ক্যাম্পাস ডেস্ক
শোকাবহ আগস্ট নিয়ে এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগ। যেখানে ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা ও ২১ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লক্ষ্য করে চালানো গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণ করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২৯ আগস্ট) বেলা একটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ মিলনায়তনে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে বিশেষ কারণে উপস্থিত ছিলেন না অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার।
এ সময় বক্তারা আগস্টের শহীদদের স্মরণ করে বলেন, 'বাংলাদেশের প্রতিটি আন্দোলনে জাতির পিতার অবদান ছিল। আর সেই ব্যক্তির মৃত্যুদিনে স্বাধীনতা বিরোধীদের দোসর খালেদা জিয়া কেক কাটেন! দল ভারী করার জন্য ছাত্রদল ও শিবিরের অনুপ্রবেশকারীদের স্থান দেওয়া যাবে না।'
নিজেদের মধ্যে কোনো রক্তের সংঘর্ষ নয় উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, 'সংঘর্ষ হবে বিরোধী সংগঠন জামাত শিবিরের সাথে। আমরা জামাত শিবিরের বিরুদ্ধে আন্দোলন করে তাদের থেকে ক্যাম্পাসকে মুক্ত করেছি। এক সময় বায়তুল মালের নামে অহেতুক চাঁদাবাজি করতো ছাত্র শিবির। যে রকম কোনো নজির নেই বাংলাদেশ ছাত্রলীগের।'
সভায় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু বলেন, 'বঙ্গবন্ধুর আদর্শে রাজনীতি করতে হলে, মুজিববাদের ধারক ও বাহক হতে তাকে নিয়ে অধ্যয়ন করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে তাকে পাঠ করার সুযোগ-সুবিধা আছে। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সেগুলো চর্চা করতে হবে।'
তিনি বলেছেন, 'আমরা হানাহানিমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে চাই। তাই আমাদেরকে আদর্শ মানুষ হতে হবে, কারণ আদর্শ মানুষ ছাড়া আদর্শ সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব না। বঙ্গবন্ধু যে সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন তা বাস্তবায়ন করতে হলে বুকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করতে হবে। আজ বঙ্গবন্ধুর সৈনিকেরা তার সোনার বাংলাদেশ গড়তে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় সেই বাংলাদেশ তিনি দেখে যেতে পারেননি।'
পরে সভাপতির বক্তব্যে রেজাউল হক রুবেল বলেন, '৭ মার্চের ঘোষণার পরে মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে যুদ্ধে নেমেছিল। এটি পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল। প্রতিক্রিয়াশীল শক্তি জামাত-শিবিরের তৎকালীন নেতাকর্মী ছাড়া সর্বস্তরের মানুষ এতে অংশ নিয়েছিল। যারা যুদ্ধ করেছিল তাদের কোন চাওয়া-পাওয়া ছিল না। কী পাবে, কী পাবে না তা তাদের চিন্তা ছিল না। শুধুমাত্র বঙ্গবন্ধুর ডাকে মাতৃভূমির জন্য তখন অনেকেই জীবন দিয়েছিল, ইজ্জত দিয়েছিল।'
রেজাউল হক রুবেল আরও বলেছিলেন, 'বঙ্গবন্ধুর আদর্শে কাজ করতে গিয়ে দেশরত্ন শেখ হাসিনার ওপর ২৪ বার হামলা চালিয়েছে এই কুচক্রী মহল। অস্ত্র হাতে নিয়ে নিজেকে ক্যাডার প্রমাণে লিপ্ত হওয়া যাবে না। নেতা হতে হবে বঙ্গবন্ধুর মতো। যার ডাকে কৃষক, শ্রমিক, রিকশাওয়ালা থেকে শুরু করে সকল মানুষেরা যুদ্ধে নেমে পড়ছিল। যার ফলে আজকের এই স্বাধীন বাংলাদেশ।'
আরও পড়ুন :- ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতি : ঢাবির ৬৯ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপুর সঞ্চালনায় ছাত্রলীগ সভাপতি রেজাউল হক রুবেলের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন সাবেক উপ-পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক আবু বকর তোহা, সাবেক সহসভাপতি নাসির উদ্দিন সুমন, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক শেখ রাশেদুজ্জামান শুভ, সাবেক উপ-আপ্যায়ন বিষয়ক সম্পাদক সায়ন দাশগুপ্ত, উপ-শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক আমির সোহেল, ছাত্রলীগ নেতা প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয়, ছাত্রলীগ নেত্রী আফরিন লিমু, সাদিয়া আফরিন, শামীমা সিমা, জান্নাতুল নাইমা জেরি, ছাত্রলীগ নেতা সাইদুর রহমান সাইদ, মিজানুর রহমানসহ প্রমুখ।
ওডি/কেএইচআর
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড