• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

‘ডোন্ট আরগু উইথ মি, গেট আউট অব মাই রুম’

  জবি প্রতিনিধি

১৭ মার্চ ২০২০, ১৬:২৭
জবি
ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. আতিয়ার রহমান (ছবি : সংগৃহীত)

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে টাকা না দিলে বিভাগীয় চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর মিলে না।

বিভাগ সংশ্লিষ্ট কিংবা ব্যক্তিগত যে কোনো বিষয়ে স্বাক্ষর নিতে শিক্ষার্থীদের বিভাগের অ্যাকাউন্টে একশ থেকে তিনশ টাকা পর্যন্ত জমা দিতে হয়। রশিদ কেটে টাকা নেওয়ার এই প্রক্রিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়মের পরিপন্থি। স্বয়ং কোষাধ্যক্ষও এ বিষয়ে অবগত নন।

সম্প্রতি বিভাগের ২০১৩-১৪ সেশনের এক শিক্ষার্থী টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সাবেক এক শিক্ষার্থীকে দিয়ে তাকে পিটিয়ে ক্যাম্পাস ছাড়া করার হুমকিও দেওয়া হয়।

অনুসন্ধানে নামলে জানা যায়, যে কোনো বিষয়ে চেয়ারম্যান ড. আতিয়ার রহমানের স্বাক্ষরের প্রয়োজন হলে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষার্থীদের বিভাগের অ্যাকাউন্টে একশ থেকে তিনশ টাকা জমা দিতে হয়।

চেয়ারম্যানের ভয়ে এতদিন মুখ খুলেননি শিক্ষার্থীরা। সম্প্রতি গত রবিবার ২০১৩-১৪ সেশনের শিক্ষার্থী শামিম মাহমুদ বিভাগে ভিত্তির দরখাস্তের জন্য গেলে তাকে বিভাগের অ্যাকাউন্টে একশ টাকা জমা দিতে বলা হয়।

ব্যাংকে টাকা জমার রশিদ দেখালে বিভাগীয় চেয়ারম্যান তার দরখাস্তে স্বাক্ষর করেন। এরপর গতকাল সোমবার ২০১৩-১৪ সেশনের আরেক শিক্ষার্থী আবু তৈয়ব সার্টিফিকেট সংশোধনের জন্য আবেদন পত্রে বিভাগের চেয়ারম্যানের স্বাক্ষরের জন্য গেলে তাকে তিনশ টাকার ব্যাংক রশিদ ধরিয়ে দেওয়া হয়।

খবর পেয়ে সাংবাদিকরা বিভাগীয় চেয়ারম্যানের কাছে বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি উত্তেজিত হয়ে পড়েন এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে রূঢ় আচরণ করেন।

এ সময় তিনি বলেন, ‘আমি তোমাদের কাছে জবাব দিতে বাধ্য নই। সাংবাদিক হলেই তোমাদের সব বলতে হবে না। আমার রুম থেকে বের হয়ে যাও। আমি এই কাগজে স্বাক্ষর করব না। টাকা দিলেও করব না, না দিলেও করব না।’

আরও পড়ুন : জবি রসায়ন বিভাগের উদ্যোগে হ্যান্ড স্যানিটাইজার

কোন খাতে এই টাকা নেওয়া হয় এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ডোন্ট আরগু উইথ মি, গেট আউট অব মাই রুম।’

এরপর বিভাগ থেকে ওই শিক্ষার্থী (আবু তৈয়ব) বের হয়ে আসার পর, বিভাগের ২০০৯-১০ সেশনের সাবেক শিক্ষার্থী সালমান তাকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ছাড়া করার হুমকি দেন। সালমান বিভাগের শিক্ষক হওয়ার জন্য চেয়ারম্যানের কাছে দীর্ঘদিন থেকে লবিং-তদবির করে আসছেন।

এ ব্যাপারে উপাচার্য ড. মীজানুর রহমান বলেন, ‘এভাবে টাকা নেওয়ার কার্যক্রম আগে কখনো ঘটেনি। এ বিষয়ে আমি বিভাগের চেয়ারম্যানকে ডেকে এনে জিজ্ঞেস করব এবং যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করব। এভাবে টাকা নেওয়ার প্রক্রিয়া এবারই প্রথম দেখলাম।’

ওডি/এমএ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড