• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৬ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

শেকৃবি শিক্ষকের গবেষণা

বাঙ্গি পচন রোধে আধুনিক প্রযুক্তি

  আকাশ বাসফোর, শেকৃবি প্রতিনিধি

১২ মার্চ ২০২০, ১৬:২৫
শেকৃবি
গবেষণায় ব্যস্ত অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল (ছবি : দৈনিক অধিকার)

দেশের জনপ্রিয় ফসল বাঙ্গি। এর চাষাবাদ খুবই লাভজনক। বাঙ্গি চাষাবাদে ভালো ফলন না পাওয়ার একটি কারণ হচ্ছে ফল পচনকারী রোগ। এটি সাধারণত ব্যাকটেরিয়া ঘটিত আক্রমণের কারণে হয়ে থাকে।

দিনদিন ফল পচনকারী এ রোগের জন্য একদিকে যেমন ফসল ফলনের হার কমছে অপরদিকে কৃষকও লাভের মুখ দেখছে না। ফলের গুণগত মানও ভালো হচ্ছে না। এই সমস্যা সমাধানে দীর্ঘ ৩ বছর গবেষণা করে সফল হয়েছেন শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) বায়োটেকনোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম।

গত সোমবার ( ৯ মার্চ) সন্ধ্যায় শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (শেকৃবিসাস) কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি এসব তথ্য তুলে ধরেন।

তার গবেষণার বিষয় ছিল ‘ইনহেরিটেন্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অব মলিকিউলার মারকারস লিঙ্কড টু ব্যাকটেরিয়াল ফ্রুট বল্চ রেজিস্ট্যান্স ইন মেলন’।

তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার সুনচন ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে তার পিএইচডির বিষয়বস্তু হিসেবে প্রায় ৩ বছর এ গবেষণা করেন যা ৩টি আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে এবং আরও ১টিতে সাবমিট করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে তিনি জানান, এসিডোভোরাক্স সাট্রুলি ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে বাঙ্গি ফল পচনকারী রোগ হয়। এই ব্যাকটেরিয়াকে শনাক্তের জন্য গবেষণা করে ৩ সেট মলিকিউলার মারকার ডেভেলপ করা হয়েছে। যার মাধ্যমে আক্রান্ত ফসলের ক্ষতি থেকে আগাম রক্ষা পাওয়া যাবে। ইতোমধ্যে এই ব্যাকটেরিয়ার দুইটি স্ট্রেইনকে ক্লোনিং এবং সিকুয়েন্সিংয়ের মাধ্যমে ইউনিভার্সাল ডাটাবেস এনসিবিআইয়ে সাবমিট করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘বাঙ্গির ৩৫টি এবং তরমুজের ৭৭টি ইনব্রিড লাইন/কালটিভারকে এই ব্যাকটেরিয়ার মাধ্যমে কৃত্রিম উপায়ে ইনুকিউলেশন করে ফল পচনকারী রোগ সহনশীল বাঙ্গির ৬টি এবং তরমুজের ৪টি ইনব্রিড লাইন /কালটিভার শনাক্ত করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বাঙ্গি ফল পচন রোগ প্রতিরোধকারী ১ সেট মলিকিউলার মারকার ডেভেলপ করা হয়েছে, যা দিয়ে আগাম বাঙ্গি ফল পচনকারী রোগ সহনশীল জাত বাছাই করতে পারব। শনাক্তকরণের এই আধুনিক (পিসিআর) পদ্ধতিটি আমরা প্রথম উদ্ভাবন করেছি।’ অপুষ্টিজনিত সমস্যা মোকাবিলায় খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন এনে সুষম খাদ্যের দিকে নজর দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

তিনি বলেন, ‘বাঙ্গি ও তরমুজ সাশ্রয়ী এবং সহজলভ্য একটি ফল যা আধুনিক পদ্ধতি অবলম্বন করে সারা বছর ফলানো সম্ভব। এতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন, মিনারেলস এবং স্বাস্থ্য সমৃদ্ধকরণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা অপুষ্টি নিরাময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আমাদের ল্যাবে এখন থেকে এই পরীক্ষাটি করতে পারব আমরা। আশা করি সর্বোপরি এই গবেষণাটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে কৃষিতে উন্নতির মাধ্যমে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করতে সাহায্য করবে।’

আরও পড়ুন : বিজিসিটিইউবিতে দেয়ালিকা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

উল্লেখ্য, অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম কুমিল্লা জেলার মেঘনা উপজেলার পাড়ার বন্দ গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন।

ওডি/এমএ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড