ক্লাস বর্জন করা শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার নির্দেশ

ক্লাস বর্জন করে কর্মবিরতি পালন করা শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া শিক্ষকদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে বিভাগীয় উপপরিচালকদের।

সোমবার (১৪ অক্টোবর) প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদের ব্যানারে ২ ঘণ্টা কর্মবিরতি পালন করেছেন শিক্ষকরা। এ দিকে বেতন বৈষম্য নিরসন প্রক্রিয়াধীন থাকা সত্ত্বেও আন্দোলনে অংশ নেওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।

সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড ও প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে বেতন বাস্তবায়নের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছে ভুক্তভোগী শিক্ষকরা। সর্বশেষ গত জুলাইয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সহকারী শিক্ষকদের ১২তম গ্রেড ও প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডের প্রস্তাব অর্থ মন্ত্রণালয়ে পাঠালেও তা প্রত্যাখ্যান করা হয়।

নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধির বিষয়টি সরকারের উচ্চ পর্যায়ে বিবেচনাধীন রয়েছে। এ অবস্থায় কোনো ধরনের দাবি আদায়ের কর্মসূচি পালিত হলে তা সরকারের সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। আর সরকারি কর্মচারীদের দ্বারা এ ধরনের কর্মসূচি ঘোষণা বা অংশগ্রহণ করা সরকারি শৃঙ্খলা ও আপিল বিধিমালা-২০১৮ এর পরিপন্থি। তাই এ ধরনের কর্মসূচির সাথে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক সোহেল আহমেদের স্বাক্ষরিত এ বিষয়ক একটি চিঠি বিভাগীয় উপপরিচালকদের পাঠানো হয়েছে।

শিক্ষক ঐক্য পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা আনোয়ারুল ইসলাম তোতা জানান, সারাদেশের শিক্ষকরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নিজ নিজ বিদ্যালয়ে কর্মবিরতি পালন করছেন। দাবি মানা না হলে আগামীকালও কর্মবিরতি পালন করা হবে। ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত শিক্ষকরা কর্মবিরতি পালন করবেন। ২৩ অক্টোবর মহাসমাবেশে পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা প্রসঙ্গে তিনি জানান, শিক্ষকদের আন্দোলন প্রতিহত করতে আগেও এ ধরনের চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে, ন্যায্য দাবিতে কর্মসূচি পালনের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে যদি ব্যবস্থা নেওয়া হলো তাহলে প্রাথমিক শিক্ষক ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ বলেন, সারাদেশের শিক্ষকরা ন্যায্য দাবিতে অন্দোলন করছেন। কারও বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হলে পৌনে চার লাখ শিক্ষকের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নিতে হবে। সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড ও প্রধান শিক্ষকদের ১০ম গ্রেডে বেতন বাস্তবায়নের দাবি আজ মেনে নেওয়া হলে কাল থেকেই আমরা আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহার করব।

ওডি/জেআই