• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল ও বিভাগের অবহেলার অভিযোগ

উপাচার্যের সুপারিশ সত্ত্বেও ছাত্রত্ব হারাচ্ছেন মাসুদ

  বেরোবি প্রতিনিধি

১৩ জানুয়ারি ২০১৯, ২০:৪৯
বেরোবি
ভুক্তভোগী মাসুদ (ছবি : সম্পাদিত)

বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) উপাচার্য এবং অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশের পরও ছাত্রত্ব হারাচ্ছেন ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী মাসুদ রানা। অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের উদাসীনতা এবং ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের অবহেলার কারণেই এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী এই শিক্ষার্থী।

জানা যায়, মাসুদ রানা বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী (রেজিস্ট্রেশন নং - ০০০০০৬৪৯, আইডি নং-১৪৬০১২)। ব্যক্তিগত কারণে উক্ত সেশনে ক্লাসে অংশগ্রহণ না করে পরবর্তী সেশনে (২০১৫-১৬) পুন:ভর্তি হয়ে ১ম বর্ষ ১ম ও ২য় সেমিস্টার সম্পন্ন করে। পরবর্তীতে সে পারিবারিক ও ব্যক্তিগত কারণে ২০১৫-১৬ সেশনের ২য় বর্ষ ১ম সেমিস্টার ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারেনি। পরে তার আবেদনের প্রেক্ষিতে এবং বিভাগীয় প্রধানের সুপারিশের ভিত্তিতে তাকে ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে পুন:ভর্তির জন্য সুপারিশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল। কিন্তু অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশের পরও মাসুদকে নিয়মিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ না দিয়ে শুধুমাত্র ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুপারিশ করা হয়। যার ফলে, মাসুদ ওই সেমিস্টারে উত্তীর্ণ হতে পারেনি।

অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল যদি কাউকে কোন সেমিস্টারে ভর্তির জন্য সুপারিশ করে তাহলে তাকে পুরো সেমিস্টারে যতগুলো পরীক্ষা আছে সবগুলোর জন্যই সুপারিশ করবে। শুধুমাত্র ফাইনাল পরীক্ষার জন্য নয়।’ কিন্তু মাসুদকে প্রতিটি কোর্সের শুধুমাত্র ৫০ মার্কের ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়ায় মাসুদ ওই পরীক্ষায় পাশ মার্ক তুলতে ব্যর্থ হয়। এদিকে, মাসুদের আবেদনের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তাকে পুন:ভর্তি হওয়ার জন্য শেষবারের মত সুযোগ প্রদান করে। কিন্তু অজ্ঞাত কারণে উপাচার্যের সুপারিশ আজও সংশ্লিষ্ট বিভাগে পাঠানো হয়নি বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মো. মোর্শেদ হোসেন।

ভুক্তভোগী মাসুদ জানান, ‘অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল আমাকে ২য় বর্ষ ১ম সেমিস্টারে ভর্তির জন্য সুপারিশ করলেও বিভাগ থেকে আমাকে শুধুমাত্র ফাইনাল পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হয়। ইনকোর্স মিডটার্মসহ কন্টিনিউয়াস কোন পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হয়নি। সুযোগ দিলে আমি পরীক্ষায় পাশ করে আমার পড়ালেখা চালিয়ে যেতে পারতাম। পরবর্তীতে পড়ালেখা চালানোর জন্য রেজিস্ট্রার বরাবর আবেদন করি যাতে আমাকে ২০১৭-১৮ সেশনের সাথে ২য় বর্ষ ১ম সেমিস্টার থেকে পড়াশুনা চালানোর অনুমতির প্রদান করেন। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে উপাচার্য মহোদয় আমাকে বিশেষ অনুমতি দিলেও সেই অনুযায়ী আমাকে কোন সুযোগ দেয়া হচ্ছে না।

এ ব্যাপারে ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মাসুদ রানা বলেন, ‘অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশ যতদিনে আমাদের কাছে এসেছে ততদিনে ওর ব্যাচের সেমিস্টারের কন্টিনিউয়াস পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ হয়ে গেছে। কাজেই অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের সুপারিশ অনুযায়ী আমরা শুধু তার ফাইনাল পরীক্ষা নিয়েছি। তার কন্টিনিউয়াসের ইনকোর্স এবং অ্যাসাইনমেন্ট ছাড়া আর কোন সুযোগ সে নিয়মানুযায়ী পায় না। কিন্তু ইনকোর্স এবং অ্যাসাইনমেন্ট পরীক্ষা নিলেও সে পাশ করতে পারতো না। এজন্য সেটাও নেয়া হয় নি।’

আপনার ক্যাম্পাসের নানা ঘটনা, আয়োজন/ অসন্তোষ সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড