কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
বাল্যবিয়ের কারণে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার ৯ম দিনে (মঙ্গলবার) কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার ৪টি পরীক্ষা কেন্দ্রে ১৪০ জন শিক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিল। এদের মধ্যে ৯৯ জনই ছাত্রী। পরীক্ষা কেন্দ্রে রোল নম্বর থাকলেও এসব ছাত্রীরা অনুপস্থিত ছিলেন। যার প্রধান কারণ ছিল বাল্যবিয়ে।
ফুলবাড়ীর এই ৪টি কেন্দ্রে হচ্ছে- ফুলবাড়ী জছিমিয়া মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, ফুলবাড়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, শিমুলবাড়ী মিয়াপাড়া নাজিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় ও শাহবাজার এ এইচ ফাজিল মাদ্রসা।
সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সূত্রে জানা গেছে, অনুপস্থিত অধিকাংশ শিক্ষার্থীই বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে। বিবাহের কারণে তারা পরীক্ষায় উপস্থিত হতে পারেনি। ভারতীয় সীমান্ত ঘেষা ফুলবাড়ী উপজেলায় বাল্যবিয়ে রোধে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে প্রচার-প্রচারণাসহ কঠোর পদক্ষেপ নিলেও থামছে না বাল্যবিয়ে।
ফুলবাড়ী জছিমিয়া সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র সচিব আবেদ আলী খন্দকার বলেন, তার কেন্দ্রে ৪৬ জন পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত রয়েছে। শিমুলবাড়ী মিয়াপাড়া নাজিম উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জামাল উদ্দিন বলেন, এবারের জেএসসি পরীক্ষায় তাদের কেন্দ্রে ২১ পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত রয়েছে।
ফুলবাড়ী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার আব্দুস সালাম বলছেন, চলতি জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষায় উপজেলার চারটি কেন্দ্রে মোট ১৪০ জন শিক্ষার্থী অনুপস্থিত রয়েছে। এদের মধ্যে ৯৯ জন বালিকা এবং ৪১ জন বালক রয়েছে।
একাধিক বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বালারহাট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও দাসিয়ারছড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে গত ৬ মাসে ৩৩ জন শিশু শিক্ষার্থী বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাছুমা আরেফিন বলেন, অভিভাবকরা সচেতন না হওয়ার কারণে বাল্যবিয়ের মতো ঘটনা ঘটছে। তাই বাল্যবিয়ে রোধে জনসচেতনতার ওপর গুরুত্বারোপ করতে হবে। তাহলেই বাল্য বিয়ে বন্ধ করা সম্ভব হবে।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড