শাবি প্রতিনিধি
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) বর্তমান মূল ফটকের নিকটস্থ রাস্তার দুই ধারের প্রায় ৩৫টি গাছ কেটে ফটকের পুনর্নির্মাণ করছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
তবে সরকারের বন বিভাগ এবং পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি নিয়েই গাছগুলো কাটা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শাবি উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।
বৃহস্পতিবার (৩ ডিসেম্বর) গাছ কাটার অনুমতির বিষয়টি নিশ্চিত করেন তিনি।
উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক সড়ক ও জনপদ (সওজ) এর জায়গায় অবস্থিত। কখনো রাস্তা সম্প্রসারণ বা অন্য কোনো প্রয়োজনে সওজ কর্তৃপক্ষ যে কোনো সময় বর্তমান গেটটি ভেঙে ফেলতে পারেন। এজন্য আমরা প্রস্তাবিত মেইন-গেটটি বর্তমানের অবস্থান থেকে কিছুটা ভেতরে সরিয়ে এনে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব জায়গাতে নির্মাণের পরিকল্পনা করেছি। এ কারণে কিছু গাছ কাটতে হচ্ছে।’
যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়েই কাজ শুরু হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সরকারের বন বিভাগ ও পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি নিয়েই গাছগুলো কাটা হচ্ছে। তারা এসে বিষয়গুলো দেখে অনুমতি দিয়েছেন। পাশাপাশি তাদের শর্ত হলো- গাছগুলো কাটা হলে একটি গাছের বিপরীতে ক্যাম্পাসে নতুনভাবে একটি বনজ, একটি ফলদ ও একটি ওষুধি গাছ লাগাতে হবে। সেই অনুযায়ী আমরা কাজ করছি।’
আরও পড়ুন : কুবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে একাংশের পাল্টা কমিশন গঠন
উপাচার্য বলেন, ‘মূল ফটক থেকে এক কিলো ধরে রাস্তার দুই পাশে লেকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতেও কাজ করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে দুইটি যাত্রী ছাউনির নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। এছাড়া রাস্তাটির দুই পাশের ফুটপাথ ও সাইকেলের ট্র্যাক নির্মাণের কাজ শীঘ্রই শুরু হবে। এতে কোনো ধরণের গাছ কাটা হবে না।’
নির্মাণকাজ শেষ হলে এক কিলোমিটার রোডের সৌন্দর্য বৃদ্ধির পাশাপাশি নির্মিতব্য মূল ফটকের নির্মাণশৈলীর কারণে এটি একটি দর্শনীয় স্থাপনায় পরিণত হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন উপাচার্য।
নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া
সম্পাদকীয় কার্যালয়
১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।
যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702
ই-মেইল: [email protected]
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।
Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড