• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩২ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ইসমাঈলের হার না মানার গল্প

  মামুন সোহাগ

০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৫:২৯
ইসমাঈল হোসেন
প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ইসমাইল, ইনসেটে অধ্যক্ষ আশরাফ (ছবি : সম্পাদিত)

‘মহাখালীর আমতলীতে একটা প্রতিষ্ঠানে চাকরির জন্য আবেদন করি। পরীক্ষায় পাশ করলেও শারীরিক কমতি থাকায় চাকরিটা আমার হয়নি। মাঝেমাঝে মনে হয় আমি যেন সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন। ছোটবেলায় বাবাকে হারিয়েছি। মানুষের অনেক অবহেলা সহ্য করেছি, তবে এখন সব সয়ে গেছে। কষ্টকে কষ্ট মনে কয় না।’

মৃদুস্বরে কথাগুলো বলছিলেন তিতুমীর কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ইসমাঈল হোসেন।

ইসমাঈলের দুই পা হাঁটু পর্যন্ত। কোনো দুর্ঘটনায় তিনি পা হারাননি। সৃষ্টিকর্তা তাকে এমন শারীরিক বৈশিষ্ট্য দিয়েছেন। অর্থ কষ্ট, শারীরিক প্রতিবন্ধকতা সব এড়িয়ে পড়ছেন রাজধানীর অন্যতম সেরা কলেজ তিতুমীর কলেজে। মহাখালীতে অবস্থিত এই প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হওয়ার কিছুদিন আমতলীর এক মেস ভাড়া করে থেকেছেন। পরে টাকার অভাবে গাজীপুরে আপুর বাসায় চলে যান।

গাজীপুর থেকে তিতুমীর, তিতুমীর থেকে গাজীপুর এটাই ইসমাঈলের নিত্যকর্ম। কিছুদিন আগে তার পুরো জীবন নিয়ে কয়েকজন একটা ভিডিও চিত্র তৈরি করে। সেখানে ইসমাঈলের জীবন সংগ্রামের কঠোরতা উঠে আসে।

ইসমাঈলের বিষয়ে শিক্ষার্থীরা তিতুমীর কলেজ অধ্যক্ষকে অবহিত করেন। তিনি ইসমাইলের সার্বিক খোঁজ খবর নেন। সেই সঙ্গে অনার্স পর্যন্ত ইসমাইলের সব খরচ বহন করার প্রতিশ্রুতি দেন। এছাড়া তিনি ইসমাইলের আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করার কথাও জানান।

আরও পড়ুন : মুখোমুখি জাবি ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ

অধ্যক্ষ বলেন, ‘প্রথমেই ইসমাইলকে সাধুবাদ জানাই। কারণ শারীরিক প্রতিবন্ধকতাও তাকে দমাতে পারেনি। তার সাফল্য কামনা করি। এছাড়াও তার সব ধরনের সহযোগিতায় পাশে আছি।’

অধ্যক্ষ অধ্যাপক আশরাফ হোসেনের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে ইসমাইল বলেন, ‘ছোটবেলায় বাবাকে হারিয়েছি। এখন মনে হচ্ছে বাবাকে পেলাম। স্যারের প্রতি আজীবন কৃতজ্ঞ থাকব।’

ওডি/এমএ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড