• বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১  |   ৩২ °সে
  • বেটা ভার্সন
sonargao

উপবৃত্তির ১৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ : অভিযোগ ওঠা কর্মচারী বদলি

  শিক্ষা ডেস্ক

১৬ জুলাই ২০২০, ১৯:২৯
ডিপিই
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের (ডিপিই) লোগো (ছবি : সংগৃহীত)

ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির ১৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে শিক্ষা অফিসের এক কর্মচারীকে বদলি করা হয়েছে। তিনি ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উচ্চমান সহকারী ফখরুল আলম।

বর্তমানে তাকে গোপালগঞ্জ প্রাইমারি ট্রেনিং ইনস্টিটিউটে (পিটিআই) বদলি করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির ১৪ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। ইতোমধ্যে এ ঘটনায় তার জড়িত থাকার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে জানা গেছে। তবে তার বদলির আদেশে প্রশাসনিক কারণ উল্লেখ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের (ডিপিই) বিভাগীয় উপপরিচালক মো. ইফতেখার হোসেন ভূঁইয়া স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই বদলির আদেশ জারি করা হয়।

জানা গেছে, কেরানীগঞ্জ উপজেলায় ২০১৮-১৯ শিক্ষাবষের প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির ১৪ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ তোলেন অভিভাবকরা। অভিযোগের ভিত্তিতে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাজেদা সুলতানা, উচ্চমান সহকারী ফখরুল আলম এবং অফিস সহায়ক মনসুর আহমেদের বিরুদ্ধে অভিযোগ খতিয়ে দেখতে একটি তদন্ত গঠন করা হয়। এ কমিটিকে ১৯ জুলাইয়ের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে নির্দেশ দিয়েছে ঢাকা বিভাগীয় অফিস।

ঢাকা বিভাগীয় অফিসের কর্মকর্তারা জানান, প্রাথমিক তদন্তে কেরানীগঞ্জ উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের উচ্চমান সহকারী ফখরুল আলমের অপরাধের সত্যতা পাওয়ায় তাকে বর্তমান কর্মস্থল থেকে গোপালগঞ্জ পিটিআই অফিসে বদলি করা হয়েছে। যদিও বদলির নির্দেশনায় প্রশাসনিক কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। ১৯ জুলাইয়ের মধ্যে বদলিকৃত কর্মস্থলে তাকে যোগদান করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। অন্যথায় ২০ জুলাই থেকে তাৎক্ষণিক কর্মবিমুক্ত হিসেবে তাকে গণ্য করা হবে বলেও বদলি নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়।

অন্যদিকে বর্তমানে কর্মরত কেরানীগঞ্জের উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাজেদা সুলতানা ও অফিস সহায়ক মনসুর আহমেদের অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শস্তির আওতায় আনা হবে বলে জানা গেছে।

আরও পড়ুন : সরকার আর শিক্ষিত বেকার তৈরি করতে চায় না : শিক্ষামন্ত্রী

তবে এসব অভিযোগ অসত্য ও ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মাজেদা সুলতানা। তিনি বর্ষসেরা কর্মকর্তা হওয়ার পরও কেউ কেউ তাকে বর্তমান কর্মস্থল থেকে সরাতে উপবৃত্তির অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ তুলছে বলে তার দাবি। এ সংক্রান্ত সব কাগজপত্র বিভাগীয় উপপরিচালকের অফিসে জমা দিয়েছেন বলেও জানান তিনি।

আপনার ক্যাম্পাসের নানা ঘটনা, আয়োজন/ অসন্তোষ সরাসরি দৈনিক অধিকারকে জানাতে ই-মেইল করুন- [email protected] আপনার পাঠানো তথ্যের বস্তুনিষ্ঠতা যাচাই করে আমরা তা প্রকাশ করব।
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

নির্বাহী সম্পাদক: গোলাম যাকারিয়া

 

সম্পাদকীয় কার্যালয় 

১৪৭/ডি, গ্রীন রোড, ঢাকা-১২১৫।

যোগাযোগ: 02-48118243, +8801907484702 

ই-মেইল: [email protected]

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

Developed by : অধিকার মিডিয়া লিমিটেড