• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন

আবাসন সংকটে নাকাল বাকৃবি শিক্ষার্থীরা

  বাকৃবি প্রতিনিধি

২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৪:৩২
বাকৃবি
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (ছবি : সংগৃহীত)

প্রতিবছর উচ্চ মাধ্যমিক শেষে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। সেই সঙ্গে বাড়ছে আবাসিক হল সংকটের মাত্রা। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়েও (বাকৃবি) এই সংকট প্রকট।

ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতিনিয়ত ছাত্রীদের সংখ্যা বাড়ছে। যে কারণে ছাত্রীদের হলগুলোতে আবাসন সংকটও বৃদ্ধি পাচ্ছে। সমস্যা নিরসনের দাবিতে বিভিন্ন সময়ে ছাত্রীরা আন্দোলনও করেছেন। সংকট নিরসনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনও হিমশিম খাচ্ছে। তবে ছাত্রীদের জন্য দ্রুতই নতুন হলের নির্মাণ কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীরা বেশি ভর্তি হয়েছেন। ভর্তিকৃত ১ হাজার ১০৮ জনের মধ্যে ৬০৩ জন ছাত্রী এবং ৫০৫ জন ছাত্র। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট শিক্ষার্থীর ৪৩ শতাংশ ছাত্রী। শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসিক ১৩ হলের মধ্যে ছাত্রীদের জন্য মাত্র ৪টি হল রয়েছে।

সময়ের পরিক্রমায় বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীর সংখ্যা বাড়লেও হলের সংখ্যা বাড়েনি। এ বছর ভর্তি হওয়া নতুন ছাত্রীরা থাকছেন হলের ডাইনিং, গ্রন্থাগার এমনকি হলের নামাজ কক্ষে। স্থান সংকুলান না হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলথ কেয়ারের বেশ কয়েকটি কক্ষেও তাদের রাখা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা বিষয়ক শাখার গত ডিসেম্বরের তথ্য অনুযায়ী, শিক্ষার্থী সংখ্যা ছিল ৭ হাজার ৯২৩ জন। ১৩টি হলের ছাত্র-ছাত্রী মিলিয়ে মোট আসন আছে মাত্র ৫ হাজার ৮৭৬টি। শিক্ষার্থী সংখ্যার চেয়ে প্রায় ৩ হাজার আসন কম রয়েছে। প্রায় ৪ হাজার ছাত্রীর জন্য ৪টি হলের আসন সংখ্যা মাত্র ২ হাজার ৪০০ এর মতো।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সুলতানা রাজিয়া হলের আবাসিক দ্বিতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘হলের গণরুমে গাদাগাদি করে থাকতে হচ্ছে। সুষ্ঠু পরিবেশ না থাকায় পড়াশুনা ব্যাহত হচ্ছে।’

বেগম রোকেয়া হলের তৃতীয় বর্ষের এক শিক্ষার্থী জানান, আবাসন সংকটের কারণে একজনের একটি সিট পেতে প্রায় ২-৩ বছর চলে যায়। গণরুমে থাকলে স্বাস্থ্যগত নানা সমস্যা হয়। প্রয়োজন মতো শৌচাগারও না থাকায় ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলথ কেয়ারে অবস্থান করা এক ছাত্রী বলেন, ‘স্বাস্থ্যকেন্দ্রে থাকায় আমাদের জন্য ডাইনিংয়ের কোনো ব্যবস্থা নেই। প্রতিবার হোটেল থেকে খাবার আনতে হয়। পাশাপাশি খাবার পানি, ওয়াশরুম ও সীমিত জায়গায় গাদাগাদি করে থাকার ফলে বিভিন্ন সমস্যায় পড়তে হচ্ছে আমাদের।’ এছাড়া রোগীদের আসা-যাওয়া এবং চিকিৎসাকেন্দ্রের নির্দিষ্ট সীমারেখা না থাকায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলেও জানান তিনি।

ছাত্রীদের পাশাপাশি ছাত্রদেরও রয়েছে আবাসন সংকট সমস্যা। ৫ হাজারের বেশি ছাত্রের জন্য ৯টি হলে আসন রয়েছে মাত্র ৩ হাজার ৪৭৫টি। প্রতিবছর শিক্ষার্থী সংখ্যা বাড়লেও হলের সংখ্যা একই রয়েছে। ১৯৯৮ সালের পর ছাত্রদের জন্য নতুন কোনো হল নির্মাণ করা হয়নি।

আরও পড়ুন : ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থীকে মারধরের ফুটেজ আছে

ছাত্রীদের আবাসন সংকট বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান বলেন, ‘ছাত্রী হলের আবাসন সংকটের তাৎক্ষণিক সমাধানের জন্য সুলতানা রাজিয়া হলের একপাশের অংশ সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের চতুর্থ তলার নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের দিকে। চলতি বছরের মে-জুন মাসের মধ্যেই মেয়েদের জন্য নতুন দুইটি হলের নির্মাণ কাজ শুরু হবে।’ এতে ছাত্রীদের শতভাগ আবাসন নিশ্চিত হবে বলে জানান তিনি।

ওডি/এমএ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড