• শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩০ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

গবেষণা এবং অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ

  সাঈদ মাহাদী সেকেন্দার

২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ১৪:২৫
গবেষণা এবং অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ
অধ্যাপক ড. জিয়াউল হাসান উল্লাস ও স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের লোগো (ফাইল ছবি)

স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এটি ২০০২ সালে বাংলাদেশ সরকার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সনদ পেয়ে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ নামে কার্যক্রম শুরু করে।

বিশ্ববিদ্যালয়টির একমাত্র ক্যাম্পাস সিদ্ধেশ্বরীতে অবস্থিত। ঢাকার মুগদার গ্রিন মডেল টাউনে বিশ্ববিদ্যালয়টির স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের প্রক্রিয়া চলছে। উচ্চশিক্ষায় স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিষয় এবং পরিকল্পনা নিয়ে দৈনিক অধিকারের মুখোমুখি হন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক ড. জিয়াউল হাসান উল্লাস

সাক্ষাৎকার নিয়েছেন- সাঈদ মাহাদী সেকেন্দার

অধিকার : স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ উচ্চশিক্ষায় কেমন ভূমিকা রাখছে?

জিয়াউল হাসান : বেসরকারিভাবে উচ্চশিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে ২০০২ সালে স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ সরকার থেকে সনদ লাভ করে। প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন ধরে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি সমান তালে উচ্চশিক্ষা ও কর্মক্ষেত্রে চাহিদা পূরণ করে যাচ্ছে।

বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আমাদের অর্থনীতিতে বিশেষ অবদান রাখছে। শিক্ষার্থীরা যাতে দেশে বসে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন শিক্ষা গ্রহণ করে আন্তর্জাতিক মানের গ্র্যাজুয়েট হিসাবে গড়ে উঠতে পারে সেই লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়েই স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। আমি মনে করি আমাদের লক্ষ্যে আমরা এগিয়ে চলেছি। দীর্ঘ ২০ বছরের অভিজ্ঞতায় বলছি শিক্ষার্থীদের কর্মমুখী করে গড়ে তোলার ইতিহাস আমাদের গর্বিত করে।

অধিকার : স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা পরিবেশ কেমন?

জিয়াউল হাসান : আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধেশ্বরী ক্যাম্পাসে প্রাকৃতিক আবহে মনোরম পরিবেশ রয়েছে। রাজধানী ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত এমন প্রাকৃতিক আবহে ক্যাম্পাস নিশ্চয় শিক্ষার্থীদের শিক্ষাগ্রহণে সহায়ক।

বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক ক্যালেন্ডার অনুসরণের মাধ্যমে নির্ধারিত সময়ে কোর্স সম্পন্ন করে ডিগ্রি প্রদান করে। মেধাবী এবং বিদেশি ডিগ্রিধারী ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন শিক্ষকদের কাছ থেকে পাঠ গ্রহণ ও গুণগত শিক্ষা নিশ্চিতকরণে আমরা গুরুত্ব দিয়ে থাকি। সময়োপযোগী বিষয়গুলোর প্রবর্তন ও আধুনিক পাঠ্যক্রম অনুসরণ করে অভিজ্ঞ শিক্ষকের তত্ত্বাবধানে সময়োপযোগী গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।

আমাদের সমৃদ্ধ লাইব্রেরি রয়েছে যা শিক্ষার্থীদের একাডেমিক যায়গায় অনেক বেশি সহায়তা করে থাকে এছাড়া আমাদের বিভাগ ভিত্তিক গবেষণা জার্নাল প্রকাশ হয়ে থাকে। আমরা গবেষণাধর্মী শিক্ষা-কার্যক্রম পরিচালনাকে গুরুত্ব দিয়ে থাকি। এছাড়া উচ্চ শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি নিয়ে বিশ্বব্যাংকের প্রকল্প Higher Education Quality Enhancement Project (HEQEP) এর পর্যালোচনায় বাংলাদেশের ৪টি বিশ্ববিদ্যালয়কে মনোনয়ন দেয় তার মধ্যে স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ একটি। সুতরাং আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা পরিবেশ বিরাজ করছে এটি প্রমাণিত।

অধিকার : স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশে শিক্ষার্থীদের সহ-শিক্ষা কার্যক্রমের সুযোগ কেমন রয়েছে?

জিয়াউল হাসান : পুঁথিগত বিদ্যার বাইরে এক্সট্রা কারিকুলার একটিভিটিস শিক্ষার্থীদের সব থেকে পছন্দের। আমাদের রয়েছে ৪০টির অধিক বিভিন্ন ফোরাম বা শিক্ষার্থীদের সহ-শিক্ষা কার্যক্রমের জন্য ক্লাব। এ সকল ক্লাবে যুক্ত থেকে শিক্ষার্থীরা নিজেদের সুপ্ত প্রতিভার বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে পারে যা জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গৃহীত হওয়ার যোগ্যতা রাখে। সাংস্কৃতিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আমাদের রয়েছে অডিটোরিয়াম।

এছাড়া রয়েছে খেলার মাঠ, আধুনিক লাইব্রেরি, স্পোর্টস সেন্টার সহ আধুনিক সুযোগ- সুবিধা। আমাদের শিক্ষার্থীদের ডিবেটে আন্ত:বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পাশাপাশি ক্রিকেটে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কমপিটিশনে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব রয়েছে যা আমাদের গর্বিত করে। আমরা কলাচারাল দিক দিয়ে অনেক এগিয়ে।

অধিকার : স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ কেন অন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এগিয়ে?

জিয়াউল হাসান : আমরা ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে প্রাকৃতিক আবহে সুসজ্জিত ক্যাম্পাসে পাঠদান পরিচালনা করে থাকি। এছাড়া শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা প্রদানে তিনটি উপাদানের সমন্বয় অনিবার্য এগুলো হলো আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষক নিয়োগ, ভালো শিক্ষার্থী নির্বাচন করা, সুন্দর শিক্ষার পরিবেশ প্রদান করা। আমরা বিষয়গুলো আমাদের প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকে গুরুত্ব দিয়ে থাকি। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে দেশের নবীন এবং প্রবীণ শিক্ষাবিদদের সমন্বয়ে পাঠদান পরিচালিত হয়ে থাকে। এছাড়া আমাদের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে শিক্ষা-কার্যক্রম পরিচালনা করার দীর্ঘদিনের সমৃদ্ধ অভিজ্ঞতা রয়েছে যা নিশ্চয় অন্য বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ে আমাদের এগিয়ে রাখবে।

অধিকার : আগামী দিনে আপনাদের কর্ম-পরিকল্পনা কী?

জিয়াউল হাসান : শিক্ষার্থীদের মানসম্পন্ন এবং কর্মমুখী শিক্ষা নিশ্চিত করতে আমরা কাজ করছি। ইতোমধ্যে স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ এর স্থায়ী ক্যাম্পাসের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে। ঢাকার মুগদার গ্রিন মডেল টাউনে বিশ্ববিদ্যালয়টির স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের প্রক্রিয়া চলছে। আমরা আশাকরি এটি দ্রুততম সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করে আমরা স্থায়ী ক্যাম্পাসে পাঠদান শুরু করবো। তবে আমরা সময়ের সাথে সাথে এটি ক্রমান্বয়ে স্থানান্তর করবো।

এটি আমাদের পরিকল্পনার মধ্যে রয়েছে যা দ্রুতই বাস্তবায়ন হবে। করোনাকালীন সময়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তি দেওয়া, সেমিস্টার ফি মওকুফসহ শিক্ষা-কার্যক্রমে স্থবিরতা বিরাজ করায় আমাদের স্থায়ী ক্যাম্পাসে শিক্ষা-কার্যক্রম পরিচালনা করার প্রক্রিয়া বিলম্বিত হয়েছে। তবে আমরা দ্রুতই এটি সমাধান করে নিজস্ব ক্যাম্পাসে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করবো। আগামী ৩-৪ বছর এর মধ্যে স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ একটি পূর্ণাঙ্গ আধুনিক ক্যাম্পাস শিক্ষার্থীদের জন্য নিশ্চিত করবে বলে আশাবাদী।

অধিকার : দৈনিক অধিকারকে সময় দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

জিয়াউল হাসান : আপনাকে এবং দৈনিক অধিকারকে ধন্যবাদ।

আপনার ক্যাম্পাসের নানা ঘটনা, আয়োজন/ অসন্তোষ সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড