নোবিপ্রবি প্রতিনিধি
বিশ্বব্যাপী মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসের আগাম তথ্য জানাবে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) শিক্ষার্থী কাওছারের বানানো ওয়েব সফটওয়্যার কভিড-১৯ ‘ওয়ার্ল্ড টুমরো’। যা সকলের জন্য ভবিষ্যতে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করতে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণে উপযোগী হিসেবে কাজ করবে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার তরুণ বিজ্ঞানী নোবিপ্রবির শিক্ষার্থী আহমেদ কাওছার ও তার সহযোগী এসকে ফয়সাল আহমেদের বানানো ওয়েব সফটওয়্যারের মাধ্যমে ভিন্নভাবে বাংলাদেশ ও সমগ্র বিশ্বের সকল রাষ্ট্রে এ রোগে আক্রান্তের সংখ্যা, মৃত্যু সংখ্যা এবং কতজন সুস্থ হয়ে উঠেছেন তা জানা যাবে।
এ বিষয়ে আহমেদ কাওছার জানান, অ্যালগরিদম ডেভেলপ করে তৈরি করা এই ওয়েব সফটওয়্যার ধারণা দিবে আগামী ৭-১০ দিন পর বাংলাদেশসহ অন্য আক্রান্ত দেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কত হতে পারে, এতে কয়জন মানুষ মারা যেতে পারে এবং কয়জন সুস্থ হয়ে ফিরতে পারে। এতে আমরা আগে থেকেই সচেতন হয়ে ভবিষ্যতের করণীয় সিদ্ধান্ত নিতে পারব এবং করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারব।
সফটওয়্যারটি কীভাবে কাজ করবে এমন প্রশ্নের জবাবে কাওছার জানান, এটি প্রথমে প্রতিদিনের ডাটার ওপর ভিত্তি করে লার্নিং হবে। তারপর আগের দেওয়া ডাটার রেটের সাথে সম্পর্ক তৈরি করে একটি ফাংশন তৈরি করবে। যেটি এমনভাবে তৈরি হবে যাতে ইরোরটা সবচেয়ে কম হয়। এরপর সে প্রেডিকশন করে ৭-১০ দিনের করোনার প্রাদুর্ভাবের আগাম বার্তা জানাবে। এই ওয়েব সফটওয়্যারের ২টি ভার্শন তৈরি করা হয়েছে। যার একটি সমগ্র বিশ্বের এবং অন্যটি বাংলাদেশের তথ্য বহন করবে।
কাওছার আরও জানান, বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ডেটা কম হওয়ায় (২০/২২টি) ভবিষ্যৎ বের করা খুবই কষ্ট। তবে এটি এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যাতে প্রতিদিন অ্যালগরিদমটি শিখতে পারে।
কাওছার আরও জানিয়েছেন তিনি একটি অ্যালগরিদম ডেভেলপ করবেন, যার সাহায্যে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে করোনায় আক্রান্ত রোগী সনাক্ত করা যাবে।
এ ব্যাপারে তিনি জানান, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এটি সম্পন্ন হবে। যার সাহায্যে খুবই অল্প সময়ে রোগী সনাক্ত করা যাবে।
আরও পড়ুন : ববির বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের উদ্যোগে বিনামূল্যে হ্যান্ড স্যানিটাইজার
জানা গেছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এ কাজটি করতে গিয়ে তারা কয়েকবার ব্যর্থ হয়েছেন। সর্বশেষ একটি নতুন নন-পেরামেট্রিক স্ট্যাটিস্টিক্যাল অ্যান্ড অনলাইন মেশিন লার্নিং অ্যালগরিদম প্রপোজড করেছেন। তারা নতুন এ অ্যালগরিদমের নাম দিয়েছেন ‘লার্নিং ফর টুমরো’। এর আগে, অর্ডিনারি মেশিন লার্নিংগুলো দিয়ে সলভ করতে চেয়েছেন। কিন্তু এটি এত বেশি ভবিষ্যৎ নির্ণয় করতে সক্ষম হয় না। পরবর্তীকালে ডিপ লার্নিং দিয়েও চেষ্টা করেছেন। এতে ডাটার সংখ্যা অনেক কম হওয়ায় ডিপ লার্নিং অ্যালগরিদমও সঠিকভাবে প্রেডিকশনে সক্ষম হয়নি। এছাড়া কিছু স্ট্যাটিস্টিক্যাল অ্যালগরিদম দিয়ে ট্রাই করেও ব্যর্থ হয়েছেন। শেষে ‘লার্নিং ফর টুমরো’ নামের নতুন অ্যালগরিদমটি প্রপোজড করেন কাওসার ও তার সহযোগী।
এ সংক্রান্ত তথ্য লাইভে এই লিংকে পাওয়া যাবে।
ওডি/এমআরকে
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড