• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

জাল সার্টিফিকেটে চাকরিতে যবিপ্রবির পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক

  যশোর প্রতিনিধি

১০ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৯:৫৯
আব্দুর রশীদ
অভিযুক্ত আব্দুর রশীদ (ছবি : সম্পাদিত)

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আব্দুর রশীদ জাল সার্টিফিকেট ব্যবহার করে ৯ বছর ধরে চাকরি করছেন। সম্প্রতি সনদপত্র যাচাই-বাছাইয়ে বিষয়টি ধরা পড়েছে।

সূত্র জানায়, তিনি ২০১০ সালে ভুয়া সার্টিফিকেট ব্যবহার করে চাকরি নেন। দেড় মাস আগে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আব্দুর রশীদের সার্টিফিকেটটি জাল বলে নিশ্চিত করে। তবে এখনো তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালে যবিপ্রবিতে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক হিসেবে আব্দুর রশিদ যোগ দেন। এ সময় তার দাখিল করা এলএলবি সার্টিফিকেটে পাশের সাল দেখানো হয় ১৯৯২। তার এইচএসসি পরীক্ষায় তৃতীয় বিভাগ থাকায় অধিকতর শিক্ষাগত যোগ্যতা হিসেবে তিনি এই এলএলবি সার্টিফিকেট জমা দেন। কিন্তু যবিপ্রবি কর্তৃপক্ষ গত ১২ অক্টোবর পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আব্দুর রশীদসহ কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারী ১৭টি সার্টিফিকেট যাচাই-বাছাইয়ের জন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠান।

সেই অনুযায়ী রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. বাবুল ইসলাম গত ২২ অক্টোবর যবিপ্রবি রেজিস্ট্রারের কাছে একটি চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আব্দুর রশীদের এলএলবি সার্টিফিকেটটি জাল।

যবিপ্রবি রেজিস্ট্রারের কাছে পাঠানো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের চিঠি (ছবি : সংগৃহীত)

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক তার চিঠিতে উল্লেখ করেন, ‘অফিস রেকর্ড অনুযায়ী মো. আব্দুর রশীদের সনদপত্রে নামের বানানে গড়মিল থাকায় এবং মো. নজরুল ইসলামের সনদপত্র ইস্যুর তারিখ ভিন্ন হওয়ায় তা যাচাই করা গেল না। মো. আব্দুর রশিদের (এলএলবি/জুলাই ১৯৯২) সনদপত্রে ফল টেম্পারিং করা। উক্ত মো. আব্দুর রশীদের সনদপত্রটি জাল বা ভুয়া।’

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আব্দুর রশীদ জানান, ‘১৯৯২ নাকি ১৯৯৫ সালে আমি এলএলবি পাস করেছি তা ঠিক এই মুহূর্তে মনে নেই। সনদপত্র যাচাই বাছাই করা হচ্ছে কি না তাও আমি জানি না।’

এ বিষয়ে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. আহসান হাবীব জানান, ‘সনদপত্রের যাচাই-বাছাইয়ের জন্য একটি কমিটি করা হয়েছে। কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক আব্দুল মজিদ বিষয়টি ভালো বলতে পারবেন।’

সনদপত্র যাচাই বাছাই কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক আব্দুল মজিদ বলেন, ‘সনদপত্রে যাচাই-বাছাইয়ের জন্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে আমরা পাঠিয়েছিলাম। যদি কারও সনদপত্রের ত্রুটি থাকে তাহলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

ওডি/এফইউ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড