• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৪ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

স্বপ্নের লাল বাস যখন ঠ্যালা গাড়ি! (ভিডিও)

  ঢাবি প্রতিনিধি

১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৪:৫২
ঢাবি
অচল বাসলে সচল করার প্রয়াস (ছবি : সংগৃহীত)

মেট্রোরেল প্রকল্পের কাজ শেষ হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) অনেক শিক্ষার্থী এর সার্ভিস গ্রহণ করবেন। আর সে সময় বাসের চাহিদা কমে যাবে বলে মনে করছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তাই চরম বাস সংকট থাকলেও নতুন বাস কেনার ব্যাপারে প্রশাসনের কোনো আগ্রহই নেই!

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) শামস ঈ নোমান দৈনিক অধিকারকে এ কথা জানান।

এদিকে সোমবার সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে ‘কলেজ গেট’ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়মুখী ‘ক্ষণিকা বাস’ যান্ত্রিক সমস্যার কারণে বন্ধ হয়ে যায়। বাস চালু করতে শিক্ষার্থীরা কমপক্ষে ১০ মিনিট ধাক্কা দেয়। পরে চালু হয় ‘হয়রানির লাল বাস’। এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘স্বপ্নের লাল বাসের জায়গায় আমরা পেয়েছি ঠ্যালা গাড়ি। এই লজ্জা কাদের?’

ক্ষণিকা বাসের ক্রীড়া সম্পাদক মেহেদী ইসলাম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এই সমস্যা দীর্ঘদিনের। বাস মাঝেমধ্যেই নষ্ট হয়ে যায়। তাই আমাদের ট্রিপ দেয় না। এছাড়া বাসগুলোর একটা গেটও ঠিক নেই। নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি আমরা সবাই। গরমের মধ্যে অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে যায়। কোনো ফ্যান ঠিক নেই। গাদাগাদি করে যাতায়াত করেও কেন আমাদের এত প্রহসন?’

তিনি আরও বলেন, ‘বিআরটিসি থেকে সবচেয়ে খারাপ অবস্থার বাসগুলো ক্যাম্পাসে নিয়ে আসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আর ভোগান্তি সহ্য করতে হয় আমাদের। বাস মেরামতে একাধিকবার পরিবহন অফিসে জানানো হয়েছে। আমাদের আশা দিয়েছে, কাজ করেনি। তাদের বলতে বলতে আমরা হতাশ। কোনো লাভ নেই।’

এ বিষয়ে শামস ঈ নোমান জানান, ডাকসু সভায় বাস সংকট ও বাসের নানা সমস্যার কথা উল্লেখ করে নতুন বাসের দাবি জানানো হয়। সে সময় উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘মেট্রোরেলের কাজ চলমান। মেট্রোরেল চালু হলে অধিকাংশ শিক্ষার্থী এই মেট্রোরেল সেবাটি নিবেন। সেসময় বাসের চাহিদা একদম কমে যাবে। তাই এখন নতুন বাস কিংবা বাস বৃদ্ধির কথা চিন্তা করা উচিত নয়।’ এখন নতুন বাস কেনা হলে অর্থ অপচয় হবে বলে জানান তিনি।

এদিকে, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে প্রতি বছর যাতায়াত খরচ নেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বাস ব্যবহার না করলেও শিক্ষার্থীদের এই টাকা দিতে হয়। প্রতি বছর বিশ্ববিদ্যালয় এ খাত থেকে যে পরিমাণ টাকা পায় তা দিয়ে কমপক্ষে ৩টি বাস কেনা সম্ভব। তবে সেরকম কোনো উদ্যোগই নেওয়া হয় নি।

এ ব্যাপারে শামস ঈ নোমান বলেন, ‘এই বিষয়ে আমি কথা বলেছি। এ সকল পরিবহন পরিচালনা করতে সকল টাকা শেষ হয়ে যায় বলে জানানো হয়েছে আমাকে। এছাড়া মেট্রোরেলের প্রতীক্ষায় আমাদের উপাচার্য নতুন বাস কিনতে রাজি নয়। আমার আর কি করার থাকে?

তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সমস্যার কথা শুনে নিজেকে লজ্জা পেতে হয়। প্রত্যেকটা দিন আমি তাদের কাছে অনুরোধ করি এই সমস্যাগুলোর সমাধান করতে। তারা সেসকল বিষয়ে তবুও নজর দেয় না। এমন কোন জায়গা নেই, যেখানে আমি যাইনি এই সমস্যাগুলোর সমাধানের জন্য। একজনের কাছে গেলে তিনি অন্যজনের কাছে পাঠায়।’

আরও পড়ুন : বেস্ট রিসার্চ অ্যাওয়ার্ড পেলেন নোবিপ্রবির কাওসার

তিনি আরও বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের এই বাসের দাবি নিয়ে ওবায়দুল কাদের স্যারের কাছ পর্যন্ত গিয়েছিলাম। তিনি আমাকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলতে বলেন। আমি আর কি করতে পারি? সকলের সচেতনতা দরকার। সকলের সাহায্য দরকার। তা না হলে স্বপ্নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বিনির্মাণ অসম্ভব।’

ওডি/এমএ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড