গবি প্রতিনিধি
নবীন শিক্ষার্থীদের পদচারণায় ৩২ একরের ক্যাম্পাস মুখরিত হয়ে আছে। দেশের সর্ববৃহৎ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে এমন উৎসবমুখর উপভোগ্য পরিবেশের দেখা মেলে সাভারের গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে (গবি)। ঐতিহ্যবাহী এই ক্যাম্পাসের মুল ফটকে চোখ পড়তেই দেখা যায় এক খণ্ড মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস যেখানে স্থান পেয়েছে বাংলার সব মহীয়সী নারীগণ। নবীনদের ক্যাম্পাস কেন্দ্রিক ভাবনা গুলো তুলে ধরেছে বিশ্ববিদ্যালয়েরই শিক্ষার্থী ও সংবাদকর্মী ইউনুস রিয়াজ।
একটি ব্যতিক্রমী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
গণ বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে বলতে গেলে সবার আগে আসে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের কথা। সমাজে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের প্রতি বিরূপ দৃষ্টিভঙ্গি থেকে সরে এসে তাদের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে দেওয়া অনেক মহৎ উদ্যোগ এর ফলে তাদের আর সমাজে অবহেলা মূর্ছনা সহ্য করতে হবে না। তারা এখন আমাদের সমাজেরই একটা অংশ আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়েরই একটা অংশ।
এছাড়াও সুবিশাল খেলার মাঠ ও বাদামতলায় বসে আড্ডা সাথে আধুনিক ব্যায়ামাগার শারীরিক ও মানসিক সুস্থতায় সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। পাশাপাশি এখানে রয়েছে সাংবাদিক সমিতি, ডিভেটিং সোসাইটি, ফটোগ্রাফিক সোসাইটিসহ বিভিন্ন সংগঠন যেগুলো সৃজনশীল ও সাংগঠনিক জ্ঞান অর্জনের আঁতুড়ঘর হিসেবে কাজ করছে, যেটা আমার মত বাকি নবীনদের জন্য একটি আনন্দ দায়ক বিষয়।
রাইসুল ইসলাম
সেমিস্টার : ১ম
বিভাগ : ভেটেরিনারি এন্ড এনিমেল সাইন্সেস
হতাশা কাটিয়ে এগিয়ে যাওয়ায় অনুপ্রেরণা
ক্যাম্পাসের সবুজের প্রেমে ১ম দিনই পরে যাই। ক্যাম্পাসের ফটক থেকে শুরু করে সবটা জুড়ে ইতিহাস ঐতিহ্যে মোড়া এই বিদ্যাপীঠ। সুবিশাল মাঠ, বাদাম তলার গানের আসর ও দুপুরে খালার হাতে ভর্তা-পিঠা সব মিলে দারুণ একটা ব্যাপার। পাবলিক বিশ্ব বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে না পারার যে হতাশা ছিল এই ক্যাম্পাস আমাকে সেটা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করেছে। বিভাগের বড় ভাইয়া আপুরা সব কিছু থেকে আগলে রাখে, সিনিয়র জুনিয়র সম্পর্ক তো এমনই হওয়া উচিত। আমার এগিয়ে যাওয়ায় অনুপ্রেরণা আমার বিভাগ, আমার ক্যাম্পাস।
সানজিদা পারভিন
সেমিস্টার : ১ম
বিভাগ : মেডিক্যাল ফিজিক্স অ্যান্ড বায়োমেডিক্যাল ইঞ্জি.
৩২-একরের ভালবাসা
প্রতিটা শিক্ষার্থীর স্বপ্ন থাকে দেশের স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখা পড়া করার, ঠিক তেমনি স্বপ্ন নিয়ে শুরু করি গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে ভবিষ্যৎ গড়ার পথ চলা। বিশ্ববিদ্যালয় কারও কাছে আবেগ, কারও কাছে ভালোবাসা। ভর্তি সম্পন্ন হবার পর ক্লাস শুরুর অপেক্ষায় ছিলাম, অবশেষে ২৭ নভেম্বর ২০২২ আমাদের নবীনবরন এর মাধ্যমে ক্লাস শুরু হয়। নিজেকে সেদিন নতুন ভাবে আবিষ্কার করি গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের গর্বিত শিক্ষার্থী হিসেবে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বন্ধুদের সঙ্গে মিশে নিজের সীমাবদ্ধগুলোকে অনুধাবন করতে পারি। এই ক্যাম্পাস থেকে জীবনের প্রত্যেকটা মুহূর্তকে উপভোগ করতে চাই। সবার কাছে থেকে শিখতে চাই।
এই ৩২ একরের ক্যাম্পাসটাই হয়তো সবার মাঝে ভাতৃত্বের বন্ধন টা আরও কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। কমিয়ে দিয়েছে নিজেদের মধ্যে দূরত্ব। ক্লাস শেষে সবাই একসঙ্গে বসে আড্ডা দেওয়া গল্প আর গান বাজনার সুরে মেতে ওঠা অন্যরকম এক অনুভূতি। গণ বিশ্ববিদ্যালয় আমার কাছে পরিবারের মত। আমি গর্বিত একজন গবিয়ান। ভালোবাসি এই ৩২ একরের গবির রাজ্যকে।
গাজী সুলতান রিফাজ
সেমিস্টার : ১ম
বিভাগ : আইন
স্বপ্নের ক্যাম্পাস
আমার স্বপ্ন ছিল একটি সুন্দর ক্যাম্পাসে পড়াশোনা করবো, আমার মত অনেকেরই এই স্বপ্ন থাকে। এর মধ্যে খুব কম সংখ্যক মানুষেরই এই সুযোগটা আসে। আমিও এমনই একজন ভাগ্যবান যে এত সুন্দর একটি ক্যাম্পাসের অধিকারী। প্রথমদিন থেকেই ক্যাম্পাসের সব কিছু আমাকে মুগ্ধ করে রেখেছে। বিশেষ করে আমার বিভাগ, এটা যেন আমার একটি নতুন পরিবার। শিক্ষক ও বড় ভাইয়া-আপুরা কখনো একাকীত্ব অনুভব করতে দেয়না। যেকোনো সমস্যায় পাশে এসে দাঁড়ায়। হটাৎ করে একটি নতুন পরিবেশে টিকে থাকতে হলে এমন পরিবার খুবই প্রয়োজন। আমি আমার বিভাগ ও ক্যাম্পাস নিয়ে খুবই গর্বিত।
সনিয়া আফরিন
সেমিস্টার : ১ম
বিভাগ : ফলিত গণিত
এভাবেই রাইসুল, সনিয়া, সুলতান ও সানজিদাদের মত হাজারো শিক্ষার্থী প্রতি বছর আসে তাদের স্বপ্ন পূরণের জন্য ৩২ একরের এই বিদ্যাপীঠে। বিগত ২৪ বছর ধরে সুনামের সাথে কোমল মতি এসব শিক্ষার্থীদের স্বপ্ন পূরণে কাজ করে আসছে প্রাণের বিদ্যাপীঠ, গণ বিশ্ববিদ্যালয়।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড