বাকৃবি প্রতিনিধি
নিখোঁজের ৫ দিন পর বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) শিক্ষার্থী আহসান হাবীব হামজার (২৪) খোঁজ মিলেছে।
গত বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাতে হামজা নিজ বাড়িতে আসেন। পরে রাতেই হামজাকে পুলিশের হেফাজতে নেয়া হয়।
শুক্রবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সিরাজগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ দেওয়ান কউশিক আহমেদ এবং হামজার পরিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সিরাজগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ দেওয়ান কউশিক আহমেদ বলেন, ‘বুধবার রাতে হামজাকে পুলিশের হেফাজতে নেয়া হয়। পরে তাকে ময়মনসিংহের কোতোয়ালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’
বিশ্ববিদ্যালয় ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, হামজা বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার পূর্ণিমাগাতি ইউনিয়নের ফলিয়া গ্রামের মো. আব্দুল মোতালেবের ছেলে। বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক শহীদ নাজমুল আহসান হলে থাকতেন তিনি।
গত বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে হল থেকে বের হন তিনি। পরদিন সকালে নিজ বাড়িতে যাওয়ার কথা থাকলেও তিনি বাড়িতে যাননি এবং পরে হলেও ফিরে আসেননি। এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ময়মনসিংহ কোতয়ালি থানায় ৮ ফেব্রুয়ারি একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছিল।
হামজার পরিবার জানায়, হামজা গত বুধবার দুপুর ৩টার দিকে তার বোনের ফোনে মেসেজ দেন। তিনি লিখেন- ‘আমি ভালো আছি, কেউ যেন দুশ্চিন্তা না করে। আমি বাড়িতে আসছি।’ পরে রাত ৮টার দিকে হামজা বাড়িতে আসেন। পুলিশ প্রশাসনকে বিষয়টি অবহিত করলে রাত ১০টার দিকে হামজাকে আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ।
পরিবার সূত্র জানায়, হামজা যখন কলেজে পড়ত তখন খেলতে গিয়ে মাথায় আঘাত পেয়েছিল। এরপর থেকেই মাঝেমধ্যেই মানসিক সমস্যা দেখা দিত। এরপর থেকেই তাকে বিভিন্ন সময়ে মানসিক ডাক্তার দেখানো হয়। গত দেড় মাস আগে ঢাকায় ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায় তার পরিবার। এরপর দেড় মাস ধরে তাকে মানসিক রোগের ওষুধ খাওয়ানো হয়। তবে হামজা নিজেকে সুস্থ মনে করতেন। মানসিক রোগের ওষুধ খেতে চাইতেন না। এই বিষয়েই অভিমান করে বাড়ির সঙ্গে সবধরনের যোগাযোগ বন্ধ করেন বলে হামজা তার পরিবারকে জানিয়েছেন।
হামজা আরও জানান, তিনি বাড়ির সবার সঙ্গে অভিমান করে চট্টগ্রাম চলে যান। পরে জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় নিখোঁজ সংবাদ দেখে বুধবার দুপুরে বোনের ফোনে মেসেজ দেন এবং রাত ৮টার দিকে নিজ বাড়িতে যান। পরে রাতে ১০টার দিকে পুলিশ হামজাকে আটক করে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে হামজার পিতা মো. আব্দুল মোতালেব বলেন, ‘পুলিশ হামজাকে কোথায় নিয়ে গেছে এবং কোন থানায় তাকে রাখা হয়েছে এ বিষয়ে আমরা কিছুই জানতে পারিনি। তার ব্যাপারে পরিবারের সবাই উদ্বিগ্ন।’
আরও পড়ুন : ১৬ কলেজের নিয়োগ ও পদোন্নতিতে নিষেধাজ্ঞা
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই সামিউল ইসলাম বলেন, ‘হামজার বাড়ি থেকে আমাকে এ ব্যাপারে জানিয়েছে। আমি ওসি স্যারকে এ বিষয়ে অবহিত করেছি।’
ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মাহমুদুল ইসলাম বলেন, ‘হামজার বিষয়ে আমরা কিছুই জানি না।’
ওডি/এমএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড