• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

৪ মাস পরেও অরক্ষিত জবির দ্বিতীয় ফটক

  জবি প্রতিনিধি

১৭ জানুয়ারি ২০২০, ১৮:২৩
জবি
জবির দ্বিতীয় ফটক (ছবি : সংগৃহীত)

শিক্ষার্থীদের দীর্ঘ আন্দোলনের পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দ্বিতীয় ফটক অবৈধ দখল মুক্ত হলেও এখনো লোহার ফটক লাগানো হয়নি। এমনকি নিরাপত্তার জন্য নেই কোনো সিসি ক্যামেরা। একমাত্র নাইট গার্ডই শেষ ভরসা। এতে করে নানা ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, ২য় ফটকে কোনো ধরেনের লৌহ কপাট না থাকায় অনায়াসে যে কেউই জবি ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারছেন। এতে ক্যাম্পাসের সার্বিক নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটছে। এর ফলে, বেড়েছে ছিনতাই হওয়ার সম্ভাবনা। বেশ কিছুদিন আগেই এ গেট দিয়ে প্রায় ১০-১৫টি সাইকেল ও মোটরসাইকেল চুরি হওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলেও জানা যায়।

এছাড়া এ ফটকের কিছুটা দূরে ‘বাহাদুর শাহ’ পরিবহনের যাত্রী ওঠা-নামা করায় সার্বক্ষণিক যানজট প্রতিদিনের ঘটনা। এর ফলে, শিক্ষার্থীরা ২য় ফটক দিয়ে চলাচলের বাড়তি সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে।

এই ফটক দিয়ে চলাচল করে এমন একটি বাস উল্কা-৩। এ বাসে চলাচলকারী সোহেল রানা বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে সহজে প্রবেশ করার জন্যই এ ফটকটি উদ্ধার করা হয়েছিল। কিন্তু বেশ কিছু সীমাবদ্ধতার কারণে আমরা কাঙ্ক্ষিত সুবিধা আদায়ে বঞ্চিত হচ্ছি। এছাড়া লোহার গ্রিল না থাকায়, সহজেই বাইরের লোকজন ঢুকে যাচ্ছে। এতে অরক্ষিত হয়ে পড়েছে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা ব্যবস্থা, এ জন্য প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।’

ব্যবস্থাপনা বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী জানান, ফটকটিতে প্রতিশ্রুতি মোতাবেক যতদ্রুত সম্ভব লৌহ ফটক লাগিয়ে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা উচিত প্রশাসনের।

অনুসন্ধানে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবত নতুন ভবন মেরামতের নামে জবির এই গেটটি সম্পূর্ণ অব্যবহৃত অবস্থায় ছিল। এতে করে গেটের সামনের অংশটি ‘বাহাদুর শাহ’ লেগুনা স্ট্যান্ডের পার্কিংয়ের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছিল। এই জায়গায় দিনে-দুপুরে শিক্ষার্থীদের বিশেষ করে ছাত্রীদের যাওয়ার উপযুক্ত পরিবেশ ছিল না।

দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে মানববন্ধন, স্মারকলিপি ও আন্দোলনের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে ২য় গেট উন্মুক্ত করতে দাবি জানিয়ে আসছিল শিক্ষার্থীরা। আশানুরূপ ফল না পেয়ে ২০১৮ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে ঝালাইকৃত টিনসমেত বন্ধ কপাট ভেঙে গেটটি উন্মুক্ত করে এবং দীর্ঘদিন ধরে গেইট দখল করে থাকা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহায়তায় এই গেটের সামনে অবস্থিত লেগুনা স্ট্যান্ড ও ২৫টির বেশি টং দোকান অপসারণ করা হয়।

পরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা নতুন লৌহ কপাট নির্মাণ করে গেটে লাগানোর দাবি তুললে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১ মাসের মধ্যে গেটের সঙ্গে গ্রিল লাগানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। কিন্তু চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি ৪ মাস কেটে গেলেও বাস্তবায়নের মুখ দেখেনি শিক্ষার্থীরা।

এ বিষয়ে তাওসিব মাহমুদ সোহান বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত এমন বিষয়ে প্রশাসনের এই ঢিলেমি হতাশাজনক। এই ৪ মাসের মধ্যে আমরা পুনর্বার স্মারকলিপি দিয়েও কোনো কার্যকরী প্রতিফলন পাইনি, আমরা আশা করব প্রশাসন অনতিবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’

আরও পড়ুন : বুটেক্সে বেসিস সফট এক্সপো ক্যাম্পাস অ্যাক্টিভেশন অনুষ্ঠিত

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর মোস্তফা কামাল বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তাজনিত যে কোনো বিষয়ে আমরা সজাগ দৃষ্টি রাখি। খুব দ্রুতই আমরা নতুন ফটক লাগানোর ব্যাপারে কাজ করব।’

ওডি/এমআরকে

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড