বশেমুরবিপ্রবিতে অনশন অব্যাহত, কাল ইউজিসি ঘেরাও

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) ইতিহাস বিভাগের অনুমোদনের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো অনশন কর্মসূচি অব্যাহত রয়েছে।

শনিবার (৭ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে ৩১তম দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি এবং দ্বিতীয় দিনের মতো অনশন কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছেন ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করতে ঢাকায় অবস্থান করছেন ৫০ জন শিক্ষার্থীর একটি দল। আগামীকাল রবিবার (৮ মার্চ) শিক্ষার্থীরা এ কর্মসূচি পালন করবেন। দৈনিক অধিকারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মুখপাত্র ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থী কারিমুল হক।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) রাত সাড়ে ১০টায় বাসযোগে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হন শিক্ষার্থীরা। গত ১৮ ফেব্রুয়ারি শিক্ষার্থীরা জানিয়েছিল, ৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে ইতিহাস বিভাগের অনুমোদন দেওয়া না হলে ইউজিসির কার্যালয় ঘেরাও করবেন তারা।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ইউজিসি কর্তৃক গঠিত কমিটির ওপর আস্থা রেখে অ্যাকাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনের তালা খুলে দিয়েছিল আন্দোলনকারীরা এবং ৫ মার্চ পর্যন্ত সময় বেঁধে দেন। কিন্তু ১৭ দিন পার হয়ে গেলেও ইউজিসি গঠিত কমিটি কোনো কার্যক্রম শুরু না করায় পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী ইউজিসির কার্যালয় ঘেরাওয়ের উদ্দেশ্যে একটি দল ঢাকায় অবস্থান করছেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছেন শিক্ষার্থীরা।

এ দিকে ক্রমাগত আন্দোলন ও অনশন কর্মসূচি পালন করতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বলে জানিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। গতকাল বেলা ১টায় ইতিহাস তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ইদ্রাণী এবং আজ (৭ মার্চ) ১১টায় দ্বিতীয় বর্ষের লিজান ও বেলা ৩টায় তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী নাইমা অসুস্থ হয়ে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

আরও পড়ুন : নোবিপ্রবিতে ঐতিহাসিক ৭ মার্চ উদযাপন

উল্লেখ্য, ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষ থেকে ইউজিসির অনুমোদন ছাড়াই বশেমুরবিপ্রবিতে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিন। পরবর্তীকালে চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি বিভাগটিতে নতুন কোনো শিক্ষার্থী ভর্তি না করানোর নির্দেশনা দেয় ইউজিসি। ইউজিসির সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে এবং বিভাগের অনুমোদনের দাবিতে ওইদিন রাত থেকেই প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে আন্দোলন শুরু করে বিভাগটির প্রায় শতাধিক শিক্ষার্থী।

ওডি/এমএ