চবি প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর লাশ নিয়ে অনেকেই অপরাজনীতিতে মেতেছে বলে জানিয়েছে দিয়াজের অনুসারী ছাত্রলীগের একাংশ।
রবিবার (২০ জানুয়ারি) চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (চবিসাস) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন তারা। এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক আমীর সোহেল।
তিনি বলেন, ‘দিয়াজ ইরফান চৌধুরী ছিলেন আমাদের ভাই। আমরা ‘বাংলার মুখ পরিবার’ বরাবরের মতোই দাবি জানাই দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য দ্রুত সময়ের মধ্যে উন্মোচিত হোক। এ মৃত্যু যদি হত্যাকাণ্ড হয়ে থাকে, তাহলে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত হোক।’
তিনি আরও বলেন, ‘দিয়াজ ভাইয়ের মৃত্যুর পর থেকে বিভিন্ন সময়ে আমরা এ মৃত্যুর সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা উন্মোচনের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছি। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে আমরা লক্ষ্য করেছি দিয়াজ ভাইয়ের লাশ নিয়ে অনেকেই অপরাজনীতির খেলায় মেতে উঠেছে। এ অপরাজনীতি থেকে দূরে সরে আসুন। না হয়, আমরা আপনাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হব।’
লিখিত বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, ‘বাংলার মুখ পরিবারের সাথে দিয়াজ ইরফান চৌধুরীর পরিবারের কোনো রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা নেই। আমরা আ জ ম নাছির উদ্দিনের অনুসারী এবং নেতার প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধাশীল। দিয়াজ ভাইয়ের বিষয়টি যেহেতু তদন্তাধীন সেহেতু এটা নিয়ে কারও মন্তব্য কাম্য নয়।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘সামনে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। এটাকে কেন্দ্র করে দিয়াজের মৃত্যুর সঙ্গে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিনকে জড়িয়ে বিভিন্ন কুচক্রী মহল বিভিন্ন রকম অপরাজনীতি করার চেষ্টা করে আসছেন।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন- চবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক আবু সাঈদ মারজান, ছাত্রলীগ নেতা আবু সুফিয়ান ও জান্নাতুল নাইমা প্রমুখ।
উল্লেখ্য, ২০১৬ সালের ২০ নভেম্বর রাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট এলাকায় ভাড়া বাসায় নিজ কক্ষ থেকে দিয়াজের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। দিয়াজের মরদেহের ১ম ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘তিনি আত্মহত্যা করেছেন।’ কিন্তু দিয়াজের পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে ২য় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে উঠে আসে, ‘আত্মহত্যা নয় দিয়াজকে খুন করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন : সাংসদ মান্নানের মৃত্যুতে হাবিপ্রবির প্রগতিশীল শিক্ষকদের শোক
এ ঘটনার পর ওই বছরের ২৪ নভেম্বর জাহেদা আমিন চৌধুরী বাদী হয়ে আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ মামলার আসামিরা হলেন- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী প্রক্টর আনোয়ার হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি আলমগীর টিপু, সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবুল মনসুর জামশেদ, বিলুপ্ত কমিটির প্রচার সম্পাদক রাশেদুল আলম জিসান, ছাত্রলীগ কর্মী আবু তোরাব পরশ, মনসুর আলম, আব্দুল মালেক, মিজানুর রহমান, আরিফুল হক অপু ও মোহাম্মদ আরমান। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ৮-১০ জনকে আসামি করা হয়েছিল। মামলাটি বর্তমানে সিআইডি তদন্ত করছে।
ওডি/এমআরকে
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড