• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

নৌকায় বিপুল ভোটে জয়ের প্রত্যাশায় ইবির শিক্ষক মিঠুন মোস্তাফিজ, পেয়েছেন সবুজ সংকেত

  ইবি প্রতিনিধি

১৪ নভেম্বর ২০১৮, ১২:৩১
ইবির শিক্ষক
ইবির শিক্ষক মিঠুন মোস্তাফিজ (ছবি : সংগৃহীত)

তরুণ নেতৃত্বের মাধ্যমে তাড়াশ-রায়গঞ্জের দীর্ঘ দিনের নেতৃত্ব সঙ্কটের সমাধান করতে চায় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ। এক্ষেত্রে শিক্ষিত, মার্জিত ও উজ্জ্বল ভাবমূর্তির গ্রহণযোগ্য নেতাকে বেছে নিতে চায় কেন্দ্র।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে সিরাজগঞ্জ-৩ তাড়াশ-রায়গঞ্জ আসন ঘিরে এমন ভাবনার কথা জানা গেছে। এ প্রসঙ্গে বহুল পরিচিত ও বিশিষ্ট গণমাধ্যম কর্মী ড. মিঠুন মোস্তাফিজের বিষয়ে কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহী সংসদের ওই নেতার কাছে জানতে চাইলে তিনি স্মিত হেসে বলেন, ‘হয়তো তরুণ কেউ। সময় হলেই সব জানতে পারবেন। একটু অপেক্ষা করুন।’

তবে, এর আগে ড. মিঠুন মোস্তাফিজকে ঘিরে এক ধরনের ভরসার ইতিবাচক অভিব্যক্তি প্রকাশ করতে দেখা গেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের।

ড. মিঠুন মোস্তাফিজ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কৃষি ও সমবায় বিষয়ক উপকমিটির সদস্য। তিনি তাড়াশ উপজেলার খড়খড়িয়া- বিনোদপুর গ্রামের প্রবীণ আওয়ামী লীগে নেতা ও একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকালে ৭ নম্বর সেক্টরে নিজ এলাকায় মুক্তিযুদ্ধের সংগঠকদের অন্যতম ড. আজিজুর রহমানের জেষ্ঠ্যপুত্র। তারুণ্যের জোয়ারে সিরাজগঞ্জ- ৩ আসন (তাড়াশ-রায়গঞ্জ- সলঙ্গায়) এবার নৌকায় দায়িত্ব দেয়া হতে পারে ড. মিঠুন মোস্তাফিজকে। সাংবাদিকতার শীর্ষ পদে আরোহণ, উচ্চতর গবেষণা ডিগ্রি অর্জন এবং সবশেষ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতায় যুক্ত হয়ে চলনবিল এলাকায় নজিরবিহীন সাফল্য দেখনো মিঠুন মোস্তাফিজ নিজ এলাকার যুব সমাজের কাছে উৎসাহ অনুপ্রেরণার রোল মডেলে হিসেবে পরিণত হয়েছেন।

এক এগারো পরবর্তী সময়ে পেশাদারিত্বের পাশপাশি দলের জন্য তার ভূমিকা ও অবদান যথার্থ মূল্যায়ন করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বে যুক্ত করেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। সৎ, গুণী ও বহুমুখী প্রতিভার এই সাংবাদিককে বর্তমান সাধারণ সম্পাদক সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরে অতি ঘনিষ্ঠ ও বিশ্বস্ত হিসেবে মনে করা।

কারাবন্দি আওয়ামী লীগ সভপতি শেখ হাসিনার মুক্তি আন্দোলনে সংগ্রহ করা গণস্বাক্ষর ড. মিঠুন মোস্তাফিজের পেশাদার কাজে ব্যবহার করা গাড়িতে করেই সাবেক তত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে জমা দেয়া হয়। ওই সময়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডি কার্যালয়ে কোনো গাড়ি ছিল না। তখন দপ্তর সম্পাদক আব্দুল মান্নান, আবদুল রহমান, বিএম মোজাম্মেল ও অসীম কুমার উকিলকে গাড়িতে উঠিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিার মুক্তির জন্য সংগ্রহ করা গণস্বাক্ষর তার গাড়িতে করে প্রধান উপদেষ্ট ড. ফখরুদ্দিন আহমেদের কার্যালয়ে জমা দেয়া হয়। আওয়ামী লীগের সেই দুঃসময়ে বেগম মতিয়া চৌধুরী স্বীয় উদ্যোগে পরিচালিত সকল গণমুখী আন্দোলন কর্মসূচির সঙ্গে নিরলসভাবে কাজ করেন তিনি।

এক এগারোর পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে দলের সংস্কারবাদী নেতাদের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে বিশ্লেষণধর্মী প্রতিবেদন তৈরি ও তা প্রচারের পাশপাশি স্ব-শরীরে বিভিন্ন আন্দোলন কর্মসূচি সমন্বয় করেছেন ড. মিঠুন মোস্তাফিজ। এ কারণেই চরম দুঃসময়ে দলের পাশে থাকায় নেতাদের অতি আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন তিনি।

সবশেষ ২০১৬ সালে ড. মিঠুন মোস্তাফিজ বিভিন্ন খাতে সরকারের অর্জনের ওপর তথ্যচিত্র নির্মাণ করেন। এই তথ্যচিত্র যৌথভাবে প্রযোজনা করে হিন্দু-মুসলিম মৈত্রী বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন ও বৈশাখী টেলিভিশন। তার নির্দেশনায় উক্ত তথ্যচিত্রে কণ্ঠ দান করেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। বর্তমানে তথ্যচিত্রটি আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল ওয়েব সাইট ও ইউটিউবে প্রদর্শিত হচ্ছে।

এত সব কর্মকাণ্ড আর দুঃসময়ে দলের প্রতি তার আনুগত্য, কেন্দ্রীয় নেতাদের তার ওপর নির্ভরতার জন্যই উপযুক্ত মূল্যায়ন স্বরূপ আওয়ামী লীগের সবশেষ কাউন্সিল পরবর্তী কেন্দ্রীয় কৃষি ও সমবায় বিষয়ক উপকমিটির সদস্য নির্বাচিত করা হয় ড. মিঠুন মোস্তাফিজকে।

এই তরুণ নেতার পরিবারের রয়েছে আওয়ামী লীগের রাজনীতির দীর্ঘ ঐতিহ্যের ইতিহাস। তার পিতা ড. মো. আজিজুর রহমান সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলা এলাকায় মুক্তিযুদ্ধের একজন সংগঠক। মুক্তিযোদ্ধা হবার পরও কেবল প্রাণে বাঁচিয়ে রাখার স্বার্থে তার মুক্তিযোদ্ধা সনদটি ছিঁড়ে ফেলেন বাবা মমতাজ আলী মন্ডল। তিনি বারুহাস ইউনিয়ন আঞ্চলিক কমিটির ২৭ বছর যাবত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তার আগের ১০ বছর ছিলেন ওয়ার্ড কমিটির সভাপতি।

ড. আজিজুর রহমান বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ও আওয়ামী লীগের নিবেদিতপ্রাণ নেতা হবার কারণে তিনি ৭৫ পরবর্তী এক রকম অবরুদ্ধ দশায় ছিলেন। ২০০১ সালের নির্বাচন পরবর্তী নির্যাতিত ও লাঞ্ছিত হন তিনি। দু’বছর নিজ গ্রামে জামায়াত-বিএনপি নেতা-কর্মীদের কারণে স্বপরিবারে নিজগ্রামে অবরুদ্ধ ছিলেন। রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলার আসামি হন তিনি।

দলের প্রতি ব্যক্তিগত ও পারিবারিক এসব অবদান বিবেচনায় নিয়ে পশ্চিম তাড়াশের পরীক্ষিত ও ত্যাগী প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা ডা. মো. আজিজুর রহমানের জেষ্ঠ্যপুত্র ড. মিঠুন মোস্তাফিজকেই এই সংসদীয় আসনের জন্য বিবেচনা করছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

এই তরুণ নেতা বলেন, ‘আমার অভিভাবক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পেশাগত কারণেই আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে আগে থেকেই পছন্দ করেন। আমি যে মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেছি তা কেন্দ্রের নির্দেশেই। সুযোগ পেলে অবহেলিত উন্নয়ন বঞ্চিত তাড়াশ-রায়গঞ্জ- সলঙ্গার মানুষের জন্য জীবন বিলেয়ে দেব।’

আওয়ামী লীগের তরুণ নেতৃত্বের পছন্দের তালিকায় সামনের সারিতে রয়েছেন ড. মোস্তাফিজুর রহমান যিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে মিঠুন মোস্তাফিজ হিসেবে বহুল পরিচিত। তিনি দেশের টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে এ সময়ের সবচেয়ে প্রতিভাবান ও উচ্চশিক্ষিত তারকা ব্রডকাস্ট সাংবাদিক। বহুমুখী গুণ সম্পন্ন, তরুণ এই সাংবাদিক নতুন প্রজন্মের টেলিভিশন সাংবাদিকদের কাছে অনুকরণীয়। কেননা, দেশের সীমানা ছাড়িয়ে তিনি আন্তর্জাতিক অঙ্গণেও পেশাগত মর্যাদা ও সম্মান অর্জন করেছেন তিনি।

ড. মোস্তাফিজুর রহমান বেসরকারি টেলিভিশন ও এফএম রেডিওগুলোর সংবাদ উপস্থাপকদের সংগঠন ‘নিউজ ব্রডকাস্টার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ’- এনবিএ- এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাবেক কার্যনির্বাহী সদস্য ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সদস্য তিনি। ড. মোস্তাফিজুর রহমান ‘বঙ্গবন্ধু শিক্ষক পরিষদ’ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সদস্য এবং ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক চেতনার প্রগতিশীল ও শিক্ষক সংগঠন ’শাপলাফোরাম’ এর সদস্য। তিনি হিন্দু-মুসলিম মৈত্রী বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনেরও ভাইস- প্রেসিডেন্ট।

আপনার ক্যাম্পাসের নানা ঘটনা, আয়োজন/ অসন্তোষ সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড