বাকৃবিসাসের আট দিনব্যাপী প্রশিক্ষণের সমাপনী

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (বাকৃবিসাস) দীর্ঘ আট দিনব্যাপী ‘জলবায়ু পরিবর্তনে কৃষির ওপর প্রভাব’ শীর্ষক প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ইন্টারডিসিপ্লিনারি ইনস্টিটিউট ফর ফুড সিকিউরিটির (আইআইএফএস) সভাকক্ষে সমাপনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

৮ দিনব্যাপী ওই কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন পত্রিকার মোট ১৭ জন সাংবাদিক অংশগ্রহণ করে। আইআইএফএসের আয়োজনে কর্মশালায় কোর্স কো-অর্ডিনেটর হিসেবে ছিলেন সহযোগী পরিচালক অধ্যাপক ড. হারুনুর রশীদ। কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষক ও দেশের জলবায়ু বিষয়ে অভিজ্ঞ বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন।

সমাপনী অনুষ্ঠানে আইআইএফএসের পরিচালক অধ্যাপক ড. এ. এস. মাহফুজুল বারির সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. ছোলায়মান আলী ফকির ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আজহারুল হক।

আরও উপস্থিত ছিলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা শাখার পরিচালক অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী, বোটানিক্যাল গার্ডেনের কিউরেটর অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেন, ফিশারিজ টেকনোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. ফাতেমা হক শিখা, সহকারী প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল আলম। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন বাকৃবিসাসের সহসভাপতি আব্দুল আওয়াল মিয়া শেখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য বলেন, ‘প্রশিক্ষণে প্রাপ্ত জ্ঞান ও দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে সাংবাদিকরা তাদের লেখনীর মাধ্যমে সাধারণ মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। বিভিন্ন গবেষণা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন কার্যক্রম জাতির সামনে তুলে ধরবে।’

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী হারানির মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে উপাচার্য বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের হতে হবে শিক্ষার্থী বান্ধব। শিক্ষার্থীদের যে কোনো সময় যে কোনো প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে। জরুরি প্রয়োজনে অ্যাম্বুলেন্স পাওয়া না গেলে শিক্ষার্থীরা ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা, প্রক্টর, প্রভোস্টসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তা ছাড়াও যে কোনো শিক্ষকের ব্যক্তিগত পরিবহন ব্যবহার করতে পারবে। প্রয়োজনে উপাচার্যের ব্যক্তিগত পরিবহনও ব্যবহার করতে পারবে। আমরা দুর্নীতিমুক্ত, মাদক মুক্ত, র‌্যাগিংবিহীন বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তুলব। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য বীমার আওতায় আনা হবে যার অর্ধেক ব্যয়ভার বহন করবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আর বাকি অর্ধেক বহন করবে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দুর্ঘটনায় ক্ষতিপূরণের জন্য ফান্ড গঠন করা হবে। ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে বাকৃবি শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা কর্নার স্থাপন করা হবে।’

ওডি/এমএ