রিয়াজুল ইসলাম, জবি প্রতিনিধি
কলেজ নামকে পরিবর্তন ঘটিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর হওয়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) নানা প্রতিকূলতা থাকলেও আধুনিক থেকে অত্যাধুনিক রূপ লাভ করেছে প্রতিষ্ঠানটির কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের নানামুখী জ্ঞানচর্চার অন্যতম কেন্দ্র কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার। যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬টি অনুষদের শিক্ষার্থী প্রতিনিয়ত তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী পাঠচক্র ও গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের মোট পুস্তক সংখ্যা ৩১ হাজার ৬০০। সুনামধন্য ৮টি পাবলিশার্স এর প্রকাশনায় ই-বুকস এর সংখ্যা ১ লাখ ৬৬ হাজার ৪০০। ই-জার্নালের সংখ্যা ৪৪ হাজার ১০০। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জন্য ই-লাইব্রেরি সেবা চালু হয় ২০১৫ সালের ৩ মার্চ।
এখানে ই-লাইব্রেরির জন্য ল্যাপটপ আছে ১০৩টি। গবেষণা কাজের জন্য প্রিজার্ভ পত্রিকা রয়েছে ৯টি। এখানে রেফারেন্স বইয়ের সংখ্যা ১ হাজার ৪৮০টি, পিরিউডিক্যাল বই ২ হাজার ৪০৫টি। রেফারেন্স শাখায় জার্নাল রয়েছে ১ হাজার ১০১টি আর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক ১ হাজার ৬৭২টি।
লাইব্রেরির দ্বিতীয় শিফট চালু হয় ৫ জুন ২০১৬ সালে। কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬টি অনুষদের ৩৮টি ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থীদের জন্য চারটি গবেষণা কক্ষ এবং ৩৫০টি আসন আছে যেখানে শিক্ষার্থীরা প্রতিনিয়ত তাদের পড়াশোনা ও গবেষণা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
গ্রন্থাগারের নিয়মিত একজন শিক্ষার্থী শহিদুল ইসলাম বলেন, আমাদের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারটি এখনই খুবই আধুনিক। পড়াশোনা ও গবেষণা করার জন্য একদম ছিমছাম একটি জায়গা। গ্রন্থাগারের ভেতর ঢুকে সকলের পড়াশোনা ও সুন্দর পরিবেশ দেখে মনটা ভরে উঠে। গ্রন্থাগারে যেসব সুযোগ সুবিধা থাকা প্রয়োজন আমাদের তা সবই আছে। গ্রন্থাগারের এমন আধুনিকায়ন রূপ ও সিমসাম পরিবেশ শিক্ষার্থীদের আরও অনুপ্রেরণা যোগায়।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারিক এনামুল হক বলেন, সব কিছু মিলিয়ে আমাদের গ্রন্থাগারের অবস্থা এখন খুবই ভালো। শিক্ষার্থীরা আসে নিয়মিত তাদের পড়াশোনা ও গবেষণা করার জন্য। তারপরও আমাদের কিছু সীমাবদ্ধতা রয়ে গেছে এখনও। যে পরিমাণ বই থাকার কথা তা আমাদের নেই। শিক্ষার্থীদের চাহিদা অনুযায়ী পর্যাপ্ত পরিমাণ বই না থাকায় কিছু সমস্যা হয়। তবে বইয়ের সংকট সমাধান করার জন্য ইতোমধ্যে আমরা বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। ইনশাআল্লাহ আমাদের গ্রন্থাগারটি আরও আধুনিক ও সমৃদ্ধশালী হয়ে উঠবে।
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, লাইব্রেরি আধুনিকায়ন কাজ অব্যাহত আছে। শিক্ষার্থীদের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিমুখী করার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। আমরা কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির বাজেট বাড়িয়েছি এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে অ্যাকাডেমিক বই কেনার ব্যবস্থা করছি। যার এক কপি বই থাকবে ডিপার্টমেন্টের সেমিনারে আর এক কপি থাকবে কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে। শিক্ষার্থীরা কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিমুখী না হওয়ার কারণ হিসেবে তিনি বলেন, অধিকাংশ শিক্ষার্থী বিসিএস কেন্দ্রিক হওয়ায় কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে কম অগ্রসর হয়।
ওডি/নিমি
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড