ইবি প্রতিনিধি
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিন্টিং প্রেস অফিসে কর্মরত আছেন বলে জানা গেছে। তার নাম মনিরুল ইসলাম। সম্প্রতি ঝিনাইদহ জেলা জজ কোর্টের অ্যাডভোকেট নেকবার হোসেন স্বাক্ষরিত এক ডিমান্ড নোটিশে অভিযোগটি নিশ্চিত করা হয়েছে।
উকিল নোটিশ সূত্রে জানা যায়, মনিরুল ইসলামের সঙ্গে তার মক্কেল মাসুদ করিমের ঘনিষ্ঠতা ও বিশ্বাসভাজন সূত্রে ইবি উপাচার্যের বিশেষ প্রয়োজনে তার কাছে ১০ লক্ষ টাকা ধার চান। তার সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকায় এবং উপাচার্যের প্রয়োজন শুনে মাসুদ ১০ লক্ষ টাকা ধার দিতে রাজি হন। ২০১৯ সালের ১৫ জানুয়ারি তার মক্কেলের নিকট থেকে মনিরুল উপাচার্যকে দেওয়ার জন্য টাকা ধার নেন এবং চলতি ২০২০ সালের ১৩ জানুয়ারি সমুদয় টাকা ফেরত দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।
কিন্তু তিনি ঐ তারিখে টাকা প্রদানে অপারগ হওয়ায় অগ্রণী ব্যাংক, ইবি শাখার ৪২৯৬ হিসাব নম্বরে একটি চেক প্রদান করেন। যার চেক নম্বর ১১৮১-৩২৯৮৩১১ এবং টাকার পরিমাণ ১০ লক্ষ টাকা। পরে তার মক্কেল মাসুদ অত্র তারিখেই চেক নগদায়নের জন্য ব্যাংকে জমা দিলে অপর্যাপ্ত তহবিল স্বাক্ষরে অমিল মর্মে একটি ডিজঅনার স্লিপসহ ফিরিয়ে দেন। তার মক্কেল উক্ত বিষয়ে মনিরুলকে অবহিতের পরেও সে টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি। সেই সঙ্গে হিসাব নম্বরে পর্যাপ্ত টাকা না থাকা সত্ত্বেও তিনি প্রতারণা করে টাকা আত্মসাৎ করার অসৎ উদ্দেশ্য তার মক্কেলকে চেক প্রদান করা হয়েছে বলে উকিল নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
নোটিশে ইবি কর্মকর্তাকে চূড়ান্তভাবে জানানো হয় যে, অত্র নোটিশ পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে তার মক্কেলকে সমুদয় টাকা প্রদান করতে। অন্যথায় তার বিরুদ্ধে হস্তান্তরযোগ্য দলিল আইনের ১৩৮ ধারার অপরাধ বিবেচনায় মোকদ্দমা করা হবে। যদি তার বলার কিছু থাকে তবে ৩০ দিনের মধ্যেই উত্তরদানের কথা বলা হয়েছে। যদি তিনি তার মক্কেলের পাওনা পরিশোধ করে প্রাপ্তি স্বীকার রশিদ প্রেরণ করতে পারেন, তবে উক্ত মোকদ্দমার বিষয় বিবেচনা করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মাসুদ করিম বলেন, ‘তার সঙ্গে আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব থাকায় বিশ্বাস করে আমি তাকে ১০ লক্ষ টাকা নগদ ধার দেই। পরিশোধ করার নির্দিষ্ট দিন পার হয়ে গেলেও তিনি আমার টাকা ফেরত দেননি। পরে তিনি আমাকে একটি চেক দিলে তা নগদায়নের জন্য ব্যাংকে জমা দিলে অপর্যাপ্ত তহবিল স্বাক্ষরে অমিল মর্মে একটি ডিজঅনার স্লিপসহ ফিরিয়ে দেয় ব্যাংক। যার ফলে আমাকে আইনের দ্বারস্থ হতে হয়েছে।’
আরও পড়ুন : নো দাইসেলফ স্কাউট গ্রুপের দীক্ষা ক্যাম্প
এ বিষয়ে মনিরুল ইসলাম টাকা আত্মসাৎ এর বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘পারিবারিক ঝামেলা দূর করতে তিন মাস আগে আমার কাছ থেকে দশ লক্ষ টাকার চেক নেয় মাসুদ। পরবর্তীকালে যে কারও প্ররোচনায় আমাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে এ পরিকল্পনা গ্রহণ করে। আমি অচিরেই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
ওডি/এমএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড