রাবি ছাত্রীকে নিপীড়নের ঘটনায় তিন শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব বাতিল

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ছাত্রী নিপীড়নের ঘটনায় ৩ শিক্ষার্থীর সাময়িক ছাত্রত্ব বাতিল করেছে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর থেকে প্রেরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এর আগে, বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. মো. মহিউদ্দীন স্বাক্ষরিত এক আদেশে তাদের ছাত্রত্ব বাতিল করা হয়।

এরা হলেন- আইন ও মানবাধিকার বিভাগের ২য় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী বায়েজিদ আহমেদ প্লাবন ও ইকতিয়ার রহমান রাফসান, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ৭ম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী তারেক মাহমুদ জয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘রাবির ছাত্রী নিপীড়নের ঘটনায় অভিযুক্ত মাহফুজুর রহমান সারদের ৩ সহযোগী বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, যাদের মামলাটি বিচারাধীন। এর সত্যতা যাচাইয়ে বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে। কমিটি ঘটনার সঙ্গে ৩ শিক্ষার্থীর যুক্ত থাকার বিষয়টি সাময়িকভাবে নিশ্চিত করে। সেজন্য সাময়িকভাবে তাদের ছাত্রত্ব বাতিল করা হলো।’

জানা যায়, গত ২৪ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৮টার দিকে মাহফুজুর সারদ (২২) তার বান্ধবীকে বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে কাজলা সাঁকপাড়া এলাকায় তার মেসে এনে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এরপর পূর্বপরিকল্পিতভাবে তার বন্ধু নগরীর বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র প্লাবন সরকার, রাফসান, জয়, জীবন এবং বিশালকে দিয়ে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণের ভিডিও মোবাইলে ধারণ করে। ধর্ষণের পরে ওই ছাত্রীর কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে তারা। তাদের দাবিকৃত টাকা না দিলে ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দিয়ে গভীর রাতে ওই ছাত্রীকে ছেড়ে দেয় তারা। ধর্ষণের শিকার রাবি ছাত্রী বিষয়টি তার বাবা মাকে জানান।

এরপর ২৭ জানুয়ারি দুপুরে ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রী বাবা ও মাকে নিয়ে মতিহার থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। মামলা দায়ের করার পরেই মতিহার থানা পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে ধর্ষক মাহফুজুর রহমানকে ও তার দুই বন্ধু প্লাবন তালুকদার (২১) এবং রাজশাহী বরেন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ছাত্র রাফসানকে (২২) গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পরে তাদের থেকে ধর্ষণের ভিডিওসহ মোবাইল উদ্ধার করা হয়।

আরও পড়ুন : খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জাবিতে মানববন্ধন

এ দিকে, রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) রাবি ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে জড়িত ধর্ষক মাহফুজুর রহমানের দুই বন্ধু মতিহার কাজলা এলাকার জীবন (২৫) ও জয়কে (২২) গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম মাসুদ পারভেজ। এর মধ্যে বিশাল নামের একজন পলাতক আসামিকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ওডি/এমআরকে