• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৯ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনে প্রধানমন্ত্রী একাই লড়ে যাচ্ছেন : রাবি উপাচার্য

  রাবি প্রতিনিধি

১৮ মে ২০২৩, ১৩:১৩
জনগণের ভাগ্য পরিবর্তনে প্রধানমন্ত্রী একাই লড়ে যাচ্ছেন : রাবি উপাচার্য

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. গোলাম সাব্বির সাত্তার বলেছেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ দুটি যমজ শব্দ। তারই রেখে যাওয়া অসমাপ্ত কাজ করে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর সেই সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় নিয়ে নির্ভীক চিত্তে দেশকে এগিয়ে নিচ্ছেন তিনি। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার রূপকার এই বঙ্গবন্ধু কন্যা। কিন্তু এই পথ এতো সহজ ছিল না। ঘাতকেরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তাকে দেশ থেকে নির্বাসিত করেছিল। দেশে ফেরার পরেও বহুবার তাঁকে হত্যা চেষ্টা করেছে ষড়যন্ত্রকারীরা। কিন্তু তারা সফল হয়নি।

তার দাবি, বরং দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে একাই লড়ে আসছেন তিনি। তার হাত ধরেই উন্নয়ন আজ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেছে। বাঙালি পরিচিত হয়েছে স্মার্ট জাতি হিসেবে।

বুধবার (১৭ মে) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ সিনেট ভবনে আয়োজিত বিশেষ আলোচনা সভায় সভাপতি হিসেবে অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক সুলতান-উল-ইসলাম বলেন, এদেশের মানুষ যখন স্বৈরশাসনে অতিষ্ঠ, তখন এদেশের মাটি ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু কন্যার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। সেই থেকে শুরু করে বহু ঘাত প্রতিঘাত সহ্য করে এই দেশকে উন্নত রাষ্ট্রের পথে এগিয়ে নিয়ে গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি আরও বলেন, তার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব, সংগ্রামী চেতনা ও জাতির কল্যাণে দূরদর্শিতায় বাঙালি মুক্তির পথ খুঁজে পেয়েছে। অথচ স্বাধীনতা বিরোধীরা বঙ্গবন্ধুর মতো তাকেও বহুবার হত্যার ষড়যন্ত্রে মেতেছিল। এদের উন্নয়নকে দমিয়ে রাখতে নানামুখী প্রচেষ্টায় লিপ্ত। কিন্তু সকল প্রতিবন্ধকতা রুখে দিয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফলে সারা বিশ্বে বাংলাদেশ এখন রোল মডেল হিসেবে খ্যাতি পেয়েছে।

উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবীর বলেন, আজকের এই দিনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বদেশে ফিরে আসেন। তার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের মাধ্যমে আমাদের দেশে গণতন্ত্রের চর্চা ও গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরে এসেছে। সেদিন বিমানবন্দরে প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যেও লাখ জনতা যেভাবে আমাদের নেত্রীকে অভ্যর্থনা জানিয়েছে সেটি সত্যি ইতিহাসের সাক্ষী।

অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবীর বলেছেন, সেদিন তিনি একটি কথা বলেছিলেন আমি সবই হারিয়েছি, আমি আপনাদেরকে দেখে আপ্লুত, আমি আপনাদের মাঝেই আমার বাবা-মা, আমার ভাই, আত্মীয়-স্বজনকে ফিরে পেতে চাই এবং আমার জীবনকে উৎসর্গ করতে চাই সমৃদ্ধির জন্য, বাংলাদেশের মেহনতি মানুষের মুক্তির জন্য।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তারের সভাপতিত্বে এই আলোচনা সভায় মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ড. শহীদ হোসাইন, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মো. সুলতান-উল-ইসলাম, উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক মো. হুমায়ুন কবীর, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মো. আবদুস সালাম, প্রক্টর অধ্যাপক মো. আসাবুল হক, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর আলম সাউদ, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রদীপ কুমার পাণ্ডে প্রমুখ।

আপনার ক্যাম্পাসের নানা ঘটনা, আয়োজন/ অসন্তোষ সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড