অধিকার ডেস্ক ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০১:২৭
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে চলছে আধিপত্যের লড়াই। এ লড়াই নিজেদের মধ্যে। সংঘর্ষের কারণে বাতিল হওয়া শাখা ছাত্রলীগ কমিটির দুই গ্রুপ আবারও মেতেছে উন্মত্ত লড়াইয়ে। যেখানে যুক্ত হয়েছে প্রাণঘাতী অস্ত্র। উচ্চ শিক্ষার বিদ্যাপীঠে এ যেন রাজ্য দখলের লড়াই। ক্যাম্পাসের অশান্ত পরিবেশ শান্ত করতে অনেকটা নির্লিপ্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এমন হানাহানির বুকে শঙ্কা নিয়ে কেন ক্লাস করবে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। জবাবটা কাউকে না কাউকে দিতেই হবে। নয়তো এমন ছাত্র রাজনীতি কার জন্য, কাদের জন্য।
সংবাদ মাধ্যমে সোমবার জবি ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে, ক্যাম্পাস রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে এমন খবর এসেছে। এতে সাংবাদিকসহ ৩০ জন আহত হবার খবরও পাওয়া গেছে। তবে কেউ নিহত হয়নি, এমন ভেবে সান্তনারও কিছু নেই। যা হচ্ছে প্রকাশ্যেই হচ্ছে। কারা করছে, কেন করছে তাও অজানা নয়। তবে কেন বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন ঘটনা রুখতে ব্যর্থ হচ্ছে প্রশাসন। এ জবাব তোলা রইল, সে সকল বাবা-মায়ের পক্ষ থেকে, যারা তাদের সন্তানদের উচ্চ শিক্ষা নিতে পাঠিয়েছেন।
খবরে এসেছে দুই গ্রুপের মধ্যে শুধু ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়াই নয়। হয়েছে অস্ত্রের মহড়া। এলোপাতাড়ি কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে এবং কয়েকটি ককটেলের বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। রামদা, চাপাতি, কুড়াল দেখা গেছে অনেক ক্যাডারের হাতে। এমন কাণ্ডের পর স্থগিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক বলছেন, ক্যাম্পাসে কী হচ্ছে তা তারা জানেন না। এটা জানার কথা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের। যেহেতু তারা স্থগিত সেহেতু এ দায় তাদের নয়।
এমন দাবি, সাময়িক যৌক্তিক হলেও সামগ্রিক ভাবে নয়। এর মধ্য দিয়ে কেন্দ্রের কাছে অন্তত একটা বার্তা গিয়েছে। কানে ব্যাথা হলে কান কেটে ফেলাই সমাধান নয়। কমিটি স্থগিত করে উল্টো হিতে বিপরীত হয়েছে। এখন ক্যাম্পাস শান্ত রাখতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে কঠিন ও বাস্তবিক ভূমিকায় অবতীর্ণ হতে হবে। এ বিশ্ববিদ্যালয় কারও একার নয়, বর্তমান সাবেক সবার।
লেখক : সাংবাদিক এম এস আজীম
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড