• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৫ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

শেখ হাসিনা আইসিটি ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

‘কেউ আমাদের দায়িত্ব নিতে চায় না’

  বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি

১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৬:২৮
বশেমুরবিপ্রবি
শেখ হাসিনা আইসিটি ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন (ছবি : দৈনিক অধিকার)

সাত দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) শেখ হাসিনা আইসিটি ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় রাবিতা ইসলাম সেতু নামের এক শিক্ষার্থী আক্ষেপ জানিয়ে বলেন, ‘আমাদের নিজস্ব শিক্ষক নেই, ক্লাসরুম নেই, ল্যাব রুম নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের শেষপ্রান্তে একটা পরিত্যক্ত ভবনে আমরা ক্লাস করি। ক্লাসের হোয়াইট বোর্ড থেকে শুরু করে মার্কার, ডাস্টার সবকিছু নিজেদের কিনতে হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘অন্যান্য বিভাগের শিক্ষকরা সময় পেলে সপ্তাহে একদিন অথবা দুদিন ক্লাস নেন এবং অন্য বিভাগগুলো আমাদের তাদের ল্যাবে প্রবেশের সুযোগ দিলে আমরা ল্যাবে কাজ করার সুযোগ পাই। কেউ আমাদের দায়িত্ব নিতে চায় না। নিয়মানুযায়ী ভর্তি হয়েও নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে শরণার্থীর মতো আছি আমরা।’

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, ভর্তির সময় সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিন, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের সাবেক সভাপতি আক্কাস আলী এবং সাবেক প্রক্টর আশিকুজ্জামান ভুঁইয়া আশ্বাস দিয়েছিলেন ইনস্টিটিউটের অধীনে হলেও তারা সকল সুযোগ সুবিধা পাবেন। কিন্তু এক বছর পার হলেও তারা ন্যূনতম কোনো সুযোগ সুবিধা পাননি। বিভাগটির নিজস্ব শিক্ষক, ক্লাসরুম, ল্যাব রুম কিছুই নেই। এমনকি কেউ ইনস্টিটিউটের পরিচালকের দায়িত্বও গ্রহণ করতে চান না।

ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী রোখসানা আক্তার জানান, আমাদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রতারণা করেছে। তারা সকল সুযোগ সুবিধার নিশ্চয়তা দিয়ে ন্যূনতম সুযোগ সুবিধাও নিশ্চিত করেনি। এমনকি এই বছর ইনস্টিটিউটে কোনো নতুন শিক্ষার্থীও ভর্তি করেনি। এমন পরিস্থিতিতে আমরা অস্তিত্ব সংকটে ভুগছি। আমরা সকল সমস্যার সমাধান চাই, শিক্ষাজীবনের নিশ্চয়তা চাই।’

শিক্ষার্থীরা আরও জানান, প্রতি সেমিস্টার ছয় মাসে শেষ করার কথা থাকলেও শিক্ষকের অভাবে তাদের প্রথম সেমিস্টার শেষ করতে প্রায় দশমাস সময় লেগেছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের চলতি উপাচার্য ড. মো. শাহজাহান জানান, ‘অবকাঠামোসহ পর্যাপ্ত সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত হওয়ার পর শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে এমন শর্তে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন ইনস্টিটিউটটির অনুমোদন দিয়েছিল। কিন্তু সাবেক উপাচার্য ন্যূনতম সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত না করেই ইনস্টিটিউটের শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করে যার ফলে এ ধরনের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।’

উপাচার্য জানান, ‘তাদের অবস্থা দুঃখজনক কিন্তু এই অবস্থা নিরসনে যে সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন সেগুলো চলতি উপাচার্য হিসেবে আমার ক্ষমতার বাইরে।’

আরও পড়ুন : পবিপ্রবি রিপোর্টার্স ইউনিটির নতুন কমিটি

উল্লেখ্য, বশেমুরবিপ্রবির অধীনে তৃতীয় ইনস্টিটিউট হিসেবে ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ থেকে কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (বিভাগ) এবং ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগ নিয়ে শিবচরে শেখ হাসিনা আইসিটি ইনস্টিটিউট যাত্রা শুরু করে। শিবচরে কোনো ধরনের অবকাঠামো না থাকায় ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে শিক্ষার্থীদের গোপালগঞ্জের মূল ক্যাম্পাসে স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে ইনস্টিটিউটের অধীনে সিএসই তে ৫৯ জন এবং ইইইতে ২৭ জন শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত রয়েছে।

ওডি/এমএ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড