ইবি প্রতিনিধি
বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী ছাত্রত্ব হারালেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী তৌকির মাহফুজ।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইবি ইংরেজি বিভাগের সভাপতি ড. সালমা সুলতানা।
জানা যায়, তৌকির মাহফুজ ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি হলেও স্নাতক ৪র্থ বর্ষে চূড়ান্ত পরীক্ষা ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দিয়েছেন। ২০১৭ সালে অনুষ্ঠিত ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষের চতুর্থ বর্ষ স্নাতক (সম্মান) চূড়ান্ত পরীক্ষা ২০১৫ সালের এ ফল থেকে দেখা যায়, মাহফুজ ১০৬ নম্বর কোর্সে অকৃতকার্য হয়েছেন। পরবর্তীকালে ২০১১-১২ শিক্ষাবর্ষে ৪র্থ বর্ষ মান উন্নয়ন (সম্মান) চূড়ান্ত পরীক্ষা ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু তৌকির মাহফুজ, এ মান উন্নয়ন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেননি এবং রেজাল্টে তার নামও পাওয়া যায়নি।
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী যদি কোনো শিক্ষার্থী মানোন্নয়ন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ না করে, তবে তাকে আর মানোন্নয়ন পরীক্ষা অংশগ্রহণ করার সুযোগ দেওয়া হবে না। পরবর্তীকালে তিনি বিশেষ মান উন্নয়নের জন্য আবেদন করেন। কিন্তু বিভাগ সূত্রে জানা যায়, অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলে এই আবেদন গৃহীত হয়নি।
এছাড়া, গত বছরের ২৪ নভেম্বর মাহফুজের বিরুদ্ধে প্রতিবন্ধী না হয়েও প্রতিবন্ধী কোটায় ভর্তি এবং স্নাতক সম্পন্ন করতে না পারার সংবাদ বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
এ বিষয়ে সহকারী পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক সাইদুজ্জামান বলেন, ‘ফলাফলের এ ভুলটি বিভাগীয় পরীক্ষা কমিটি এবং পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসের কারও চোখেই পড়েনি। ভুলক্রমে তার তৃতীয় বর্ষের ফলাফলে অকৃতকার্য হওয়া সত্ত্বেও কৃতকার্য দেখানো হয়েছে। পরে বিভাগ তা সংশোধন করে দিলে আমরা চূড়ান্তভাবে সংশোধিত ফলাফল প্রকাশ করি।’
সিন্ডিকেট সভায় অনুমোদন সাপেক্ষে সাময়িকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের তৃতীয় বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা-২০১৩ এর সংশোধিত ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। এতে ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত ইংরেজি বিভাগের ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষের তৃতীয় বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষার সংশোধিত ফলাফলে তৌকির মাহফুজ অনুত্তীর্ণ হয়েছেন বলে ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা যায়। মাহফুজের রোল ১০১০১০৯।
পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস সূত্রে জানা যায়, তৌকির মাহফুজ মাসুদ ১ম বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষায় সিজিপিএ ২.২৯ নম্বর পেয়েছেন ও ১০৬ নম্বর কোর্সে অকৃতকার্য হয়েছেন। তার ২য় ও ৩য় বর্ষে সিজিপিএ যথাক্রমে ২.৫৩ ও ২.২৮। তিন বর্ষ মিলিয়ে পেয়েছেন ২.৩৭। অর্ডিন্যান্স অনুযায়ী তৃতীয় বর্ষে উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য প্রয়োজন ২.৫০ সিজিপিএ। পর্যাপ্ত ফল না পাওয়ায় তিনি তৃতীয় বর্ষে অকৃতকার্য হন। বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ অনুযায়ী তৃতীয় বর্ষেই তার ছাত্রত্ব চলে গেছে।
আরও পড়ুন : সাংবাদিকের ওপর হামলার ঘটনায় ঢাবির ২ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন, ‘ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়ম কখনোই তামাদি হবে না। যখনই দৃষ্টিগোচর হচ্ছে তখনই ব্যবস্থা নিচ্ছি।’
ওডি/এমআরকে
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড