• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

সান্ধ্য আইনে জিম্মি খাদিজা হলের ছাত্রীরা

  নোবিপ্রবি প্রতিনিধি

১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৯:৫০
নোবিপ্রবি
হযরত বিবি খাদিজা হল (ছবি : সংগৃহীত)

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) ছেলেদের হলে ফেরার নির্দিষ্ট কোনো সময় না থাকলেও ছাত্রীদের ক্ষেত্রে হলে ফেরার দৃশ্যটা সম্পূর্ণ বিপরীত।

সন্ধ্যা ৭টার মধ্যেই ছাত্রীদের হলে ফিরতে হয়। যা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘সান্ধ্য আইন’ নামে পরিচিত। বিশ্ববিদ্যালয়ের হযরত বিবি খাদিজা হলে এ আইন আরোপের হার একটু বেশি।

নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হলে না ফিরতে পারলে জনপ্রতি ১০০ টাকা করে জরিমানা নেওয়া ও তাদের অভিভাবককে ফোন দিয়ে দেরি করে হলে ফেরার কথা জানানোর মতো ঘটনা ঘটেছে। এই আইনের জালে বন্দি হলের ছাত্রীরা।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, যদি কোনো ছাত্রী কোনো কারণে হলে ফিরতে দেরি করেন, তাহলে হল গেটে থাকা খাতায় তাকে নাম ও রুম নম্বর লিখে আসতে হয়। যাতে হল কর্তৃপক্ষ পরে দেরি হওয়ার কারণ জানতে চেয়ে ওই ছাত্রীকে জেরা করতে পারেন। এদের মধ্যে যারা সন্ধ্যার পর টিউশনে যান তাদেরও নিয়মিত ভোগান্তি পোহাতে হয়।

হল সূত্রে জানা যায়, কোনো শিক্ষার্থী টিউশনি করে ফিরতে দেরি করলে হল প্রাধ্যক্ষ তাদের ধমক দেন এবং টিউশনি করতে নিষেধ করেন। আবাসিক ছাত্রীদের প্রাধ্যক্ষ বলেন, হলে থাকলে কেন টিউশনি করতে হবে? এসব কথা বলে হলের ছাত্রীদের টিউশনির বিরুদ্ধাচরণ করেন প্রাধ্যক্ষ।

এছাড়াও তিনি নোটিশের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বারবিকিউ সহ বিভিন্ন পার্টিতে যাওয়া নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। এতে হলের সাধারণ শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে রয়েছেন। তবে গুটিকয়েক শিক্ষার্থীর জন্য এই নিয়মগুলো নোটিশেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। ফলে প্রাধ্যক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে অনিয়ম করেই হলে ঢুকছেন এসব শিক্ষার্থী।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে হলের এক ছাত্রী বলেন, ‘সান্ধ্য আইনের কারণে আমরা সন্ধ্যার আগেই হলে ফিরে আসি। কোনো কারণে যদি এক দিন সাতটার পরে হলে ফিরি তাহলে আমাদের নানারকম কৈফিয়ত দিতে হয়। কোনো কাজের কারণে দেরি হয়েছে বললে আমরা কেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজটি শেষ করতে পারিনি এমন প্রশ্ন করা হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘এছাড়া গেটে একটি হাজিরা খাতা রাখা আছে। যেখানে প্রহরীদের কাছে আমাদের নাম, রুম নম্বর, মোবাইল নম্বর লিখে রেকর্ড জমা দিতে হয়। কর্তৃপক্ষের লোকজন বাড়িতে ফোন দিয়ে দেরি করে ফেরার কথা বলে দেবে বলেও অনেক সময় হুমকি দেয়।’

এছাড়াও তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘পার্শ্ববর্তী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে ছাত্রীদের রাত ৮টা পর্যন্ত হলের বাইরে থাকার অনুমতি থাকলেও আমাদের ক্ষেত্রে সেই সুযোগ নেই। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে দুই ধরনের আইন চলতে পারে না।’

আরও পড়ুন : রোকেয়া হলের পাশ থেকে মানবভ্রূণ উদ্ধার

বিষয়টি নিশ্চিত করে প্রাধ্যক্ষ ড. আতিকুর রহমান বলেন, ‘দৈনন্দিন হলে ঢোকার শেষ সময়টি বেঁধে দেওয়া অনেক আগে থেকেই। তবে শিক্ষার্থীদের কোনো যৌক্তিক দাবি থাকলে আমরা হল প্রশাসন তা বিবেচনা করব।’

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, ‘দুই হলে দুই ধরনের নিয়ম চলছে সেটা আমার এতদিন জানা ছিল না। তবে বিষয়টা যেহেতু এখন নজরে এসেছে এই বিষয়ে শিগগিরই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে জরিমানা আদায়ের বিষয়ে আমার জানা নেই।’

ওডি/এমএ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড