প্রতিষ্ঠার ৫০ বছরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

প্রতিষ্ঠার ৪৯ বছর পেরিয়ে ৫০ বছরে পদার্পণ করল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি)। ১৯৭১ সালের এই দিনে (১২ জানুয়ারি) ১৫০ জন ছাত্র ও ৪টি বিভাগ নিয়ে যাত্রা শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়টি।

এ উপলক্ষে রবিবার (১২ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১০টায় র‌্যালির মধ্যে দিয়ে দিনের কর্মসূচি শুরু হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের সামনে জাতীয় পতাকা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন এবং বেলুন উড়িয়ে দিবসটির উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলাম।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর উপাচার্যের নেতৃত্বে একটি আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু হয়। শোভাযাত্রাটি বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক সমূহ প্রদক্ষিণ করে সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে এসে শেষ হয়।

শোভাযাত্রায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক আমির হোসেন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক নুরুল আলম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক শেখ মনজুরুল হক, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার রহিমা কানিজ, ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষক-শিক্ষার্থী এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন।

দিবসটি উপলক্ষে দিনব্যাপী নানা কর্মসূচির মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেলিম আল দীন মুক্তমঞ্চে ছাত্র কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের আয়োজনে এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া বেলা আড়াইটায় বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী পুতুল নাট্য প্রদর্শনী, বিকেল পাঁচটায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের উদ্যোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং সন্ধ্যা সাতটায় নকশীকাঁথা ব্যান্ডের সঙ্গীতানুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিল (ছবি : সংগৃহীত)

এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসে উপাচার্য অধ্যাপক ফারজানা ইসলামের অপসারণের দাবিতে কালো পতাকা প্রদর্শন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগরের ব্যানারে আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

রবিবার সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বর থেকে কালো পতাকা ও বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে পুরাতন কলা ভবনের সামনে বিশ্ববিদ্যালয় দিবসের র‌্যালি শুরুর স্থলে যান আন্দোলনকারীরা। পরবর্তীকালে সেখান থেকে আবারও ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়কসমূহ প্রদক্ষিণ করে অমর একুশ পাদদেশে এক প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করেন তারা।

সমাবেশে আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের অপসারণের দাবি জানান। এছাড়া উপাচার্যের মদদে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার অভিযোগ তুলে তদন্তের মাধ্যমে উপাচার্যকে রাষ্ট্রীয় আইনে বিচারের মুখোমুখি করার দাবিও জানান।

প্রতিবাদ সমাবেশে দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগরের সংগঠক অধ্যাপক সাঈদ ফেরদৌস বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করে আসছি। এই প্রকল্পের টাকা থেকে দুর্নীতি যদি না হবে তাইলে উপাচার্য কেন এত বিচলিত, উপাচার্য কেন শিক্ষার্থীদের ওপরে হামলার ইন্ধন দিচ্ছেন, কেন শিক্ষকদের ফোনালাপ ফাঁস করছেন?

আরও পড়ুন : কম্পিউটেনিগমা ইনোভেটিভ আইডিয়ায় চ্যাম্পিয়ন বুটেক্স

দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগরের সংগঠক ও ছাত্র ইউনিয়ন বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল রনি বলেন, ‘কোনো সন্ত্রাসের ইন্ধনদাতা ব্যক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে থাকতে পারেন না। অতীতের যেসব উপাচার্য সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করেছেন, শিক্ষার্থীদের ওপরে হামলা মামলা করেছেন তাদের পরিণতি ভালো হয়নি।’

ওডি/এমএ