• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৭ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

তীব্র আবাসন সংকটে নাভিশ্বাস বুটেক্স শিক্ষার্থীদের

  বুটেক্স প্রতিনিধি

০৭ মে ২০২৩, ১৮:৪৯
বুটেক্স

দেশের প্রায় প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবাসন সংকটের মুখে পড়তে হয় নবীন শিক্ষার্থীদের।কিন্তু বাংলাদেশে টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় এর আবাসন এ পরস্থিতি আরো ভয়াবহ।বুটেক্সের প্রথম বর্ষ( ৪৮তম), ২য় বর্ষ(৪৭তম ব্যাচ) শিক্ষার্থীরা কেউই হলে সিট বরাদ্দ পায়নি। ৩য় বর্ষের (৪৬তম ব্যাচ) প্রায় ৪০জন শিক্ষার্থী এলোটমেন্ট নিয়ে এবং বিনা এলোটমেন্টে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী হলের গণরুমে এবং কয়েকটি রুমে থাকছেন। এটি বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) আবাসিক হল জি.এম.এ.জি ওসমানী হলের চিত্র।

জানা গেছে, হলে রুম প্রদানে প্রশাসনের অমনোযোগীভাব, অবৈধ উপায়ে রুম দখলদারিত্ব,হলে ছাত্রত্ব শেষ এমন শিক্ষার্থীদের হলে অবস্থান, পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়া শিক্ষার্থীর অবস্থান এসব কারণে শিক্ষার্থীরা আবাসন সংকটে ভুগছেন। হল প্রশাসন চলমান তিনটি ব্যাচকে আবাসন সুবিধা দিতে না পারার কারণে শিক্ষার্থীদের মাঝে একটি চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৪৬তম ব্যাচের এক শিক্ষার্থী জানান, ২-৩ মাস আগে হলের গণরুমে উঠেছিলাম, পড়াশোনার জন্য কোনো ব্যবস্থা সেখানে নেই। এমনকি রিড়িংরুমে বসার চেয়ারও নেই। পরে আবার ব্যাচেলরে উঠেছি। হল প্রশাসনের কাছে দাবি অছাত্রদের হল ত্যাগে বাধ্য করেন, এবং অতিদ্রুত আমাদের রুমে সিট বরাদ্দ দেন।

হলে সিট বরাদ্দ না পাওয়া দ্বিতীয় বর্ষের জাহিদ নামের এক শিক্ষার্থী জানান, বাসায় বাবা-মাকে বলেছিলাম প্রথম বর্ষে হলে সিট পাওয়া যাবে না, কষ্ট করে বাইরে থাকতে হবে। আমার মধ্যবিত্ত পরিবার কষ্ট করে এক বছরের বেশি সময় ধরে খরচ যুগিয়ে যাচ্ছিলো। ঢাকা শহরে এতো টাকা খরচ করে বাইরে থাকা এক প্রকার অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। হল প্রশাসনের কাছে অনুরোধ আমাদের মতো মধ্যবিত্ত পরিবারের শিক্ষার্থীদের দ্রতসময়ে হলে সিট বরাদ্দ যাতে দেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম হলের চিত্র আরো ভয়াবহ। সেখানে ৪৮ তম,৪৭ তম এবং ৪৬তম ব্যাচেরও কোনো এলোটমেন্ট হয়নি। বিনা এলোটমেন্ট এ থাকছে ৪৬ তম ব্যাচের ১৮-২০ জন শিক্ষার্থী এবং ৪৭তম ব্যাচের ১০ জন শিক্ষার্থী। এক থেকে তিন বছর আগে পাশ করা কিছু শিক্ষার্থী রুম দখল করে থাকছেন এমন রুমের সংখ্যা ৬টি যেখানে প্রতি রুমে ১ থেকে ২ জন থাকেন।

এদিকে গেলো ৪ মাস ধরে হল প্রভোস্টদের, হলে সিট বরাদ্দ, অবৈধদের হল ত্যাগে বাধ্য করার জন্য উল্লেখযোগ্য কোনো কার্যক্রম দেখা যায়নি।

বিষয়টি নিয়ে জি.এম.এ.জি ওসমানী হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ সামিউল ইসলাম চৌধুরী বলেন "আমাদের সময়ে আমরা যতটুকু পেরেছি চেষ্টা করেছি, এখন নতুন হল প্রভোস্ট আসবেন ওনারা ব্যাপারটা দেখবেন।"

আপনার ক্যাম্পাসের নানা ঘটনা, আয়োজন/ অসন্তোষ সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড