• শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩০ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

গুচ্ছতে আমেজহীন কুবির ভর্তি পরীক্ষা, আক্ষেপ শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের

  আহমেদ ইউসুফ, কুবি প্রতিনিধি

১৬ অক্টোবর ২০২১, ১৮:০২
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (ছবি : সংগৃহীত)

দেশের ২০টি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে আগামীকাল (১৭ অক্টোবর) থেকে শুরু হতে যাচ্ছে সমন্বিত গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা। ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিয়েছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্র।

বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে ভর্তি পরীক্ষায় মোট অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা ৭ হাজার ২৬ জন। পর্যায়ক্রমে ১৭ অক্টোবর 'এ' ইউনিটের, ২৪ অক্টোবর 'বি' ইউনিটের এবং ১ নভেম্বর 'সি' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবার কথা রয়েছে।

যদিও কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের গত বছরের ভর্তি পরীক্ষায় ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে ১০৫০টি আসনের বিপরীতে আবেদন করে প্রায় ৬৭ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী।

এদিকে গুচ্ছ পদ্ধতিতে মোট ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩ হাজার আসনের বিপরীতে আবেদন পড়েছে মাত্র ৩ লাখ ৬০ হাজার। যা প্রতি আসনের বিপরীতে ১০ জন। তবে আসন বেশি থাকার পরও এত কম আবেদন কেন—এটাই বিস্ময়ের কারণ। অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আসন সংখ্যা ৬ হাজার হলেও এবার আবেদন পড়েছে ২ লাখ।

তবে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্যান্য বছরের ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ এবং আশেপাশে নানা উন্নয়ন মূলক কর্মকাণ্ড চোখে পড়ত। ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের আগমনকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক সংগঠন, আঞ্চলিক সংগঠন থেকে শুরু করে স্থানীয় বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের কর্যক্রম লক্ষ করা যেত। তবে গুচ্ছ পদ্ধতির এ পরীক্ষায় এবার তেমন কোন আয়োজন লক্ষ করা যায় নি।

বিগত ভর্তি পরীক্ষা সমূহে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভ্যন্তরীণ অবকাঠামোগত সংস্কার, সৌন্দর্য বৃদ্ধি, এবং শিক্ষার্থীদের আগমনকে কেন্দ্র করে স্থানীয় প্রশাসনের বাড়তি সতর্কতা দেখা গেলেও এ বছর তেমন কোন উদ্যোগ দেখা যায় নি।

বিষয়টি নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থীরা।

লোকপ্রশাসন বিভাগের ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থী রিফাত হাসাস বলেন, অন্যান্য বছর এই ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে ভিন্ন আয়োজন চলত। নিজ এলাকা থেকে শিক্ষার্থীরা আসত। নিঃস্বার্থে সবার জন্য কাজ করতাম। বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম হত। হাজার হাজার মেধাবীদের থেকে বাছাইকৃত ১ হাজার মেধাবী মুখ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পেত৷ তবে এবার তেমন কোন আয়োজন নেই। উচ্ছাস নেই।

তারেক হাসান নামে ঢাকা বিজ্ঞান কলেজের এক শিক্ষার্থী বিষয়টি নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, আমার বাড়ি কক্সবাজারের চকোরিয়ায়। ভর্তি পরীক্ষাার জন্য আমি সুবিধামত চট্টগ্রাম এবং ঢাকাতে ৫ টি কেন্দ্র চয়েজ দিয়েছিলাম। কিন্তু প্রবেশ পত্র তোলার পর দেখি আমার পরীক্ষার হল দেওয়া হয়ছে পটুয়াখালি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। এখন পটুয়াখালি কিভাবে যাওয়া লাগবে সেটুকু পর্যন্ত আমি জানি না। সেখানে যাওয়ার পর কিভাবে থাকবো এটাও জানি না। পরীক্ষার তিন দিন আগে আমি কক্সবাজার থেকে রওনা দিয়েছি। পরীক্ষার আগে এটা আমার জন্য বড় ধরনের ভোগান্তি।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের প্রভাষক জনি আলম বিষয়টি নিয়ে আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেন, অন্যান্য বছরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে প্রতিটি সদস্য আনন্দ উচ্ছাসের মধ্যে দিয়ে ভর্তি পরীক্ষার কার্যক্রমে অংশীদার হয়। কিন্তু গুচ্ছ পদ্ধতিতে এবার তেমন কোন আয়োজন নেই। আমাদের সাংস্কৃতিক সংগঠন, সামাজিক সংগঠন, আঞ্চলিক সংগঠনসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সাধারণ শিক্ষার্থীরা কিছুটা ব্যাথিত। তবে গুচ্ছ পদ্ধতির এ পরীক্ষা মূলত ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করেই নেয়া হয়েছে। এখন তারা কতটুকু উপকৃত হবে এখান থেকে সেটাই মূখ্য বিষয়।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান মত প্রকাশ করে বলেন, গুচ্ছ পদ্ধতির মূল উদ্দেশ্য হলো শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগ লাঘব করা।

ওডি/এসএস

আপনার ক্যাম্পাসের নানা ঘটনা, আয়োজন/ অসন্তোষ সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড