রাবি প্রতিনিধি
পুলিশের ভুলে শুধু নামের মিল থাকায় হত্যা মামলায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) এক নিরপরাধ শিক্ষার্থীর জেলে থাকার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
গ্রেপ্তারকৃত ওই শিক্ষার্থীর নাম শাহীনুর রহমান। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের এমবিএর শিক্ষার্থী। তার বাবার নাম নূর মোহাম্মদ সরদার। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার। তাদের বাড়ি রাজশাহী নগরের শিরোইল কলোনি এলাকায়। অপরদিকে প্রকৃত আসামি শাহীন আহাম্মদ। তার বাবার নাম নাসির। তার বাড়ি নগরের শিরোইল কলোনির পশ্চিমপাড়ায়।
২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর পশ্চিম রেলের সরঞ্জাম নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে সানোয়ার হোসেন রাসেলের মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় সানোয়ারের ভাই মনোয়ার হোসেন রনি বাদী হয়ে নগরের চন্দ্রিমা থানায় একটি মামলা করেন।
গ্রেপ্তার শাহীনুর রহমানের ছোট বোন নাজমুন নাহার অভিযোগ করে বলেন, ঘটনার দিন তার ভাই চাঁপাইনবাবগঞ্জে ছিলেন। সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে পাড়ার মোড়ে সেলুনে শেভ করতে যান। সেখান থেকে শাহীন নাম শুনেই পুলিশ তাকে তুলে নিয়ে যায়। অথচ এই ঘটনার সঙ্গে তার কোনো সম্পর্ক নেই।
নাজমুন নাহার আরও বলেন, শাহীনুরের পরীক্ষার জন্য মুক্তির আবেদন করা হয়েছিল। তাকে ৪ ডিসেম্বর থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত প্রথম দফায় এবং ৭ থেকে ২০ জানুয়ারি পর্যন্ত দ্বিতীয় দফায় প্যারোলে মুক্তি দেওয়া হয়। কিন্তু মৌখিক পরীক্ষা ও ‘ইন্টার্নশিপ’ শেষ হওয়ার আগেই ২০ জানুয়ারি আদালতে আত্মসমর্পণ করতে হয়। আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
নিহত সানোয়ার হোসেনের বড় ভাই আনোয়ার হোসেন ওরফে রাজা গত ১১ ডিসেম্বর ইসলাম হোসেন খানের একটি স্ট্যাটাস শেয়ার করেছেন, যাতে শাহীন আহাম্মেদের ছবি দিয়ে লেখা আছে, ‘যুবলীগ নেতা সানোয়ার হত্যার আসামি শাহীন আহাম্মেদ। তাকে দেখামাত্র পুলিশে ধরিয়ে দিন’।
জানতে চাইলে মামলার বাদী মনোয়ার হোসেন বলেন, ‘মামলার মূল আসামিরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু পুলিশ তাদের ধরছে না।’
চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুম মুনির বলেন, ‘মামলার এজাহার করার সময় যে ওসি ছিলেন এবং যে তদন্ত কর্মকর্তা ছিলেন, তাদের বদলি হয়ে গেছে। তারা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছেন।’
আরও পড়ুন : চবিতে বাহারি আয়োজনে পিঠা উৎসব
মামলায় শাহীনুর রহমানের আইনজীবী মোকলেসুর রহমান বলেন, ‘আদালতকে বিষয়টি বরাবরই বলা হচ্ছে। কিন্তু আদালতের বক্তব্য হচ্ছে পুলিশের প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত স্বপ্রণোদিত হয়ে এই মুহূর্তে আদালতের কিছু করার সুযোগ নেই।’
ওডি/এমএ
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড