• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৪০ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

আন্তর্জাতিক সম্মেলনে সেরা ৩ গবেষণাপত্রই চুয়েটের

  চুয়েট প্রতিনিধি

০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২৩:০৭
চুয়েট
সম্মাননা স্মারক প্রদান (ছবি : সম্পাদিত)

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সম্মেলনে সেরা ৫ গবেষণাপত্রের তালিকায় ৩টিই চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট)।

গত ৭ থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি তিন দিনব্যাপী ৫ম ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ফর সাসটেইন্যাবল ডেভেলপমেন্ট (আইসিসিইএসডি ২০২০)’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

এতে মোট ৫টি কি-নোট সেশন এবং ৩২টি টেকনিক্যাল সেশনে দেশ-বিদেশের গবেষকদের মোট ২০১টি গবেষণা পত্র উপস্থাপিত হয় এবং সেরা ৫টি গবেষণা পত্রকে পুরস্কৃত করা হয়। যার তিনটিই ছিল চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষক ও সাবেক শিক্ষার্থীদের।

স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে সেরা গবেষণাপত্রের তকমা অর্জন করেছেন চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষক জি এম সাদিকুল ইসলাম এবং সাবেক শিক্ষার্থী সুদীপ্ত সরকার, লিভারপুল জন মুরস ইউনিভার্সিটির শিক্ষক মনোয়ার সাদিক এবং একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আলী শুবের।

তাদের গবেষণার বিষয় ছিল আগুনে না পুড়িয়েও শিল্প বর্জ্য ব্যবহার করে কিভাবে ইট তৈরি করা যায়। মাটিকে পুড়িয়ে ইটভাটায় যে ইট তৈরি হয় তাতে পরিবেশের ওপর অনেক বিরূপ প্রভাব ফেলে ও প্রচুর পরিমাণে কৃষিজমি নষ্ট করে। এ কারণে বাংলাদেশে সরকারি কাজে আগামী ২০২৪-২৫ সালের পর আর কোনো মাটির তৈরি ইট ব্যবহার করা যাবে না। এ লক্ষে বিকল্প উপায় তৈরি করাই এ গবেষণার মূল উদ্দেশ্য।

অপর দিকে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র সেই সময়ে ৮ লাখ ৬৫ হাজার মেট্রিক টন ফ্লাই অ্যাশ তৈরি করবে। এ ছাড়াও রড তৈরির কারখানা হতে দুই ধরনের স্লাগ (উপজাত) তৈরি হয় যার ব্যবস্থাপনা খুব কষ্টসাধ্য ও ব্যয়সাপেক্ষ। গবেষণাটিতে দেখানো হয় উক্ত বিকল্প বর্জ্য পদার্থ দিয়ে মাটির তৈরি ইট হতেও অনেক ভাল মানের ইট তৈরি করা সম্ভব। গবেষণাটি যৌথভাবে সম্পাদন করে চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগ ও ইংল্যান্ডের লিভারপুল জন মুরস বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরকৌশল বিভাগ।

ভূমিধস বা অন্য যে কোনো ভূতাত্ত্বিক দুর্যোগ যদি আগে থেকেই অনুমান করা যেত তাহলে তা একদিকে যেমন অনেক প্রাণ বাচাতো তেমনি আর্থিক ক্ষয়ক্ষতিও কমিয়ে আনা যেত বহুগুণ। এ চিন্তা ভাবনা থেকেই চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষক মো. আফতাবুর রহমান ও নাফিসা তাবাসসুম ‘প্যারামেট্রিক সেনসিটিভিটি ইন লার্জ ডিফর্মেশন অ্যানালাইসিস বাই স্মুথড পার্টিকেল হাইড্রোডায়নামিক্স (এসপিএইচ)’ শিরোনামে একটি গবেষণাপত্র সম্পাদনা করেন। যেটি এবারের আইসিসিইএসডিতে জিওটেকনিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে সেরা গবেষণাপত্র হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে।

এই গবেষণাপত্রের আরও একটি দিক ছিল ভূমিধস গবেষণায় বহুল প্রচলিত ফাইনাইট এলিমেন্ট মডেলের সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে আরও নির্ভুলভাবে ভূমিধস এর সম্ভাব্য ক্ষতি নিরূপণ।

টেকসই নগর ড্রেনেজ ব্যবস্থার প্রয়োগের মাধ্যমে চট্টগ্রামের খালগুলোকে কিভাবে ব্যবহার উপযোগী করে তোলা যায় তার বিভিন্ন দিক তুলে ধরে এনভায়রনমেন্টাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে সেরা গবেষণাপত্রের সম্পাদক হয়েছেন চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের শিক্ষক সুদীপ কুমার পাল এবং একই বিভাগের সাবেক শিক্ষার্থী মো. মেহেদী হাসান মাসুম। এই গবেষণার মাধ্যমে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতাসহ সংশ্লিষ্ট সমস্যার সমাধান দেওয়া সম্ভব হবে।

তাদের এই অর্জনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ রফিকুল আলমও উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন।

আরও পড়ুন : যবিপ্রবির পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের নবীন বরণ অনুষ্ঠিত

তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান কাজ হলো গবেষণা করা। নতুন নতুন গবেষণা এবং গবেষণালব্ধ জ্ঞান সবার মধ্যে তুলে ধরা। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণায় এগিয়ে যাচ্ছে। যার ধারাবাহিকতায় এ অর্জন। আমরা চুয়েট পরিবার তাদের এই অর্জনে অত্যন্ত খুশি।’

উল্লেখ্য, সম্মেলনে সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তৃতা রাখেন চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের আরেক অধ্যাপক ড. আয়েশা আক্তার।

ওডি/এমএ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড