ডুয়েট প্রতিনিধি
একজন শিক্ষার্থীর জন্য বিশ্ববিদ্যালয় হলো চরম ও পরম আকাঙ্ক্ষার জায়গা। বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার প্রথম দিন থেকেই ক্যাম্পাস, বন্ধু-বান্ধব নিয়ে সে নানারকমের স্বপ্ন বুনতে থাকে। সারা দিন ঘুরে বেড়ানো, বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা, মিছিল-মিটিং করে সময় পার। এভাবে বিশ্ববিদ্যালয় তার কাছে হয়ে ওঠে মমতাময়ী মায়ের মতো আপন। ছুটির দিনগুলোয় বাসায় গেলেও প্রাণের ক্যাম্পাসে তার মন পড়ে থাকে। শুধু ভাবতে থাকে কখন যাব প্রিয় আঙিনাতে।
ক্যাম্পাসে বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে আড্ডা, ঘোরাঘুরি, ক্লাস অ্যাসাইনমেন্ট নিয়ে দৌড়াদৌড়ি এভাবে পার হয় জীবনের সব থেকে সেরা দিনগুলো। কখন যে সময় চলে যায় কেউ টের পায় না। চারটি বছর পার হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বেজে ওঠে বিদায়ের ঘণ্টা। শিক্ষাজীবনের সেই মধুময় দিনগুলো বিদায়ী শিক্ষার্থীর পিছু ডাকে। আর মধুময় দিনগুলোর স্মৃতি হৃদয়ের ফ্রেমে বেঁধে রাখতে, স্মরণীয় করে রাখতে আনন্দে, উচ্ছ্বাসে, স্লোগানে, রঙে-রূপে এক অপরূপ সাজে সজ্জিত হয়ে র্যাগ-ডে পালন করেন শিক্ষার্থীরা।
ঘটা করে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের এ বিদায়ী অনুষ্ঠান পালন করেন নাচ-গান আর হাসি-তামাশার মাধ্যমে। আর এসবের মাধ্যমেই নিজেদেরকে স্মরণীয় করে রেখেছে ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (ডুয়েট) শিক্ষার্থীরা। নিজেদের স্মরণীয় করে রাখতে তাদের ব্যাচের নাম দেয় 'শতদল-১৩'। গত দুই দিন ধরে তারা ডুয়েট ক্যাম্পাস মাতিয়ে রেখেছে। র্যাগ উৎসবকে কেন্দ্র করে ডুয়েট ক্যাম্পাসকে সাজানো হয় বর্ণিল সাজে।
ডুয়েট প্রশাসনিক ভবন (ছবি : দৈনিক অধিকার)
র্যালি, রঙ উৎসব, ফটো সেশন, কনসার্ট, স্মৃতিচারণ সভা, একসঙ্গে দুপুরের ও রাতের খাবার খাওয়া, খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে মাধ্যমে পালিত হয় র্যাগ ডে-২০১৯।
বৃহস্পতিবার (১৭ জানুয়ারি) সকাল ১১ টায় র্যালির মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শুরু হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আলাউদ্দিন। আরও উপস্থিত ছিলেন- ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ড. মো. নজরুল ইসলামসহ অন্যান্যরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা নেচে গেয়ে আনন্দ প্রকাশ করেন। রং উৎসব র্যালির পর শুরু হয় র্যাগ ডে এর আকর্ষণীয় অংশ রং উৎসব। এ সময় শুরু হয় রং মাখানোর প্রতিযোগিতা। মুহূর্তের মধ্যে ক্যাম্পাসে থাকা মানুষগুলোর চেহারা যেন পাল্টে গেল! কেউ নীল, কেউ গোলাপি রঙে রাঙা। কেউ আবার হয়ে গেলেন কাদা মানব। পরিচিত কাউকে পেলেই শিক্ষার্থীরা ছুড়ে দিচ্ছিলেন মুঠো ভর্তি আবির। অন্যদিকে চার-পাঁচজন মিলে উঠিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন কোনো সিনিয়র ভাইকে। উদ্দেশ্য? কাদার মধ্যে তাকে নাকানিচুবানি খাওয়ানো! এভাবেই ২ দিনব্যাপী এই রং উৎসবকে কেন্দ্র করে রঙ্গিন হয়ে উঠে পুরো ক্যাম্পাস।
রঙ খেলায় মেতে উঠেছে শিক্ষার্থীরা (ছবি : দৈনিক অধিকার)
২য় দিন সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠন 'সৃজনী'র মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দিয়ে শুরু হয় কনসার্ট, যা চলে রাত ৩টা পর্যন্ত। কনসার্টের পাশাপাশি 'শতদল-১৩' শিক্ষার্থীদের নাচ ছিল দেখার মতো, তাদের সঙ্গে যোগ দেয় কিছু জুনিয়র। কনসার্টের পুরো সময় মাতিয়ে রাখেন তারা। দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠানকে ঘিরে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড