ঢাবি প্রতিনিধি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সলিমুল্লাহ মুসলিম হল সংলগ্ন ফুলার রোডে মারধরের শিকার রানা নাসেরের মামলা নেয়নি শাহবাগ থানা পুলিশ।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টায় শাহবাগ থানায় হামলাকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করতে গেলে এ ঘটনা ঘটে। থানার ওসি আবুল হাসান মামলা নেননি বলে ভুক্তভোগী রানা অভিযোগ করেন।
রানা বলেন, ‘হামলার ঘটনার ব্যাপারে শাহবাগ থানায় মামলা করতে গেলে ওসি হাসান মামলা গ্রহণে অপারগতা প্রকাশ করেন। তাকে বারবার ঘটনা খুলে বলার পরেও তিনি কেন মামলা নিলেন না, তা আমি জানতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘শুরুতে প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা আমার ছোট ভাইয়ের ওপর হামলা করে। পরে প্রতিবাদ করলে এসএম হলের ভিপি কামাল ৬০-৭০ জন নিয়ে আসেন। সেখানে নুজহাত ফারহানা আপুকে নানা ভাবে হয়রানি করেন। অথচ আমরা তাদের থেকে সিনিয়র। এ কথা বলার পরেও ভিপিসহ সবাই আমাদের ওপর ফের হামলা করেন। আমাদের রক্ষা করতে আসলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির ৪ সদস্য হামলার শিকার হন। তারা না আসলে হয়তো আমাদের মেরেই ফেলা হতো।’
রানা জানান, বিস্তারিত ঘটনা শোনার পরে শাহবাগ থানার ওসি হাসান মামলাটি নেননি। তিনি বলেছেন, এটি সর্বোচ্চ একটি জিডি করার মতো ঘটনা। পরে তিনি জিডিতে লেখেন আমাকে শুধু চর-থাপ্পড় দেওয়া হয়েছে।
অনুরোধ জানিয়ে রানা বলেন, ‘আমি একা আর পারছি না। আমাদের পাশে আপনারা দাঁড়ান, প্লিজ। আমি চাই না আমাদের মতো আর কাউকে প্রাণের ক্যাম্পাসে হয়রানির শিকার হতে হোক। আমার ধারণা, ওসি অসৎ। তাই তিনি আমার সঙ্গে এমন করেছেন।’
এ বিষয়ে শাহবাগ থানার ওসি হাসান বলেন, ‘এটি জিডি নেওয়ার মতো বিষয়। এখানে মামলার মতো কোনো ঘটনা ঘটেনি। আমরা জিডি নিয়ে তদন্ত করছি।’
প্রমাণ থাকার পরেও কেন মেমলা নেওয়া যাবে না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আপনাদের সঙ্গে আমি আর কিছু বলতে চাচ্ছি না। আমরা মামলা নিতে পারব না।’
এর আগে শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাতে সলিমুল্লাহ মুসলিম আবাসিক হল সংলগ্ন ফুলার রোডে সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ছাত্র সংসদের ভিপি কামাল উদ্দিন ও তার অনুসারীদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ে বেড়াতে আসা দুই প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও কয়েকজন দর্শনার্থীকে মারধরের অভিযোগ পাওয়া যায়।
ভুক্তভোগী প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা হলেন- নুজহাত ফারহানা ও রানা নাসের। ফারহানা ঢাবির ২০০৯-১০ শিক্ষাবর্ষের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী। এছাড়া রানা নাসের ঢাবির থিয়েটার ও পারফরমেন্স বিভাগের ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
ঢাবির সলিমুল্লাহ মুসলিম হলের পাশে অবস্থিত ব্রিটিশ কাউন্সিলের সামনে ফারহানা ও বাপ্পি কথা বলছিলেন। কিছুটা দূরেই নাসের মুঠোফোনে কথা বলছিলেন। বাপ্পি রানা নাসিরের ছোট ভাই।
আরও পড়ুন : বেড়াতে এসে মারধরের শিকার ঢাবির প্রাক্তন শিক্ষার্থী
পরবর্তীকালে এসএম হলের ১ম বর্ষের কিছু শিক্ষার্থী এসে তাদের সঙ্গে তর্কে জড়ায়। এ ঘটনায় ফারহানা ও বাপ্পি প্রতিবাদ করলে তাদের ওই শিক্ষার্থীরা মারধর করে।
এ ঘটনায় রানা চিৎকার করে দৌড়ে ঘটনাস্থলে আসেন। এ সময় র্যাগিংয়ের শিকার বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী সেখানে আসলে আক্রমণকারীরা দৌড়ে পালিয়ে যায়। এ সময় ‘শেখ পরাগ’ নামের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ১ম বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়। পরে পরাগকে মারধর করে উপস্থিত জনতা। মারধরের ঘটনার ভিডিও করেন ফারহানা।
ওডি/এমএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড