জিটিসি প্রতিনিধি
করোনাভাইরাস মোকাবিলায় দেশের সরকারি বেসরকারি সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে। যার কারণে প্রায় সকল শিক্ষার্থী নিজ গ্রামে চলে গেছেন। ঢাকায় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের অনেক বড় একটা অংশ নিজেদের উপার্জিত অর্থে দিনাতিপাত করে। কেউ কেউ টিউশনি বা পার্ট টাইম জব করে নিজের পাশাপাশি পরিবারের জন্যও গ্রামে টাকা পাঠায়।
করোনাভাইরাসের কারণে থেমে গেছে সব গতি আর উপার্জনের পথ। তাই জীবনযাপনে হিমশিম খেতে হচ্ছে অনেক নিম্নবিত্ত পরিবারের অনেক শিক্ষার্থীদের। দেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মত রাজধানীর তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদেরও একই দশা। তবে তাদের রয়েছে কিছুটা ভিন্নতা!
শিক্ষার্থীরা নিজেরা টাকা তুলে অসচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের সহায়তা করছে। ইতোমধ্যে মহতী এই কাজে বেশ কিছু শিক্ষার্থীকে সহায়তাও করা হয়েছে। দেশের এ অবস্থায় ‘মানুষ মানুষের জন্য’ নীতিতে কাজ করে যাচ্ছেন সরকারি তিতুমীর কলেজের এক ঝাঁক তরুণ।
সাহায্যের ঠিকানা (ছবি : সংগৃহীত)
‘করোনায় তিতুমীরিয়ানদের পাশে তিতুমীরিয়ান’ নামে ফেসবুকে একটি গ্রুপ পরিচালনা করছেন তারা। এ কাজে সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসছেন সাধারণ শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরাও। নিজ নিজ বিভাগের শিক্ষকদের মাধ্যমে সমস্যার কথা জানালে উক্ত টিম পৌঁছে দিবে সাধ্যমতো সহায়তা। এই সহায়তা টিমে প্রতিটা বিভাগ থেকে প্রতিনিধি নেওয়া হয়েছে এবং বিশেষ ভাবে কাজ করছে কিছু সিনিয়র।
উক্ত প্রতিষ্ঠানের গণিত বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মো. খোরশেদ খান নিরলসভাবে কাজ করে চলেছেন তিতুমীরিয়ানদের মহায়তায়। তিনি বলেন, ‘অনেক শিক্ষার্থীর পরিবার না খেয়ে দিন পার করছেন, অনেকেই ত্রাণ পাচ্ছেন না বিভিন্ন কারণে। সরকারি তিতুমীর কলেজ শাখার অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের পরিবারকে সহায়তা করার জন্য বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ শিক্ষার্থীরা উদ্যোগ নিয়ে কাজ শুরু করি। একেবারে প্রথম দিকে বিতর্ক ক্লাব ১ জনকে সহায়তা প্রদান করে।’
এছাড়া, তিতুমীর কলেজের ছাত্র অধিকার পরিষদ শাখার শিক্ষার্থীরা ৯ জনকে সহায়তা প্রদান করেছে। ন্যূনতম ১০ দিনের খাবার দেওয়ার চেষ্টা করেছে এই ফেসবুক ভিত্তিক গ্রুপটি।
আরও পড়ুন : সাশ্রয়ী মূল্যের ভেন্টিলেটর আবিষ্কার করলো ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থী
অন্যদিকে, মহামারী এই সংকট মোকাবিলায় তিতুমীর কলেজের সকল সামাজিক সংগঠন, শিক্ষক শিক্ষার্থীকে এগিয়ে আসার অনুরোধ জানিয়ে খোরশেদ খান আরও বলেন, ‘জাতির এ ক্রান্তিলগ্নে তিতুমীরিয়ানদের পাশে দাঁড়াতে চাইলে সরাসরি ভিকটিমের সঙ্গে যোগাযোগ করে সাহায্য করতে পারবেন। এছাড়া আমাদের দেওয়া নম্বরগুলোতে পাঠাতে পারবেন আর্থিক সাহায্য। বিন্দু বিন্দু জলে যেমন সিন্ধুর সঞ্চার হয় ঠিক তেমনি আপনাদের সামান্য সহযোগিতায় বাঁচান যেতে পারে গোটা একটা পরিবার।’
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড