শাবিপ্রবি প্রতিনিধি
ক্লাস-পরীক্ষা চালু ও ৪ দফা দাবি পূরণে আমরণ অনশনে বসেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ১১ শিক্ষার্থী।
বুধবার (১১ মার্চ) সকাল ১১টা থেকে অ্যাকাডেমিক ভবন ‘এ’-এর সামনে তারা আমরণ অনশনে বসেন। এছাড়া বিভাগের অন্যান্য শিক্ষার্থীরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, গত ২৯ ফেব্রুয়ারি পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ৩০তম বছর উদযাপন করা হয়। এ উপলক্ষে আয়োজিত নৈশভোজে বিভাগীয় প্রধান ও বিভাগের ছাত্র উপদেষ্টার উপস্থিতিতে বহিরাগত এক ব্যক্তি একজন স্বেচ্ছাসেবক শিক্ষার্থীকে লাঞ্ছিত করেন। ওই ব্যক্তি সিলেট এমসি কলেজের শিক্ষক এবং বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক শামছুন নাহার বেগমের স্বামী।
এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিভাগ বরাবর ৪ দফা দাবি পেশ করে। কিন্তু দাবিগুলোর কোনো সুরাহা না করেই গত ৪ মার্চ বিভাগীয় প্রধানের স্বাক্ষর সংবলিত একটি নোটিশের মাধ্যমে বিভাগের ক্লাস পরীক্ষা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ক্লাস-পরীক্ষা চালুসহ ৪ দফা দাবি মেনে না নিলে এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে জানান তারা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সকল ক্লাস, টার্ম টেস্ট ও পরীক্ষা বিভাগের সকল শিক্ষকের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত মোতাবেক বন্ধ থাকবে।’ কিন্তু কী কারণে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে এ নিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে কিছু বলা হয়নি।
এ বিষয়ে অধ্যাপক ড. শামছুন নাহার বেগম বলেন, ‘ওরা বিভাগের শিক্ষকদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণ করেছে। অসৌজন্যমূলক আচরণের পরেই বিভাগের সাধারণ সভা ডেকে সর্বসম্মতিক্রমে ক্লাস পরীক্ষা বন্ধ করা হয়। এ নিয়ে সুষ্ঠু তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। অতিদ্রুত তদন্তের রিপোর্ট প্রদান করা হবে।’
ক্লাস-পরীক্ষা চালুর বিষয়ে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটিয়েছে। এখন আমরা তদন্ত না করে কীভাবে ক্লাসে যাব?’
এ দিকে এক সপ্তাহ ধরে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েছেন শিক্ষার্থীরা। পাশাপাশি সেশনজটে পড়ার আশঙ্কাও করছেন তারা।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ জানান, ‘আমি বিভাগের প্রধান ও সংশ্লিষ্ট অনুষদের ডিনের সঙ্গে কথা বলেছি। আমি তাদের দুই-এক দিনের মধ্যে এর সমাধান করে ক্লাস পরীক্ষা চালু করতে বলেছি। কারণ সেশনজট মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় রাখতে চাই। এছাড়া এতে যদি কেউ দোষী হয় তা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সমাধানের জন্য আমি তাদের অনুরোধ করেছি।’
আরও পড়ুন : বাকৃবিতে চাকরির প্রলোভনে টাকা আত্মসাৎ, আটক ১
উল্লেখ্য, শিক্ষার্থীদের ৪ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে- বিভাগের ছাত্র উপদেষ্টার পদত্যাগ, শিক্ষার্থীদের প্রস্তাবিত তালিকা থেকে ছাত্র উপদেষ্টা নিয়োগ, বিভাগের প্রধান ও ছাত্র উপদেষ্টাকে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর ব্যাচের অ্যাকাডেমিক কর্মকাণ্ডে না রাখা এবং ন্যাক্কারজনক ঘটনার জন্য বিভাগের প্রধানকে ছাত্রদের নিকট জবাবদিহি করা।
ওডি/এমএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড