• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৩ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ইবিতে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ বন্ধ করে ছাত্রলীগের অবস্থান কর্মসূচি 

  ইবি প্রতিনিধি

১৪ মার্চ ২০২০, ২০:২৬
ইবি
অবস্থান কর্মসূচি (ছবি : সংগৃহীত)

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ বন্ধ করে দিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত ও বিদ্রোহী নেতাকর্মীদের একাংশ।

শনিবার (১৪ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালের পাদদেশে এ কর্মসূচি পালন করে তারা। এ সময় তারা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের দুই সদস্যবিশিষ্ট কমিটি বিলুপ্তির দাবি জানায়।

জানা গেছে, সকাল ১১টায় ছাত্রলীগের দলীয় টেন্ট থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রধান ফটক সংলগ্ন ‘মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব’ ম্যুরালের সামনে এসে অবস্থান কর্মসূচিতে মিলিত হয়। এ দিকে অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে দুপুর ২টা ৩০মিনিটে মুজিববর্ষ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে মাইকে প্রচারিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ বন্ধ করে দেওয়া হয়।

এ ব্যাপারে একাধিক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, এ ভাষণ আনুমানিক ৩০ মিনিটের বেশি সময় বন্ধ ছিল।

এ ব্যাপারে প্রধান ফটকে কর্তব্যরত আনসার সদস্যরা জানান, ছাত্রলীগের প্রোগ্রামে অসুবিধা হচ্ছিল। তাই প্রশাসন থেকে বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্ম্মন জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে এটি বন্ধ করা হয়নি। কারা বন্ধ করেছে সে বিষয়ে খোঁজ নেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে মুজিববর্ষ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান জানান, অনুমতি ব্যতীত মাইক বন্ধ করে গর্হিত কাজ করা হয়েছে। এটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

মুজিববর্ষ উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব সহকারী রেজিস্ট্রার মো. রাশেদুজ্জামান খান টুটুল জানান, ওই সময় ছাত্রলীগের প্রোগ্রাম হচ্ছিল, ওনারা বক্তব্য দিচ্ছিলেন। ওনারা আমার কাছে কল করেছিলেন। ওনাদের বোধ হয় টিভি ফুটেজ নিবে। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ জোরে বাজছিল। ফুটেজে সমস্যা হচ্ছিল। তাই ১০ মিনিটের জন্য বন্ধ ছিল, পরে আবার চালু করা হয়েছে।

৩০ মিনিটের বেশি বন্ধ রাখা হয়েছে কিনা প্রশ্নে তিনি জানান, এ বিষয়ে আমার জানা নেই।

তবে এ ব্যাপারে এস্টেট অফিসের পরিচালক সাইফুল ইসলাম জানান, লালন ও মাসুদ এসে জানতে চেয়েছে মাইক বাজাচ্ছে কারা! বঙ্গবন্ধুর ভাষণ কাদের আন্ডারে! আমার আন্ডারে নয়, সম্ভবত জনসংযোগ বাজাচ্ছে বলায় ওরা চলে যায়। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই মাইক বন্ধ হয়ে যায়।

এ ব্যাপারে পদবঞ্চিত ও বিদ্রোহী গ্রুপের নেতা তৌকির মাহফুজ মাসুদ ও মিজানুর রহমান লালনের সঙ্গে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাদের ফোনে পাওয়া যায়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শাহীনুর রহমান জানান, বঙ্গবন্ধুর ভাষণ কেউ বন্ধ করতে চাইলে বন্ধ করার বা বন্ধ করতে দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। এটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ যা সবসময় চলমান থাকবে। কেউ বাধা দিলে সেটা বঙ্গবন্ধুর ভাষণকে অসম্মান করা হবে।

আরও পড়ুন : করোনা আতঙ্কে ঢাবি শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসকারী জানান, এটা খুবই দুঃখজনক। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ ক্যাম্পাসে সব সময় বাজানোর কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত আছে। বিষয়টি আমার কানে এসেছে। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ বন্ধ করে কিছুই হওয়া উচিত নয়।

তিনি আরও জানান, আমাদের কর্তৃপক্ষ এটা বন্ধ করেনি, করলে আমার নির্দেশেই হতো, আমাকেই বলত। এটা যদি কেউ বন্ধ করে থাকে তবে এটা অসঙ্গত। কর্তৃপক্ষের নির্দেশ ছাড়া কোনোভাবেই কেউ বঙ্গবন্ধুর ভাষণ বন্ধ করতে পারে না। এটা কীভাবে বন্ধ হলো? কেন বন্ধ হলো? কারা বন্ধ করল? খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিব।

ওডি/এমআরকে

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড