• শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১  |   ২৮ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

ইবি ছাত্রকে মারধর কমিটিকে ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ 

  ইবি প্রতিনিধি

০৭ মে ২০২৩, ১৪:৪৭
ইবি

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষার্থী মোবারক হোসেন আশিককে মারধরের ঘটনায় তদন্ত কমিটিকে আগামী ৭ দিনের মধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রবিবার (০৭ মার্চ) মোঃ মোবারক হোসেনের দেওয়া অভিযোগের প্রেক্ষিতে জরুরি ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শাহাদাত হোসেন আজাদ।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মোবারক হোসেন আশিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ও ভূমি ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। শনিবার (০৬ মার্চ) ইদুর ফিতরের ছুটি শেষে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ক্যাম্পাস পৌঁছায়। রাতে কুষ্টিয়া শহর থেকে ৭.৩০ এর বাসে ক্যাম্পাসের গেটে নেমে শিপন টি স্টলে ২ জন বন্ধু আড্ডা দেওয়ার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মুশফিকের নেতৃত্ব মুশফিক সহ আরও ১৫-২০ জন লাঠি সহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করলে সে সরে গেলে তার হাতে আঘাত লাগে এবং কেটে যায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই সবাই সবাই লাঠি বাঁশ এগুলো দিয়ে মাথায়, পিঠে, হাতে ও পায়ে মারতে শুরু করে। এ সময় ভুক্তভোগী মাথায় প্রচন্ড আঘাত পায়। সে দৌড়ে ক্যাম্পাসে আসার সময় আবার মারতে শুরু করে। সে সময় তার এক বন্ধু ও বড়ভাই তাকে উদ্ধার করে মেডিকেলে নিয়ে যায়। শরীরের আঘাতের গুরুতর অবস্থা দেখে কিছু প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে সাথে সাথেই কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে রেফার্ড করে দেন।

এই বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান, রাতের বাসে কুষ্টিয়া থেকে ফিরে প্রধান ফটকে আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আড্ডা দিতেছিলাম। এ সময় হঠাৎ মুশফিক ও বহিরাগত ১৫-২০ জন আতর্কিতভাবে বাঁশ, লাঠি ইত্যাদি নিয়ে আশিকের উপর হামলা করে। এ সময় আমিও হালকা আঘাত পেয়েছি।

এ বিষয়ে চিকিৎসা কেন্দ্রের দায়িত্বরত চিকিৎসক রবিউল ইসলাম বলেন, মোবারক হোসাইন নামের এক শিক্ষার্থীকে আহতাবস্থায় আনা হয়। তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন আছে। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কুষ্টিয়া স্থানান্তর করা হয়েছে।

অভিযুক্ত মুশফিক বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, এসব মিথ্যা আমি কাউকে মারধর করিনি।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর শাহাদাত হোসেন আজাদ বলেন, ইতোপূর্বে এই বিষয় সম্পর্কিত একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ছুটির পূর্বে কমিটি কিছু কাজ করেছিল। এই ঘটনার সাথে ওই ঘটনাটি সম্পর্কিত থাকায় ওই কমিটিকে ৭ দিনের মধ্যে সুপারিশসহ প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত এর আগে ব্যাচভিত্তিক অনুষ্ঠানে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুশফিককে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল। এতে আশিকের জড়িত থাকার অভিযোগ ছিল। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও ছাত্র উপদেষ্টা বরাবর পাল্টাপাল্টি দুইটি অভিযোগ রয়েছে।

আপনার ক্যাম্পাসের নানা ঘটনা, আয়োজন/ অসন্তোষ সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড