• বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩১ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

চুয়েটে আবেগের সমাবর্তন

  চুয়েট প্রতিনিধি

০৬ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৯:৫৬
চুয়েট
বন্ধুদের সঙ্গে ফটোসেশনে শিক্ষার্থীরা (ছবি : দৈনিক অধিকার)

দীর্ঘদিন পর আবার আনন্দ আড্ডায় মুখর প্রিয় ক্যাম্পাস, নতুন-পুরনোর মেলবন্ধনে তৈরি স্মরণীয় এক মুহূর্ত। প্রিয় ক্যাম্পাসের চেনা রাস্তাগুলো আবার চেনা শিক্ষার্থীদের ভিড়ে আড়ষ্ট। দীর্ঘদিনের আবেগ ও ভালোবাসার সুন্দর মুহূর্তগুলো কাঁধে কাঁধে মিলিয়ে স্মৃতিতে ধরা দিচ্ছে। কতশত গল্পের ঠিকানা গোলচত্বর, কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ, হতাশার চত্বর, আবাসিক হল ও বিভাগের পুরনো রাস্তাগুলো এখন নতুনভাবে মুখর। স্মৃতিগুলো পুরনো হলেও আবেগের জায়গাটা ঠিক একই। বিশ্ববিদ্যালয়ের চেনা রাস্তাগুলো সব কালো গাউনে ভরপুর। কেউ আকাশে ক্যাপ উড়িয়ে আলোকচিত্র ধারণে ব্যস্ত, কেউ সমাবর্তনে শূন্য আকাশে উড়াল দিয়ে স্মৃতিচারণায় মত্ত।

বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) ৪র্থ সমাবর্তন অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা এভাবেই আবেগাপ্লুত হয়ে গিয়েছিলেন।

বেলা ১২টা ৩০ মিনিটের মধ্যে নিবন্ধিত গ্র্যাজুয়েট ও আমন্ত্রিত অতিথিরা আসন গ্রহণ করেন। কড়া নিরাপত্তায় বেলা ২টা ৪০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। বেলা ৩টায় তিনি সমাবর্তন অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন। এ সময় স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। পরবর্তীতে সমাবর্তন বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সাবেক সভাপতি অধ্যাপক এ কে আজাদ চৌধুরী।

সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ (ছবি : দৈনিক অধিকার)

অনুষ্ঠান শেষে সমাপনী বক্তৃতা দেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আবদুল হামিদ। এ সময় তিনি স্নাতকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় হলো জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। যেখানে ছাত্রদের অন্তর্নিহিত মেধার সৃজনশীল বিকাশের সব আয়োজন নিশ্চিত করা হয়। কেবল পুঁথিগত বিদ্যা নয়, বরং দেশ-বিদেশের সর্বশেষ তথ্যসমৃদ্ধ শিক্ষা, গবেষণা এবং সৃজনশীল কর্মকাণ্ডে যাতে শিক্ষার্থীরা সম্পৃক্ত হতে পারে, সে দ্বার উন্মোচন করবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।’

এ সময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীর মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় থাকা আবশ্যক বলে মনে করেন, এবং সেজন্য শিক্ষকদের স্নেহশীল ও অভিভাবকতুল্য হওয়ার নির্দেশনা দেন। পরবর্তীতে তিনি স্নাতকদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা করে দেশ ও জাতির কল্যাণে অবদান রাখার পরামর্শ দেন।

এবারের সমাবর্তনে গত চার বছরের সর্বোচ্চ সিজিপিএধারী ৩ জনকে ‘বিশ্ববিদ্যালয় স্বর্ণপদক’ প্রদান করা হয়। তারা হলেন- ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে পাসকৃত তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক কৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী ই.এম.কে. ইকবাল আহামেদ, ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে পাসকৃত শিক্ষার্থী সঞ্চয় বড়ুয়া এবং ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষে পাসকৃত কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের শিক্ষার্থী মো. রাশেদুর রহমান।

সমাবর্তনে অংশ নেয়া এক গ্র্যাজুয়েট তার অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, ‘সমাবর্তনে অংশগ্রহণ করতে পেরে অনেক আনন্দ লাগছে। ক্যাম্পাসে কাটানো বন্ধুদের সঙ্গে অনেক দিন পর দেখা হয়েছে। বন্ধুদের সঙ্গে আবার কবে দেখা হবে জানি না, আমার মনে হচ্ছে সমাবর্তনের দিনটি সারাজীবনের স্মৃতির পাতায় ধরে রাখার মত একটা দিন।’

উল্লেখ্য, সমাবর্তনে ৪ স্বর্ণপদকসহ মোট ২ হাজার ২৩১জন সমাবর্তন ডিগ্রী পেয়েছেন।

ওডি/এমএ

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড