• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

এক শিক্ষকেই চলছে পাঠদান!

  শিক্ষা ডেস্ক

১৬ অক্টোবর ২০১৯, ১২:৩৪
কাকিয়াছড়া চা-বাগান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় (ছবি: সংগৃহীত)

যেখানে থাকার কথা ছিল চারজন শিক্ষক-শিক্ষিকা, সেখানে রয়েছেন একজন। এই একজন শিক্ষিকাকেই সামাল দিতে হচ্ছে শিশু থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত। সব ক্লাসের দায়িত্বও রয়েছে তার কাছে। ফলে শিক্ষা কার্যক্রম থেকে একরকম বঞ্চিত হচ্ছে স্থানীয় শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) শ্রীমঙ্গল উপজেলার কাকিয়াছড়া চা-বাগান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে এমনি চিত্র দেখা যায়। একজন উপস্থিত থাকলেও নানা কারণে অনুপস্থিত রয়েছেন বাকি তিনজন।

চা-শ্রমিক অধ্যুষিত এলাকার তৃণমূল মানুষের মাঝে শিক্ষা বিকাশের ক্ষেত্রে চা-বাগানের বিদ্যালয়গুলো সরকারিকরণ করা হয়েছে। কিন্তু প্রায়ই এসব স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অনুপস্থিতি দেখা যায়। ফলে বাড়ছে অনিয়মিত পাঠদানের চর্চা।

তিনটি কক্ষ নিয়ে পরিচালিত এই বিদ্যালয়টিতে উপস্থিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ২০ জন। এদের মধ্যে নেই পাঠ্যচর্চার কোনো নমুনা। কেউ গল্প করছে, কেউ খেলাধুলায় মত্ত।

স্কুল সূত্রে জানা যায়, কাকিয়াছড়া চা-বাগান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মোট শিক্ষিকার সংখ্যা ৪ জন। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা যুথিকা দেবী। যিনি ১৮ মাসের ট্রেনিংয়ে আছেন। স্কুলে যোগদান করবেন ২০২০ সালের জানুয়ারিতে। স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার দায়িত্বে থাকা সালমা আক্তার অসুস্থ। এর পরের শিক্ষিকার নাম পূরবী মুন্ডা। তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকার পক্ষে উপজেলা শিক্ষা অফিসের বোর্ড মিটিংয়ে ছিলেন।

উপস্থিত শিক্ষিকার নাম শাওন বসাক শর্মী। তিনিই এখন সামলাচ্ছেন এই বিদ্যালয়ের সব কার্যক্রম।

সূত্র আরও জানায়, এই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সংখ্যা- শিশু শ্রেণিতে ১৮ জন, প্রথম শ্রেণিতে ৩৪ জন, দ্বিতীয় শ্রেণিতে ৩২ জন, তৃতীয় শ্রেণিতে ১৭ জন, চতুর্থ শ্রেণিতে ২৩ জন এবং পঞ্চম শ্রেণিতে ১২ জন। অর্থাৎ মোট শিক্ষার্থী ১৩৬ জন।

বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকা একমাত্র শিক্ষিকা শাওন বসাক শর্মী বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ের নতুন পাকা ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। তাই আমরা অস্থায়ীভাবে এই ঘরে আশ্রয় নিয়েছি। অন্য শিক্ষিকাদের মধ্যে একজন ট্রেনিংয়ে, একজন অসুস্থ এবং আরেকজন মিটিংয়ে আছেন। সকালের দিকে অনেক শিক্ষার্থী ছিল। এখন কেউ কেউ বাড়ি চলে গেছে।

শিক্ষার্থীদের কাছে প্রধান শিক্ষিকার নিয়মিত স্কুলে আসা প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে তারা হতভম্ব হয়ে উপস্থিত থাকা ওই শিক্ষিকার দিকে তাকায়। অভয় দেয়া হলে তারা জানায়, প্রধান শিক্ষিকা মাঝেমধ্যে স্কুলে আসেন।

এ বিষয়ে কথা হয় উপজেলা শিক্ষা অফিসার এসএম জাকিরুল হাসানের সঙ্গে। তিনি জানান, আসলে বিষয়টি দুঃখজনক। আমরা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।

ওডি/জেআই

আপনার ক্যাম্পাসের নানা ঘটনা, আয়োজন/ অসন্তোষ সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড