উপাচার্যের বক্তব্যে জবিসাসের প্রতিবাদ ও নিন্দা

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) কর্মরত সাংবাদিকদের ‘মূর্খ’ বলে উপাচার্যের দেওয়া বক্তব্য ও ক্যাম্পাসে প্রকাশ্যে পত্রিকা পোড়ানোর ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি (জবিসাস)।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির দপ্তর, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আহসান জোবায়ের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি হুমায়ুন কবির ও সাধারণ সম্পাদক লতিফুল ইসলাম এই প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান।

জানা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোস্তফা কামালের বিরুদ্ধে বিধি বহির্ভূতভাবে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের অভিযোগ নিয়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে সংবাদ প্রকাশ করায় বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিকদের ‘মূর্খ’ বলে বক্তব্য দেন উপাচার্য ড. মীজানুর রহমান। অন্যদিকে মোস্তফা কামালের পিএইচডি জালিয়াতির সংবাদকে মিথ্যা আখ্যা দিয়ে দুটি জাতীয় দৈনিক পুড়িয়েছে প্রক্টরপন্থি জবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

যৌথ বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি বস্তুনিষ্ঠতায় বিশ্বাসী। বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরকে নিয়ে সম্প্রতি কয়েকটি পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের যথাযথ প্রমাণ ও নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে যাচাই করা। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তার নিয়োগ ও পিএইচডি ডিগ্রি প্রদানে অনিয়মের তদন্ত না করেই তার পক্ষে সাফাই গেয়ে উল্টো সাংবাদিকদের ‘মূর্খ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সর্বোচ্চ জায়গা থেকে উপাচার্যের এ বক্তব্যে সাংবাদিক সমাজ হতাশ এবং যা কোনোভাবেই কাম্য নয়।’

আরও পড়ুন : উপাচার্যের আশ্বাসে অনশন ভাঙলেন ইটিই শিক্ষার্থীরা

নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘প্রকাশিত সংবাদ সম্পর্কে বক্তব্য থাকলে প্রতিবাদলিপি দিবে অথবা সংশ্লিষ্ট সংবাদ প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনা করবে। এটাই পেশাদারিত্ব। কিন্তু এর পরিবর্তে ক্যাম্পাসে মিছিল ডেকে, পত্রিকা পুড়িয়ে ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করা কোনোভাবেই কাম্য নয়। ভবিষ্যতে এরূপ যে কোনো কর্মকাণ্ড ও বক্তব্য প্রদান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা বিরত থাকবেন বলে মনে করি।’

ওডি/এমএ