অনিয়মিত সিন্ডিকেট সভায় চলছে কুবির কার্যক্রম

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) আইন অনুযায়ী নিয়মিত সিন্ডিকেট সভার আয়োজন না করে নিয়োগ ভিত্তিক জরুরি সিন্ডিকেট সভাকে প্রাধান্য দেন বলে অভিযোগ উঠেছে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরীর বিরুদ্ধে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক কার্যক্রমকে গতিশীল রাখতে নিয়মিত সিন্ডিকেট সভার কোনো বিকল্প নেই। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০০৬ এ সিন্ডিকেট সভা ৩ মাসের মধ্যে করার শর্ত উল্লেখ থাকলেও সে আইন মানছেন না উপাচার্য।

আইনটিতে বলা আছে, ‘সিন্ডিকেট সভা ভাইস-চ্যান্সেলর কর্তৃক নির্ধারিত তারিখে স্থান ও সময়ে অনুষ্ঠিত হইবে। তবে শর্ত থাকে যে, প্রতি ৩ মাসে সিন্ডিকেটের কমপক্ষে একটি সভা অনুষ্ঠিত হবে।’

কিন্তু অনুসন্ধানে দেখা গেছে, চলতি বছরের ২৬ জুন সর্বশেষ ৭৩তম সিন্ডিকেট সভা করেন। তবে চলতি বছরের ৩ ডিসেম্বর সিন্ডিকেট সভার পরবর্তী তারিখ ঘোষণা করেছে বলে জানা যায়। এর আগে চলতি বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারি ৭২তম সিন্ডিকেট সভা করেন। ৭০তম সিন্ডিকেট সভা করেন গত বছরের ৬ ডিসেম্বর। একই মাসে পছন্দের প্রার্থীদের নিয়োগ দিতে ১৭ ডিসেম্বর ডাকেন জরুরি সিন্ডিকেট সভা। এ নিয়ে নানা মহলে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলেও আইনের তোয়াক্কা করেননি উপাচার্য। নিয়মিত সিন্ডিকেট সভা না করে ক্ষমতার চরম অপব্যবহার এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছেন বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেকে।

নিয়মিত সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত না হওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়টির স্বাভাবিক কার্যক্রম। নাম প্রকাশ না করা শর্তে একাধিক শিক্ষক জানান, ‘নিয়মিত সিন্ডিকেট সভা না হওয়ায অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন, রেজাল্ট প্রকাশ করা, পদোন্নতিসহ সকল প্রকার স্বাভাবিক কার্যক্রমগুলো স্থবির হয়ে পড়ে।’

কেন নিয়মিত সিন্ডিকেট সভা আহ্বান করা হয় না এমন প্রশ্নে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী বলেন, সিন্ডিকেট সভা তো হচ্ছে। একটু দেরিতে হলেও বছরে আমরা ৪টা সিন্ডিকেট সভা করে নেব।

ওডি/আরএআর