্ধতি শেখাতে কাজ করছেন তাদের আমি ধন্যবাদ জানাই। আমি মনে করি, করোনা মোকাবেলায় আমাদের প্রত্যেকের নিজ নিজ জায়গা থেকে এগিয়ে আসা উচিত।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড