• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩০ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

রমেকে সন্ধানীর ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত

  রমেক প্রতিনিধি

০৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১০:১৩
রমেক
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে র‍্যালি (ছবি : দৈনিক অধিকার)

রংপুর মেডিকেল কলেজে (রমেক) সন্ধানী কেন্দ্রীয় পরিষদের ৪৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়েছে।

বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় কলেজ ক্যাম্পাসে একটি র‍্যালি বের করা হয়। র‍্যালি শেষে কেক কাটা ও সুভ্যেনির উন্মোচন করা হয়। এছাড়াও সন্ধানী রমেক ইউনিটের আজীবন সদস্যদের ক্রেস্ট দিয়ে সম্মানিত করা হয়।

সন্ধানী মেডিকেল ও ডেন্টাল শিক্ষার্থীদের দ্বারা পরিচালিত একটি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান। ১৯৭৭ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে স্বেচ্ছায় রক্তদান আন্দোলনের পথিকৃৎ ‘সন্ধানী’ যাত্রা শুরু করে। বন্ধুর প্রতি ৬ জন উদ্যমী তরুণের অকৃত্রিম ভালোবাসা থেকে জন্ম নেয় ঢাকা মেডিকেল কলেজের এই উজ্জ্বল নক্ষত্রটি।

আর্থিক অনটনে জর্জরিত ২য় বর্ষের এক শিক্ষার্থীর সকালের নাস্তার টাকা যোগাড় করে দেওয়ার মাধ্যমে সন্ধানীর আত্মপ্রকাশ। আত্মপ্রকাশের পরবর্তী এক বছর বিভিন্ন ধরনের সমাজসেবামূলক কাজে অংশগ্রহণ করলেও ‘স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি’ সন্ধানীর কার্যক্রমের আওতাভুক্ত ছিল না।

১৯৭৮ সালের ২ নভেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংকে সন্ধানী প্রথমবারের মতো স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করে এবং পরবর্তীকালে এই দিনটিকেই ‘জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস’ হিসেবে পালন করার ঘোষণা দেওয়া হয়।

এরপর সন্ধানীর সহযোগী অঙ্গসংগঠন হিসেবে সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতি, 'সন্ধানী ডোনার ক্লাব, সন্ধানী কেন্দ্রীয় রক্ত পরিসঞ্চালন কেন্দ্র, প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সন্ধানী তার কার্যক্রমের বিস্তার বাড়াতে থাকে।

সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান (ছবি : দৈনিক অধিকার)

ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে যাত্রা শুরু হলেও বর্তমানে সন্ধানীর ২৬টি ইউনিট বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজগুলোতে একযোগে কাজ করছে।

আর্তমানবতার সেবায় অক্লান্ত কাজ করে যাওয়া সন্ধানী, তার কাজের স্বীকৃতি স্বরূপ ২০০৪ সালে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ‘স্বাধীনতা পদক’ অর্জন করে।

এশিয়াতে একমাত্র সংগঠন হিসেবে ১৯৯৫ সালে কমন ওয়েলথ ইয়ুথ সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড অর্জন এবং ও.ডি.এ-ইউ.কে ১৯৯৫ অর্জনের মাধ্যমে ‘সন্ধানী’ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে পরিচিতি পায়। দীর্ঘ ৪৩ বছর ধরে অসহায়-পীড়িত মানুষের আস্থার স্থল সন্ধানী আরও অনেক দেশীয় সম্মাননা পদক অর্জন করেছে। ক্রমবর্ধমান চাহিদার কারণে বর্তমানে এর কর্ম পরিসরও বৃদ্ধি পেয়েছে।

রংপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. এ কে এম নুরুন্নবী লাইজু বলেন, ‘সন্ধানী সারা বাংলাদেশে অনন্য এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। দেশসহ বিদেশেও সন্ধানীর সুনাম রয়েছে। শুভকামনা রইলো সন্ধানীর জন্য।’

সন্ধানী রমেক ইউনিটের সভাপতি মো. হারুন-অর রশীদ বলেন, ‘সন্ধানী এক আবেগ ও অনুভূতির নাম। হাসপাতালের অসহায় মানুষগুলোর কাছে যখন সন্ধানী এক আস্থার প্রতীক হয়ে দাঁড়াতে শুনি তখন এক অলীক প্রশান্তি হৃদয় ছুঁয়ে যায়। মুমূর্ষুকে নতুন জীবন ফিরিয়ে দেওয়ার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন সন্ধানীয়ানরা।’

আরও পড়ুন : যবিপ্রবিতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ধর্মঘট

সাধারণ সম্পাদক তুষার চন্দ্র সিংহ বলেন, ‘রক্তদানের মাধ্যমে জীবন দানের ব্রত নিয়ে যে সংগঠনটি ৩৯ বছর যাবত মানব সেবায় কাজ করে যাচ্ছেন তার নাম সন্ধানী রমেক ইউনিট। আজ তার কর্মস্পৃহা তার পথকে করেছে গতিশীল।’

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন— রমেকের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. এ কে এম নুরুন্নবী লাইজু, উপাধ্যক্ষ মো. মাহফুজার রহমান, অধ্যাপক ডা. মোছা. কামরুন নাহার, ডা. আনিসুল ইসলাম খান, ডা. আশরাফুল হক, ডা. জাকির হোসেন, জান্নাতুল, ডা. নুরুল হাসান বাবুসহ প্রমুখ।

ওডি/এমএ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড