জেনে নিন জাবি’র অনুষদ ও বিভাগ ভিত্তিক নির্ধারিত আসন সংখ্যা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির ৩৭টি বিভাগের আসন সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৮৮৯টি। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার অফিসের শিক্ষা শাখার দেয়া তথ্য অনুযায়ী এই শিক্ষাবর্ষে এ সকল আসনের মধ্যে কোন অনুষদে কতটি, কোন বিভাগে কতটি এবং ছেলে-মেয়েদের জন্য কতটি আসন রয়েছে চলুন জেনে নেয়া যাক....

‘এ’ ইউনিট (গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদ)

এই অনুষদে মোট আসন নির্ধারণ করা হয়েছে ৪১০টি। এর মধ্যে ছেলেদের ২৩৫টি ও মেয়েদের ১৭৫টি আসন রয়েছে। চলুন এবার দেখে নেয়া যাক কোন বিভাগে কতটি আসন রয়েছে...

রসায়ন বিভাগে ৭০টি (ছেলে- ৪০, মেয়ে-৩০), পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগে ৭০টি (ছেলে-৪০, মেয়ে-৩০), গণিত বিভাগে ৭৫টি (ছেলে-৪৫, মেয়ে-৩০), পরিসংখ্যান বিভাগে ৬৫টি (ছেলে-৩৫, মেয়ে-৩০), ভূতাত্ত্বিক বিজ্ঞান বিভাগে ৪০টি (ছেলে-২০, মেয়ে-২০), কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ৫০টি (ছেলে- ৩০, মেয়ে-২০) এবং পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগে ৪০টি (ছেলে-২৫, মেয়ে-১৫) আসন রয়েছে।

‘বি’ ইউনিট (সমাজবিজ্ঞান অনুষদ)

এই অনুষদে বর্তমানে আসন সংখ্যা ৩২৬টি। এর মধ্যে ছেলেদের জন্য ১৬৩টি ও মেয়েদের জন্য ১৬৩টি আসন বরাদ্দ রয়েছে। চলুন এবার দেখে নেয়া যাক কোন বিভাগে কতটি আসন রয়েছে...

সরকার ও রাজনীতি বিভাগে ৬৬টি (ছেলে-৩৩, মেয়ে-৩৩), নৃবিজ্ঞান বিভাগে ৪০টি (ছেলে-২০, মেয়ে-২০), নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগে ৪০টি (ছেলে-২০, মেয়ে-২০) অর্থনীতি বিভাগে ৭০টি (ছেলে-৩৫, মেয়ে-৩৫), ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগে ৬০টি (ছেলে- ৩০, মেয়ে-৩০) এবং লোক প্রশাসন বিভাগে ৫০টি (ছেলে-২৫, মেয়ে-২৫) আসন রয়েছে।

‘সি’ (কলা ও মানবিকী অনুষদ)

এই অনুষদে আসন সংখ্যা ৩৭৬ টি। এর মধ্যে ছেলেদের জন্য ১৮৮টি এবং মেয়েদের জন্য ১৮৮টি আসন বরাদ্দ রয়েছে। চলুন এবার দেখে নেয়া যাক কোন বিভাগে কতটি আসন রয়েছে...

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে ৭০টি (ছেলে-৩৫, মেয়ে-৩৫), জার্নালিজম এন্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগে ৩৬টি (ছেলে-১৮, মেয়ে- ১৮) বাংলা বিভাগে ৬০টি (ছেলে- ৩০, মেয়ে-৩০), ‍ইংরেজি বিভাগে ৭০টি (ছেলে-৩৫, মেয়ে- ৩৫), ইতিহাস বিভাগে ৬০টি (ছেলে-৩০, মেয়ে-৩০), দর্শন বিভাগে ৫০টি (ছেলে-২৫, মেয়ে-২৫) এবং প্রত্নতত্ত্ব বিভাগে ৩০টি (ছেলে-১৫, মেয়ে-১৫) আসন রয়েছে।

এই অনুষদে এইচএসসি'র শাখা অনুযায়ী আবার আলাদা আলাদা আসন বরাদ্দ রয়েছে। চলুন সেটাও দেখে নেয়া যাক....

বিজ্ঞান শাখা : ছেলে-৬০, মেয়ে-৬০, মানবিক শাখা: ছেলে-৯০, মেয়ে-৯০, ব্যবসায় শিক্ষা শাখা: ছেলে-২৫,মেয়ে-২৫, মাদ্রাসা ও টেকনিক্যাল শাখা: ছেলে-১৩, মেয়ে-১৩।

‘সি১’ ইউনিট (কলা ও মানবিকী অনুষদ)

এই অনুষদে বর্তমানে আসন সংখ্যা ৬১টি। এর মধ্যে ছেলেদের জন্য ৩১টি ও মেয়েদের জন্য ৩০টি আসন বরাদ্দ রয়েছে। চলুন এবার দেখে নেয়া যাক কোন বিভাগে কতটি আসন রয়েছে...

নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগে ২৬টি (ছেলে- ১৩, মেয়ে- ১৩) এবং চারুকলা বিভাগে ৩৫টি (ছেলে-১৮, মেয়ে-১৭) আসন রয়েছে।

‘ডি’ ইউনিট (জীববিজ্ঞান অনুষদ)

এই অনুষদে মোট আসন সংখ্যা ৩২০টি। এর মধ্যে ছেলেদের জন্য ১৬০টি এবং মেয়েদের জন্য ১৬০টি আসন বরাদ্দ রয়েছে। চলুন এবার দেখে নেয়া যাক কোন বিভাগে কতটি আসন রয়েছে...

ফার্মেসি বিভাগে ৫০টি (ছেলে-২৫, মেয়ে-২৫), প্রাণ রসায়ন ও অনুপ্রাণ বিভাগে ৬০টি (ছেলে- ৩০, মেয়ে-৩০), মাইক্রোরায়োলজি বিভাগে ৩৬টি (ছেলে-১৮, মেয়ে-১৮), বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ২৪টি (ছেলে-১২, মেয়ে-১২), উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগে ৬০টি (ছেলে-৩০, মেয়ে-৩০), প্রাণিবিদ্যা বিভাগে ৫০টি (ছেলে -২৫, মেয়ে-২৫) এবং পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে ৪০টি (ছেলে-২০, মেয়ে-২০) আসন রয়েছে।

‘ই’ ইউনিট (বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ)

এই অনুষদে মোট আসন সংখ্যা ২০০টি। এর মধ্যে ছেলে-মেয়ে উভয়ের জন্য ১০০টি করে আসন রয়েছে। চলুন এবার দেখে নেয়া যাক কোন বিভাগে কতটি আসন রয়েছে...

মার্কেটিং বিভাগে ৫০টি (ছেলে-২৫, মেয়ে-২৫), ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগে ৫০টি (ছেলে-২৫, মেয়ে-২৫), অ্যাকাউন্টিং অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগে ৫০টি (ছেলে-২৫, মেয়ে-২৫) এবং ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগে ৫০টি (ছেলে-২৫, মেয়ে- ২৫) আসন রয়েছে।

‘এফ’ ইউনিট (আইন অনুষদ)

এই অনুষদে ছেলেদের ৩০টি এবং মেয়েদের ৩০টি করে মোট ৬০টি আসন রয়েছে।

‘জি’ ইউনিট ( ইনস্টিটিউট অব বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন- আইবিএ-জেইউ)

এই অনুষদে ছেলেদের ২৫টি এবং মেয়েদের ২৫টি করে মোট ৫০টি আসন রয়েছে।

‘এইচ’ ইউনিট ( ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি-আইআইটি)

এই অনুষদে ছেলেদের ২৮টি এবং মেয়েদের ২৮টি করে মোট ৫৬টি আসন রয়েছে।

‘আই’ ইউনিট (বঙ্গবন্ধু তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউট)

এই অনুষদে ছেলেদের ১৫টি এবং মেয়েদের ১৫টি করে মোট ৩০টি আসন রয়েছে।

শুধু সাধারণ শিক্ষার্থীরাই নির্ধারণ করা এই আসনগুলোতে ভর্তি হতে পারবে।

মুক্তিযোদ্ধার সন্তান/নাতি-নাতনি কোটায় ১৪৪ জন, উপাচার্যের (মুক্তিযোদ্ধার সন্তান/নাতি নাতনি) কোটায় ২০ জন, ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী ও অনগ্রসর সম্প্রদায় কোটায় ২৫, দলিত সম্প্রদায় কোটায় পাঁচজন ও প্রতিবন্ধী কোটায় ১৫ জন ভর্তি হতে পারবে।

তবে যারা কোটাধারী হওয়া সত্ত্বেও মেধায় চান্স পাবে, তারা যদি কোটার ফরম পূরণ না করেন, তবে সাধারণ শিক্ষার্থীরাই এ আসনে ভর্তি হবে।