• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

যবিপ্রবিতে অ্যান্টিবায়োটিকের বিকল্প প্রোবায়োটিক উদ্ভাবন

  যবিপ্রবি প্রতিনিধি

০২ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৩:৩৪
যবিপ্রবি
অ্যান্টিবায়োটিক ও প্রোবায়োটিক ব্যবহারের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরছে গবেষক দল (ছবি : দৈনিক অধিকার)

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) একদল গবেষক পোল্ট্রি শিল্পের জন্য অ্যান্টিবায়োটিকের বিকল্প হিসেবে নতুন একটি প্রোবায়োটিক উদ্ভাবন করেছে। গবেষক দলটি প্রমাণ করেছে, পোল্ট্রি শিল্পে অ্যান্টিবায়োটিকের চেয়ে তাদের উদ্ভাবন করা প্রোবায়োটিক অধিক কার্যকর, লাভজনক, স্বাস্থ্যসম্মত এবং পরিবেশবান্ধব।

মাঠ পর্যায়ের পরীক্ষায় সাফল্য আসার পর রবিবার (১ ডিসেম্বর) যবিপ্রবির প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের আশ-পাশের গ্রামের পোল্ট্রিখামারিদের সামনে গবেষক দলটি অ্যান্টিবায়োটিক ও প্রোবায়োটিক ব্যবহারের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে। এ সময় যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমি এবং আমেরিকার কৃষি বিভাগের আর্থিক সহায়তায় যবিপ্রবির অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবীর জাহিদের নেতৃত্বে নতুন এই প্রোবায়োটিক উদ্ভাবন করা হয়। তার গবেষণা দলে ছিলেন— একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক প্রভাস চন্দ্র রায় ও প্রভাষক শোভন লাল সরকার এবং নাইজেরিয়ার নাগরিক পিএইচডি শিক্ষার্থী রিন ক্রিস্টোফার রুবেন। এ উদ্ভাবনের বিষয়ে আন্তর্জাতিক কয়েকটি বিজ্ঞান সাময়িকীতে তাদের গবেষণাপত্রও প্রকাশিত হয়েছে।

গবেষক দলটি জানিয়েছে, অ্যান্টিবায়োটিক মুরগির অন্ত্রের সবধরনের জীবাণুকে মেরে ফেলে। এতে করে ক্ষতিকর জীবাণুর সঙ্গে সঙ্গে মুরগির বৃদ্ধি কমে যায়। তাছাড়া এর অধিক ব্যবহার স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি। পক্ষান্তরে প্রোবায়োটিক ব্যবহারের ফলে মুরগির মৃত্যুর হার কমে, কম খেয়ে ওজন দেড়গুণ বেশি বৃদ্ধি পায়, প্রোবায়োটিক ক্ষতিকারক ব্যকটেরিয়ার সংখ্যা কমায়, এই গ্রুপের মুরগির রক্তের হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ বেশি, রোগ প্রতিরোধী কোষের সংখ্যা বেশি এবং ক্ষতিকারক কোলেস্টেরল ও গ্লুকোজের সংখ্যা কম যা ডায়াবেটিস আক্রান্ত রোগীর জন্য উপকারী। এ কারণে অ্যান্টিবায়োটিকের বিকল্প হিসেবে প্রোবায়োটিক অনেক বেশি উপকারী। ভারতের একটি ওষুধ কোম্পানি পোল্ট্রি শিল্পের জন্য প্রোয়োবায়োটিক বাজারজাত করে। যা আমাদের দেশে পাওয়া যায়। কিন্তু বাংলাদেশের ওষুধ কোম্পানিগুলো এ দেশে উদ্ভাবনকৃত প্রোয়োবায়োটিক দিয়ে কোনো ওষুধ বাজারজাত করে না।

গবেষক দলটি জানিয়েছে, তারা গবেষণায় দেখেছেন অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা ছাড়াও মুরগি পালন করা সম্ভব এবং অধিক লাভজনক। তাদের উদ্ভাবিত নতুন এই প্রোবায়োটিক বাংলাদেশের পোল্ট্রি শিল্পে ব্যবহার করলে খামারি এবং ভোক্তা উভয়ই লাভবান হবেন। তাদের গবেষণা ফল ও পদ্ধতি ব্যবহার করে বাংলাদেশের ওষুধ কোম্পানিগুলো প্রোবায়োটিক উৎপাদন করে তা বাজারজাত করতে পারবে। দেশের বৃহত্তর স্বার্থে পোল্ট্রি শিল্পের বিকাশে দেশীয় প্রযুক্তি ব্যবহারে ওষুধ কোম্পানিগুলোকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে গবেষক দলটি।

ওডি/আরএআর

  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড