• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩২ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

জবিতে মাইগ্রেশনের নামে দেড় লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি

  জবি প্রতিনিধি

১৪ জানুয়ারি ২০২০, ১৩:২৩
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (ছবি : দৈনিক অধিকার)

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে মাইগ্রেশনের নামে ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় জড়িতদের নামে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগ পত্রে তাকে মাইগ্রেশনের নামে ও ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক উঠিয়ে নেওয়ার মতো ঘটনা ঘটে বলে উল্লেখ করেন।

অভিযুক্তরা হলেন- তৎকালীন জগন্নাথ কলেজের সাবেক জিএস জাহাঙ্গীর সিকদার ঝোটনের ছেলে সায়েম সিকদার ও তার অনুসারী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী সামিউল তাসবাহ শিশির, কবি নজরুল কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আজিজুল খান রাফি, শোভন, হিমেল ও সৈকত। এদের মধ্যে শুধু আজিজুল খান রাফিকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

অভিযোগপত্র ও ভুক্তভোগীর বক্তব্য থেকে জানা যায়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দেওয়ার পরে ভুক্তভোগীর পজিশন ছিল ২ হাজার ৩৬। প্রথমে সাবজেক্ট না পেলেও পরবর্তীকালে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে সুযোগ পান তিনি। পরে আজিজুল খান রাফি তাকে মাইগ্রেশন করিয়ে আইন বিভাগে ভর্তি করে দেওয়ার প্রস্তাব দেয়। তখন ভুক্তভোগী পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানায়।

এরপর অভিযুক্তরা তার কাছ থেকে পজিশন দেখার জন্য ভর্তির রোল নম্বর নেয়। তবে মাইগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ অটোমেটিক হয় জেনে তাদের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন ওই শিক্ষার্থী। প্রত্যাখ্যান করে দেওয়ার পর তারা ৮০ হাজার টাকা খরচ করেছে বলে দাবি করে। তারা মাইগ্রেশনের নামে টাকা চাইলেও ভুক্তভোগীর মাইগ্রেশন হয়নি। সেই টাকা দেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে হয়রানি ও হুমকি দিতে থাকে অভিযুক্তরা।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী আরও জানান, অভিযুক্তরা ৮ ও ৯ তারিখ দুইবার বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ক্যাম্পাস পার্শ্ববর্তী প্রজন্মলীগ নেতা সায়েম সিকদারের অফিসে তুলে নিয়ে টাকার জন্য চাপ দেয়। সায়েম সিকদার জগন্নাথ কলেজের (বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) সাবেক জিএস জাহাঙ্গীর সিকদার ঝোটনের ছেলে।

এরই প্রেক্ষিতে গত সোমবার ভুক্তভোগীকে তুলে নেওয়ার জন্য শিশির ও রাফি ক্যাম্পাসে আসে। এ দিকে ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী বিষয়টি সিনিয়রদের জানালে তারা অভিযুক্ত আজিজুল খান রাফিকে প্রক্টর অফিসে নিয়ে যায়। পরে আজিজুল খান রাফিকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে সায়েম শিকদারের অফিসে অভিযান চালায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডি। তার অফিস বন্ধ পেয়ে ফিরে আসে তারা। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর নিউটন হাওলাদার ও বিভাস কুমার সরকার উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়টি নিয়ে সায়েম শিকদারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে তার মুঠোফোনে ফোন দিলে নারীর কণ্ঠে একজন জানান, এটা সায়েম শিকদারের নম্বর নয়।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রক্টর মোস্তফা কামাল বলেন, ‘এ ঘটনায় শিক্ষার্থী বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেছেন, বিষয়টি পুলিশ দেখবে। আমাদের কাছে আবেদন করেছে, আমরা তদন্ত করে দেখব। বিশ্ববিদ্যালয়ের যারা এ বিষয়ের সঙ্গে জড়িত আছে তাদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বাহিরের যারা জড়িত আছে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

আরও পড়ুন : শহীদ মিনারের পরিবর্তন চান জবি শিক্ষার্থীরা

মামলার বিষয়ে জানতে কোতোয়ালি থানার ওসি (তদন্ত) নূর আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ৬ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় একটি চাঁদাবাজির মামলা করেছে। একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া চলছে।’

ওডি/এসজেএ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড