হাবিপ্রবি প্রতিনিধি
হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) এক ছাত্রকে মারধর করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের সড়ক ৩ ঘন্টা অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার (৮ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টা থেকে দুপুর ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত রংপুর-দিনাজপুর সড়ক অবরোধ করে রাখেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
মারধরের শিকার বিজনেস স্টাডিজ অনুষদের ছাত্র মো. রুবেল মিয়া জানান, 'দিনাজপুরগামী হানিফ পরিবহনের একটি বাসে রংপুর থেকে উঠি। বাস চালানোর সময় বাসের ড্রাইভার হেডফোনে গান শুনছিলেন। এ সময় আমি গাড়ি চালানোর সময় চালককে হেডফোনে গান শুনতে নিষেধ করি। তখন ড্রাইভার আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করে। আমি আমার বন্ধুদেরকে বিষয়টি মোবাইল ফোনে জানাই এবং বাস চালকের সাথে কথা বলার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের রাস্তায় আসতে বলি। আমার গন্তব্য বিশ্ববিদ্যালয় হলেও বাস চালক আমাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে না নামিয়ে দিনাজপুর শহরে চলে যায়। এরপর সেখানে তারা আমাকে কাউন্টারে নামিয়ে দেয় এবং আমার সাথে খারাপ ব্যবহার করে। বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা অতিক্রম করার পর বাস চালকের সহকারি আমাকে মারধর করে।
মারধরের শিকার রুবেলের বন্ধু মারুফ জানান, 'বাস চালকের সাথে কথা বলার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে রাস্তায় আমরা অবস্থান করছিলাম। কিন্তু বাস চালক বাস না থামিয়ে দ্রুতগতিতে চালিয়ে চলে যায়।
শিক্ষার্থীকে মারধরের খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা রংপুর-দিনাজপুর সড়ক অবরোধ করেন । টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তায় বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ (ছবি : দৈনিক অধিকার)
পরে দুপুর ১টা ৩০মিনিটে অবরোধ উঠিয়ে নেওয়া হয়। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতা নাহিদ আহমেদ নয়ন বলেন, 'আজ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হওয়ার কথা রয়েছে। এজন্য আমরা অবরোধ উঠিয়ে নিচ্ছি। বিষয়টি সমাধান করার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে আগামীকাল (শুক্রবার) সকাল ১০ টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দিচ্ছি। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ঘটনার সমাধান না হলে সকাল ১০ টায় পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
রাস্তার অবরোধ উঠিয়ে নেওয়ার পর ছাত্রলীগ নেতা নাহিদ আহমেদ নয়ন, মোমিনুল হক রাব্বি, মামুনুর রশিদের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি দ্বিতীয় গেটের সামনের রাস্তা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এ সময় মারধরের শিকার রুবেল মিয়া ঘটনার বর্ণনা করেন। সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মামুনুর রশিদ, নাহিদ আহমেদ নয়ন প্রমুখ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক প্রফেসর ড. মো. তারিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমি জেলা প্রশাসনকে ঘটনাটি জানিয়েছি, বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা চলছে।
দিনাজপুর কোতয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেদওয়ানুর রহিম জানান, ঘটনা শুনে মারধরের শিকার রুবেলকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি, পরে ছাত্রদের মাঝে তাকে ফিরিয়ে দেই।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড